স্বাস্থ্য সেবা ব্যবস্থায় পারিবারিক চিকিৎসকদের অবদানকে স্বীকৃতি জানাতে এবং তা তুলে ধরতে প্রতি বছর ১৯ মে বিশ্ব পরিবার ডাক্তার দিবস (এফডিডি) পালন করা হয় । দিনটি সর্ব প্রথম ২০১০ সালে ওয়ার্ল্ড অর্গানাইজেশন অফ ন্যাশনাল কলেজ, অ্যাকাডেমি অ্যান্ড জেনারেল প্রাকটিশিয়ানস / ফ্যামিলি ফিজিশিয়ান্সের অ্যাকাদেমিক অ্যাসোসিয়েশনস (ডবলুওএনসিএ) দ্বারা পালিত হয় । ডবলুওএনসিএ -র সংক্ষিপ্ত নাম পরিবার চিকিৎসকদের বিশ্ব সংস্থা । এই বছরের থিম হল "ভবিষ্যৎ গড়ব পারিবারিক চিকিৎসকের সঙ্গে!"
একটি পরিবারের কাছে পারিবারিক চিকিৎসকের অবদান অনস্বীকার্য । যে কোনও অসুস্থতা নিয়ে পরিবারের সকল প্রতিনিধি প্রথমে তাঁরই কাছে যান । এরপর চিকিৎসক রোগীর লিঙ্গ, বয়স ইত্যাদি বুঝে চিকিৎসা শুরু করেন । প্রথমে তারা প্রাথমিক চিকিৎসার দ্বারা এরপর রোগীকে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গুলি সম্পর্কে অবগত করে তার শারীরিক অবস্থা বোঝার চেষ্টা করে ৷ এভাবে তারা একটি গোষ্ঠী পর্যায়ে চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া শুরু করেন ।
এফএফডি ২০২১ সালের চারটি স্তম্ভ --
1) পারিবারিক চিকিৎসকরা প্রাথমিক চিকিৎসা পরিষেবা দিতে পারেন । পরিবারের সকলের স্বাস্থ্যের দিকে নজর দেওয়ার পাশাপাশি উচ্চমানের এবং অল্প খরচায় তারা চিকিৎসা পরিষেবা প্রদান করে থাকেন ।
2) পারিবারিক চিকিৎসকরা রোগীর সঙ্গে দীর্ঘ দিনের সম্পর্ক গড়ে তোলেন । রোগী এবং তার পরিবারের দৃষ্টি ভঙ্গি বুঝে আজীবন চিকিৎসা পরিষেবা প্রদান করে চলেন ।
3) কোভিড ১৯ অতিমারির সময় পারিবারিক চিকিৎসকরা পেশাদার হিসেবে তাদের কাজ চালিয়ে গিয়েছেন । নতুন প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে তারা পরিষেবা প্রদান করে চলেছেন ।
4) আপনি ভাবছেন পারিবারিক চিকিৎসকদের সঙ্গে কীভাবে আগামী সম্পর্ককে মজবুত করবেন ? চিকিৎসকের সঙ্গে আলোচনা করুন, আপনার ক্রিয়াকলাপ এবং উদ্যোগ ওনার সঙ্গে ভাগ করুন । দেখবেন, পারিবারিক চিকিৎসকের সঙ্গে আপনার একটা ভাল সম্পর্ক গড়ে উঠবে ।
এই বছরও কোভিড ১৯ অতিমারির বিরুদ্ধে লড়াই করার সময়ও পারিবারিক চিকিৎসকরা অন্য স্বাস্থ্য কর্মীদের মতোই পাশে থেকে লড়াই করে চলেছেন । ভারতে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ যখন ভয়ঙ্কর আকার নিয়েছে, তখন এই সব পারিবারিক চিকিৎসকরা ঘরে বসে রোগীদের পরিষেবা দিচ্ছেন এবং উৎসাহ জোগাচ্ছেন । পাশাপাশি এই ভয়ঙ্কর রোগের সংক্রমণ যাতে ছড়িয়ে না পড়ে সে জন্য সব রকম সম্ভাব্য প্রতিরোধ মূলক ব্যবস্থা অনুসরণ করছেন ।