ETV Bharat / bharat

কোটায় পড়ুয়া সংখ্যা কমছে হু-হু করে, কার্যত লাটে হস্টেল-ব্যবসা - KOTA COACHING - LESS STUDENTS IN KOTA COACHING

Situation of Coaching Classes in Kota: কোটায় কোচিং করতে আসা পড়ুয়ার সংখ্যা কার্যত তলানীতে ঠেকেছে ৷ প্রায় 40 শতাংশ কম শিক্ষার্থী এবার কোচিংয়ের জন্য এসেছেন কোটায়। কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হস্টেলগুলো এখন খালি।

LESS STUDENTS IN KOTA COACHING
কোটায় পড়ুয়া সংখ্যা কমছে
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Jun 26, 2024, 8:40 PM IST

Updated : Jun 26, 2024, 8:54 PM IST

কোটা, 26 জুন: স্থানীয় অর্থনীতির অনেকটাই নির্ভর করে শুধুমাত্র কোচিংয়ের জন্য সারা দেশ থেকে কোটায় আসা পড়ুয়াদের উপরেই ৷ এবারও কোটায় কোচিং-এর ফলাফল চমৎকার হয়েছে ৷ কিন্তু বিগত কয়েক বছরে আত্মহত্যার কারণে কোটার কোচিং সারা দেশে কুখ্যাত হয়ে উঠেছে ৷ এর প্রত্যক্ষ প্রভাব এখানকার অর্থনীতিতেও পড়ছে। অন্যদিকে, কোটা কোচিং ইনস্টিটিউটের অনেক কেন্দ্র সারা দেশে খোলা হয়েছে ৷ অন্য কোচিং ইনস্টিটিউটের সঙ্গে তারা প্রতিযোগিতাতেও নেমেছে ৷ এসব কারণে এবার কোটায় কোচিংয়ে আসা শিক্ষার্থীর সংখ্যাও কমেছে।

জানা যাচ্ছে, এবার কোটায় প্রায় 40 শতাংশ কম শিক্ষার্থী কোচিং এসেছেন। প্রায় 1.2 লক্ষ শিক্ষার্থী কোচিংয়ের জন্য কোটায় এসেছেন ৷ সেখানে গত বছরগুলিতে এই সংখ্যা ছিল প্রায় 2 লক্ষেরও বেশি। এ কারণে কোটার কোচিং এলাকায় কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হস্টেলগুলো এখন খালি পড়ে আছে। মাত্র 10 থেকে 30 শতাংশে পড়ুয়ারা এসেছেন ৷ স্বভাবতই কোটি টাকা বিনিয়োগে তৈরি করা হস্টেল নিয়ে মালিকরা রীতিমতো উদ্বিগ্ন ৷ অনেক হস্টেল মালিক তাঁদের হস্টেল বন্ধ করে দিয়েছেন ৷ কর্মীরাও চাকরি হারিয়েছেন ৷ এর প্রভাবে বেকারত্বও বেড়ছে ৷ কমবেশি কোটার সব এলাকায় একই অবস্থা। বহু এলাকায় হস্টেলের ভাড়াও কমে গিয়েছে অনেকটাই ৷

কোটায় আত্মঘাতী বাংলার ছাত্র! উদ্ধার নিট পরীক্ষার্থীর ঝুলন্ত দেহ

কোটার কোচিং এলাকায় হস্টেল খালি থাকার কারণে হস্টেল মালিকরা কম দামে ঘর দিতে একরকম বাধ্য হচ্ছেন। এই হস্টেল ঘরগুলি সাড়ে তিন হাজার টাকা থেকে আড়াই হাজার টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। তবে শুধু হস্টেলে থাকার সুবিধাই এক্ষেত্রে দেওয়া হচ্ছে। খাবার ও অন্যান্য খরচ আলাদাভাবে যোগ করা হলেও কোচিংয়ে স্বাভাবিক ভাড়া ছিল 14 থেকে 15 হাজার টাকা। এখন পরিস্থিতি অবশ্য একেবারেই উলটো হয়ে গিয়েছে। হস্টেল মালিক স্বপ্নিল শর্মা বলেন, "কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ করেও সস্তায় রুম দিতে হচ্ছে। কতটা খারাপ পরিস্থিতি ভেবে দেখুন ৷ শিক্ষার্থী না আসা বা ভুলভাবে হস্টেল ভরাটের কারণে সব হস্টেল মালিকরাই উদ্বিগ্ন।"

কোটায় ফের নিট পরীক্ষার্থীর মৃ্ত্যু, তদন্তে পুলিশ

আরও এক হস্টেলের মালিক রাজনারায়ণ গর্গ বলেন, "জেলা প্রশাসন বর্তমানে পিজি এবং হস্টেলে নতুন কিছু ব্যবস্থা নিতে বলেছে। পড়ুয়ারা যাতে আত্মহত্যা না করতে পারে তা নিশ্চিত করতেই এই সমস্ত ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ৷ এই অবস্থা আরও কিছুদিন চলতে থাকলে কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হস্টেল অপারেটরদের পক্ষে কিস্তি পরিশোধ করা কঠিন হয়ে পড়বে। অনেক হস্টেল অপারেটরের মাসিক কিস্তি কয়েক হাজার টাকা থেকে শুরু করে দেড় লাখ টাকা ৷ সেটাও তাঁরা পরিশোধ করতে পারছেন না। মাত্র তিন-চার হাজার পড়ুয়া থাকলেও এখানে হস্টেলে ঘরের সংখ্যা প্রায় 18 থেকে 20 হাজার। এখন পাঁচ থেকে ছয় হাজার টাকায় ঘর দিতে বাধ্য হচ্ছে। আমার নিজের হস্টেলে 74টি ঘর রয়েছে, যাতে 16 জন মতো ছাত্র থাকে।"

হস্টেল অপারেটর বদ্রী প্রসাদ বিজয়বর্গীর অভিযোগ, কোচিং ইনস্টিটিউটগুলিতে কর্মরত কর্মীরা হস্টেল লিজ নিয়ে নিচ্ছেন। তাঁরা সরাসরি এসব হস্টেলে পড়ুয়াদের পাঠাচ্ছেন। ফলে কিছু হস্টেলে ভালো সংখ্যক ছাত্র থাকেন আবার কিছু হস্টেলে মাত্র এক বা দুইজন ছাত্র থাকেন। তিনি বলেন, "শিক্ষার্থী অনেক কমে গিয়েছে ৷ এই অবস্থায় সবাই সমানভাবে শিক্ষার্থী পেলে চলে যাবে ৷ না-হলে অধিকাংশ হস্টেল বন্ধ হয়ে যাবে ৷ আবার পড়ুয়াদের বোঝাতে কোচিং সেন্টারের বাইরে দাঁড়ালে সেখানকার কর্মীরা আমাদের দালাল বা চোর বলে তাড়িয়ে দেয়।"

কোটা, 26 জুন: স্থানীয় অর্থনীতির অনেকটাই নির্ভর করে শুধুমাত্র কোচিংয়ের জন্য সারা দেশ থেকে কোটায় আসা পড়ুয়াদের উপরেই ৷ এবারও কোটায় কোচিং-এর ফলাফল চমৎকার হয়েছে ৷ কিন্তু বিগত কয়েক বছরে আত্মহত্যার কারণে কোটার কোচিং সারা দেশে কুখ্যাত হয়ে উঠেছে ৷ এর প্রত্যক্ষ প্রভাব এখানকার অর্থনীতিতেও পড়ছে। অন্যদিকে, কোটা কোচিং ইনস্টিটিউটের অনেক কেন্দ্র সারা দেশে খোলা হয়েছে ৷ অন্য কোচিং ইনস্টিটিউটের সঙ্গে তারা প্রতিযোগিতাতেও নেমেছে ৷ এসব কারণে এবার কোটায় কোচিংয়ে আসা শিক্ষার্থীর সংখ্যাও কমেছে।

জানা যাচ্ছে, এবার কোটায় প্রায় 40 শতাংশ কম শিক্ষার্থী কোচিং এসেছেন। প্রায় 1.2 লক্ষ শিক্ষার্থী কোচিংয়ের জন্য কোটায় এসেছেন ৷ সেখানে গত বছরগুলিতে এই সংখ্যা ছিল প্রায় 2 লক্ষেরও বেশি। এ কারণে কোটার কোচিং এলাকায় কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হস্টেলগুলো এখন খালি পড়ে আছে। মাত্র 10 থেকে 30 শতাংশে পড়ুয়ারা এসেছেন ৷ স্বভাবতই কোটি টাকা বিনিয়োগে তৈরি করা হস্টেল নিয়ে মালিকরা রীতিমতো উদ্বিগ্ন ৷ অনেক হস্টেল মালিক তাঁদের হস্টেল বন্ধ করে দিয়েছেন ৷ কর্মীরাও চাকরি হারিয়েছেন ৷ এর প্রভাবে বেকারত্বও বেড়ছে ৷ কমবেশি কোটার সব এলাকায় একই অবস্থা। বহু এলাকায় হস্টেলের ভাড়াও কমে গিয়েছে অনেকটাই ৷

কোটায় আত্মঘাতী বাংলার ছাত্র! উদ্ধার নিট পরীক্ষার্থীর ঝুলন্ত দেহ

কোটার কোচিং এলাকায় হস্টেল খালি থাকার কারণে হস্টেল মালিকরা কম দামে ঘর দিতে একরকম বাধ্য হচ্ছেন। এই হস্টেল ঘরগুলি সাড়ে তিন হাজার টাকা থেকে আড়াই হাজার টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। তবে শুধু হস্টেলে থাকার সুবিধাই এক্ষেত্রে দেওয়া হচ্ছে। খাবার ও অন্যান্য খরচ আলাদাভাবে যোগ করা হলেও কোচিংয়ে স্বাভাবিক ভাড়া ছিল 14 থেকে 15 হাজার টাকা। এখন পরিস্থিতি অবশ্য একেবারেই উলটো হয়ে গিয়েছে। হস্টেল মালিক স্বপ্নিল শর্মা বলেন, "কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ করেও সস্তায় রুম দিতে হচ্ছে। কতটা খারাপ পরিস্থিতি ভেবে দেখুন ৷ শিক্ষার্থী না আসা বা ভুলভাবে হস্টেল ভরাটের কারণে সব হস্টেল মালিকরাই উদ্বিগ্ন।"

কোটায় ফের নিট পরীক্ষার্থীর মৃ্ত্যু, তদন্তে পুলিশ

আরও এক হস্টেলের মালিক রাজনারায়ণ গর্গ বলেন, "জেলা প্রশাসন বর্তমানে পিজি এবং হস্টেলে নতুন কিছু ব্যবস্থা নিতে বলেছে। পড়ুয়ারা যাতে আত্মহত্যা না করতে পারে তা নিশ্চিত করতেই এই সমস্ত ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ৷ এই অবস্থা আরও কিছুদিন চলতে থাকলে কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হস্টেল অপারেটরদের পক্ষে কিস্তি পরিশোধ করা কঠিন হয়ে পড়বে। অনেক হস্টেল অপারেটরের মাসিক কিস্তি কয়েক হাজার টাকা থেকে শুরু করে দেড় লাখ টাকা ৷ সেটাও তাঁরা পরিশোধ করতে পারছেন না। মাত্র তিন-চার হাজার পড়ুয়া থাকলেও এখানে হস্টেলে ঘরের সংখ্যা প্রায় 18 থেকে 20 হাজার। এখন পাঁচ থেকে ছয় হাজার টাকায় ঘর দিতে বাধ্য হচ্ছে। আমার নিজের হস্টেলে 74টি ঘর রয়েছে, যাতে 16 জন মতো ছাত্র থাকে।"

হস্টেল অপারেটর বদ্রী প্রসাদ বিজয়বর্গীর অভিযোগ, কোচিং ইনস্টিটিউটগুলিতে কর্মরত কর্মীরা হস্টেল লিজ নিয়ে নিচ্ছেন। তাঁরা সরাসরি এসব হস্টেলে পড়ুয়াদের পাঠাচ্ছেন। ফলে কিছু হস্টেলে ভালো সংখ্যক ছাত্র থাকেন আবার কিছু হস্টেলে মাত্র এক বা দুইজন ছাত্র থাকেন। তিনি বলেন, "শিক্ষার্থী অনেক কমে গিয়েছে ৷ এই অবস্থায় সবাই সমানভাবে শিক্ষার্থী পেলে চলে যাবে ৷ না-হলে অধিকাংশ হস্টেল বন্ধ হয়ে যাবে ৷ আবার পড়ুয়াদের বোঝাতে কোচিং সেন্টারের বাইরে দাঁড়ালে সেখানকার কর্মীরা আমাদের দালাল বা চোর বলে তাড়িয়ে দেয়।"

Last Updated : Jun 26, 2024, 8:54 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.