সুপল (বিহার), 19 অগস্ট: খাবারে বিষক্রিয়ার জেরে হাসপাতালে ভর্তি করা হল বিহার পুলিশের সশস্ত্র বাহিনীর দেড়শোরও বেশি জওয়ানকে ৷ রবিবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে সুপল জেলার বীরপুরে ৷ খাবার খাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই বাহিনীর সদস্যদের বমি হতে শুরু করে ৷ সঙ্গে বুকে জ্বালা করতে থাকে ৷ সেই সময় অধিকাংশ সদস্য ট্রেনিং করছিলেন বলে জানা গিয়েছে ৷
বিহারের বীরপুর ও ভীমনগরের বিহার পুলিশের বিশেষ সশস্ত্র বাহিনীর 12 ও 15 নম্বর ব্যাটেলিয়নের প্রশিক্ষণ শিবির চলছিল ৷ সেখানেই বেশ কয়েকদিন ধরে ট্রেনিংয়ে থাকা বাহিনীর সদস্যরা খাবারের মান নিয়ে প্রশ্ন তোলেন ৷ অভিযোগ, ক্যাম্পের নেতৃত্বে থাকা কমান্ডান্টকে খাবারের মান নিয়ে একাধিকবার অভিযোগ করা হয়েছিল বাহিনীর তরফে ৷ কিন্তু, তিনি সেই অভিযোগে আমল দেননি ৷
রবিবার দুপুরের খাবার খাওয়ার পর দুই ব্যাটেলিয়নের সদস্যরা প্রশিক্ষণ শুরু করে দেন ৷ তার কিছুক্ষণ পরেই তাঁদের বুকে জ্বালা শুরু হয় ৷ সঙ্গে ডায়রিয়ার লক্ষণ দেখা দেয় ৷ তাঁদের তড়িঘড়ি বীরপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় ৷ ক্যাম্পের সদস্য মুকেশ কুমার জানিয়েছেন, ঘটনার পর রান্নার জায়গায় গিয়ে তল্লাশি চালানো হয় ৷ সেখানে এক বান্ডিল সালফা পাওয়া গিয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি ৷ মনে করা হচ্ছে, কোনওভাবে সেই সালফা খাবারে মিশে গিয়েছে ৷
অন্যদিকে, মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসা পরিষেবা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে ৷ বাহিনীর সদস্যরা জানিয়েছেন, মাত্র একজন চিকিৎসক শতাধিক রোগীকে দেখছেন ৷ এমনকি হাসপাতালে নার্সদের সংখ্যাও কম ৷ ফলে চিকিৎসায় দেরি হওয়ায়, অনেকের শারীরিক অবস্থার অবনতি হয় ৷ পাশাপাশি, হাসপাতালে ওষুধ নেই বলে অভিযোগ ৷ বাইরে থেকে ওষুধ কিনে আনতে হচ্ছে সশস্ত্র বাহিনীর অন্যান্য সদস্যদের ৷
এই ঘটনা নিয়ে বীরপুরের মহকুমাশাসক নীরজ কুমার বলেন, "বিহার পুলিশের বিশেষ সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের খাবারে বিষক্রিয়ার একটা ঘটনা ঘটেছে ৷ এই মুহূর্তে অপেক্ষা করা ছাড়া উপায় নেই ৷ পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হচ্ছে ৷ বীরপুরের এসডিপিও সুরেন্দ্র কুমার ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন এবং বিষয়টি সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করছেন ৷"