হায়দরাবাদ: পরিবর্তিত জীবনধারা ও ভুল খাদ্যাভ্যাসের কারণে মানুষ অনেক কঠিন রোগের শিকার হচ্ছে । এই বিপজ্জনক রোগগুলির মধ্যে একটি হল ডায়াবেটিস ৷ যা বর্তমানে সময়ে একটি সাধারণ রোগ । ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে ডায়েট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে । আপনি যদি ডায়েটে কম গ্লাইসেমিক সূচকযুক্ত খাবার অন্তর্ভুক্ত করেন তবে এটি রক্তে শর্করার মাত্রা স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করবে ।
করলা: করলা সুগার রোগীদের জন্য আশীর্বাদের চেয়ে কম নয় । আপনি যদি ডায়াবেটিক রোগী হন, তাহলে আপনার খাদ্যতালিকায় করলা অবশ্যই রাখুন । আপনি এর রস পান করতে পারেন, যা রক্তে শর্করার মাত্রা স্বাভাবিক রাখবে ।
মেথি বীজ: মেথি বীজ ডায়াবেটিসে রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণের একটি কার্যকর উপায় । এতে উপস্থিত ফাইবার মেটাবলিজম ঠিক করে এবং পেট সংক্রান্ত সমস্যা কমাতেও সাহায্য করে । যাদের ডায়াবেটিসের সমস্যা আছে তারা সারারাত মেথি বীজ ভিজিয়ে রাখুন এবং সকালে খালি পেটে এই জল খান।
গ্রিন টি: গ্রিন টিতে পলিফেনল এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য পাওয়া যায় । এটি পান করলে সুগার নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায় । এজন্য প্রতিদিন গ্রিন টি খান ।
শণ বীজ: শণের বীজ ওমেগা-3 ফ্যাটি অ্যাসিড, প্রোটিন এবং ফাইবার সমৃদ্ধ । এগুলি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
ওটমিল: ওটমিল দ্রবণীয় ফাইবার সমৃদ্ধ । আপনি এটি একটি ব্রেকফাস্ট হিসাবে অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন ৷ এতে উপস্থিত ফাইবার গ্লুকোজের শোষণকে কমিয়ে দিতে সাহায্য করে ৷ যা রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়াতে বাধা দেয় ।
মুসুর ডাল: ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য মুসুর ডাল খুবই উপকারী । আপনি আপনার ডায়েটে মুগ, মুসুর ডাল, বিনস, ছোলা ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন । এই ডালে কম গ্লাইসেমিক ইনডেক্স (GI) থাকে । এগুলিতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার এবং প্রোটিন রয়েছে ৷ যা রক্তে শর্করাকে স্বাভাবিক রাখে ।
বাদাম: ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বাদাম খুবই উপকারী । এটি ফাইবার, প্রোটিন এবং ওমেগা-3 ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ। আপনি আপনার খাদ্যতালিকায় বাদাম এবং আখরোট অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন । এগুলি রক্তে শর্করার মাত্রা কমিয়ে দেয় ।
আরও পড়ুন: সুন্দর ও মজবুত চুল পেতে ব্যবহার করুন এই ফল ! জেনে নিন ব্যবহারের পদ্ধতি
(পরামর্শগুলি শুধুমাত্র সাধারণ তথ্যের ভিত্তিতে ৷ আপনার কোনও প্রশ্ন থাকলে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন)