বরেলি, 27 অক্টোবর: নিখোঁজ শিশুকন্যার বস্তাবন্দি দেহ মিলল প্রতিবেশী এক মহিলার বাড়ি থেকে ৷ এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায় ৷ শনিবার দুপুর থেকেই ও শিশুটিকে (4) খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না ৷ পরে পুলিশি তল্লাশিতে প্রতিবেশী এক মহিলার বাড়ি থেকে একটি বস্তা উদ্ধার হয় ৷ তাতে ওই শিশুকন্যার দেহ পায় পুলিশ ৷ ওই মহিলা শিশুটির সম্পর্কে কাকিমা হন বলে খবর ৷
এই খুনের ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের বরেলি জেলার ইজ্জত নগর থানা এলাকার শিকারপুর চৌধরী গ্রামের ৷ স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার দুপুরে ওই শিশুটি বাড়ির সামনেই খেলাধুলো করছিল ৷ 3টে নাগাদ সে হঠাৎ নিখোঁজ হয়ে যায় ৷ বাড়ির সদস্যরা সেই সময় ধান কাটতে গিয়েছিলেন ৷ তাঁরা বাড়ি ফিরে দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন ৷ পরে গ্রামের বাসিন্দারাও সন্ধান চালান ৷
শিশুটিকে কোথাও খুঁজে না পেয়ে পরিবারের লোকজন ইজ্জত নগর থানায় খবর দেয় ৷ পুলিশের আইসি ধনঞ্জয় পাণ্ডে-সহ পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ৷ তাঁরা ওই শিশুটির বাড়ির চারদিকে তল্লাশি অভিযান চালান ৷ রাত 11টা নাগাদ ওই পরিবারের লাগোয়া তিন নম্বর বাড়ি থেকে পুলিশ নিখোঁজ শিশুকন্যার দেহ উদ্ধার করে ৷ একটি কাপড়ের স্তূপের নীচে একটি বস্তার মধ্যে মেয়েটির মৃতদেহ রাখা ছিল ৷ ওই বাড়িটি সাবিত্রী দেবীর ৷ তাঁকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ৷
শিশুকন্যার দাদু শ্যাম বিহারি বলেন, "আমার নাতনি খেলা করছিল ৷ আমরা মাঠে গিয়েছিলাম ধান কাটতে ৷ নাতনি হঠাৎ হারিয়ে যায় ৷ অনেকক্ষণ ধরে খোঁজার পরেও তাকে না পেয়ে তার মা বাড়িতে বিষয়টি খুলে বলে ৷ গ্রামের লোকজনও খুঁজছিল ৷ তারপরেও তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি ৷ এর 8 ঘণ্টা পরে সাবিত্রীর ঘর থেকে ওর দেহ পাওয়া যায় ৷ তিনি আমাদেরই আত্মীয় ৷ তিনি আমাদের সম্পত্তির অর্ধেকের মালিক ৷"
45 বছর বয়সি সাবিত্রী দেবী সম্পর্কে ওই শিশুর কাকিমা ৷ মেয়েটি প্রায়ই তাঁর বাড়িতে খেলতে যেত ৷ পরিবারের অভিযোগ, কাকিমা শিশুটিকে শ্বাসরোধ করে খুন করেছে ৷ তারপর একটি বস্তার মধ্যে দেহটি পুরে লুকিয়ে রেখে দিয়েছিল ৷ তার উপর কাপড়চোপড় রেখে দিয়েছিল ৷
পুলিশ দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে ৷ এসএসপি অনুরাগ আর্য বলেন, "রাত সাড়ে ন'টার সময় ইজ্জত নগর থানার অন্তর্গত শিকারপুর চৌধরী গ্রাম থেকে খবর পাওয়া যায় যে 4 বছরের একটি শিশুকন্যা নিখোঁজ ৷ তল্লাশির দু'ঘণ্টা পর লাগোয়া ঘর থেকে শিশুটির দেহ পাওয়া গিয়েছে ৷" দু'জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে ৷ কে এবং কেন ওই শিশুকন্যাকে খুন করল, তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ ৷