Rabindranath Tagore: জোড়াসাঁকোতে হঠাৎ দেখা... রবীন্দ্রনাথ ! - Jorasanko Thakurbari
🎬 Watch Now: Feature Video
ছোটবেলা থেকেই কবিগুরুর গান শুনে, কবিতা পড়ে তিনি হয়ে উঠেছিলেন রবীন্দ্রপ্রেমী ৷ তিনি রবি ঠাকুরেই বাঁচেন ৷ হঠাৎ দেখলে মনে হয়, এই বুঝি সামনে এসে দাঁড়িয়েছেন কবিগুরু ৷ কিন্তু কাছে গেলে বোঝা যায়, শুধুমাত্র মনেপ্রাণে রবিঠাকুরপ্রেমী তিনি নন, মুখবয়বেও সেই ছাপ যেন স্পষ্ট ৷ সেই কোঁকড়ানো চুল, মুখে লম্বা কাঁচা-পাকা দাড়ি ৷ যিনি ভালোবেসে নিজেকে সঁপেছেন রবি ঠাকুরের চরণে ৷ তিনি সোমনাথ ভদ্র ৷ রবীন্দ্র সদন থেকে জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িতে যাঁর নিত্য আনাগোনা ৷ অভিনেত্রী মহুয়া রায়চৌধুরীর ভাসুর ছিলেন প্রযোজক ৷ তিনিই প্রথম সোমনাথকে বলেছিলেন, ছোটবেলার রবীন্দ্রনাথ ৷ সেই প্রথম কেউ তাঁকে রবীন্দ্রনাথের প্রতিরূপ বলে মন্তব্য করেছিলেন ৷ এরপর কেটে যায় অনেকটা সময় ৷ রবিতীর্থে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন গোলপার্কের রামকৃষ্ণ মিশনের সুপর্না নন্দ মহারাজজি ৷ তিনিই সোমনাথ ভদ্রকে রবি ঠাকুরের ছবির সামনে দাঁড় করিয়ে প্রথম বলেছিলেন, "আপনি কখনও চুল-দাড়ি কাটবেন না ৷" তারপর থেকে আর চুল-দাড়ি কাটেননি তিনি ৷ 2008 সালে জোড়াসাঁকো অনুষ্ঠানে সোসাইটির সেই সময়ের সম্পাদক আনন্দমোহন মুখোপাধ্যায় তাঁকে দিয়েছেন আজীবন সদস্যপদ ৷ 22 শ্রাবণ, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের 82তম প্রয়াণ দিবসে ইটিভি ভারতের প্রতিনিধির সঙ্গে মুখোমুখি সাক্ষাৎকারে উঠে এল সোমনাথ ভদ্রের এই পথচলা ৷ তাই রবি স্মরণে সোমনাথ ভদ্র মহাশয়কে সামনে রেখে বলাই যায়, "যদি থাকি কাছাকাছি, দেখিতে না পাও ছায়ার মতন আছি না আছি- তবু মনে রেখো ৷"