হায়দরাবাদ: সাম্প্রতিক সময়ে ভারত ডায়াবেটিসের রাজধানীতে রূপান্তরিত হয়েছে । কিছু রিপোর্ট অনুসারে, বিশ্বে ছ’জনের মধ্যে একজন ডায়াবেটিসে আক্রান্ত একজন ভারতীয় ৷ কিন্তু আপনি কি প্রি-ডায়াবেটিসের কথা শুনেছেন ? এর মানে হল রক্তে সুগার বেড়েছে কিন্তু টাইপ 2 ডায়াবেটিসের প্রান্তে পৌঁছয়নি ৷ তাই একে প্রি-ডায়াবেটিস বলা হয় । একে বর্ডারলাইন ডায়াবেটিসও বলা হয় ।
উদাহরণস্বরূপ, স্বাভাবিক ফাস্টিং সুগার 100 এর মধ্যে হওয়া উচিত এবং ফাস্টিং সুগার 125 এর উপরে থাকলে তিনি ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। এই পরিস্থিতিতে 100 থেকে 125 এর মাত্রা প্রি-ডায়াবেটিসের ক্যাটাগরিতে পড়ে । জেনে নিন, ডায়াবেটিস সম্পর্কে ৷
প্রি-ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তির কি ডায়াবেটিস থাকা আবশ্যক ?
এটা মোটেও সেরকম নয়। জীবনযাত্রায় ইতিবাচক পরিবর্তন এবং উন্নতির মাধ্যমেই এই পরিস্থিতি মোকাবেলা করা যেতে পারে। ভাল খাওয়া এবং শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়ার মাধ্যমে প্রি-ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করা যেতে পারে ।
প্রি-ডায়াবেটিসের লক্ষণগুলি কী কী ?
আরও ক্ষুধার্ত বোধ, তৃষ্ণার্ত বোধ, ঘন মূত্রত্যাগ, ক্লান্তি, পায়ে শিহরণ বা অসাড়তা, ক্ষত যা দীর্ঘ সময়ের জন্য নিরাময় হয় না ৷
পিঠে বা ঘাড়ের পিছনের অংশে ত্বকের আলাদা করে কালো হওয়া যাকে অ্যাক্যানথোসিস নিগ্রিক্যানস বলে ।
কীভাবে প্রি-ডায়াবেটিসকে ডায়াবেটিস হওয়ার আগেই রোধ করা যায় ?
সবার আগে ওজন কমিয়ে ফেলুন । এটি করে আপনি ডায়াবেটিসের ঝুঁকি 50% কমাতে পারেন ।
প্রতিদিন ব্যায়াম, ওয়ার্ক আউট বা হাঁটার মাধ্যমে আপনি ডায়াবেটিসের ঝুঁকি অনেকাংশে কমাতে পারেন ।
বিশেষজ্ঞ বা পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিয়ে সঠিক খাদ্যাভ্যাস নিশ্চিত করুন ।
ধূমপান এবং অ্যালকোহল সেবন বন্ধ করুন ।
আপনার মানসিক চাপ পরিচালনা করুন । যতটা সম্ভব কম চাপ নিন ।
কোলেস্টেরল ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখুন । নিয়মিত রক্ত পরীক্ষা এবং সুগার পরীক্ষা করতে থাকুন ।
আপনার সুগারের মাত্রার দিকে নজর রাখুন ।
আরও পড়ুন: শুধু গ্রীষ্মে নয়, শীতেও পাতে থাকুক শশা ! জেনে নিন এর উপকারিতা
(পরামর্শগুলি শুধুমাত্র সাধারণ তথ্যের ভিত্তিতে ৷ আপনার কোনও প্রশ্ন থাকলে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন)