ETV Bharat / sukhibhava

কম থাইরয়েড ক্ষরণ আপনার সন্তানধারণের ক্ষেত্রে কী প্রভাব ফেলে ? - সুখীভব

হায়দরাবাদের নোভা আইভিএফ ফার্টিলিটির পরামর্শদাতা চিকিৎসক হিমা ত্রিপাঠী জানালেন, যে থাইরয়েডের স্বাস্থ্য এবং ফার্টিলিটির মধ্যে একটা জটিল সম্পর্ক রয়েছে । থাইরয়েডের অসুখ যদি অনির্ধারিত থাকে এবং চিকিৎসা না হয়, তা বন্ধ্যাত্বের সম্ভাব্য কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে । ডা. ত্রিপাঠী বিশদে জানালেন যে থাইরয়েড ডিজঅর্ডার, এর উপসর্গ কী এবং হাইপারথাইরয়েডিজম কিভাবে আপনার সন্তানধারণ ক্ষমতায় প্রভাব ফেলতে পারে ।

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি
author img

By

Published : Mar 14, 2021, 8:46 AM IST

থাইরয়েড গ্রন্থি হল একটি প্রজাপতি-আকারের অঙ্গ, যা আমাদের গলার সামনের দিকে থাকে এবং মেটাবলিজম নিয়ন্ত্রণকারী হরমোন তৈরি করে । সুতরাং গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গের উপর তার প্রভাব রয়েছে । সন্তানধারণ ও সন্তানের জন্ম দেওয়ার ক্ষমতাকে আমরা ফার্টিলিটি বলে থাকি ।

থাইরয়েড ডিজ়অর্ডার:

থাইরয়েড ডিজঅর্ডার হল থাইরয়েড গ্ল্যান্ডের অস্বাভাবিক কার্যকলাপ, যার জেরে ট্রায়োডোথাইরোনিন (টিথ্রি) এবং থাইরক্সিনের (টি-ফোর) মতো থাইরয়েড হরমোনের বেশি ক্ষরণ (হাইপারথাইরয়েডিজম) বা কম ক্ষরণ (হাইপোথাইরয়েডিজম) হতে পারে ।

হাইপোথাইরয়েডিজমের প্রভাব:

হাইপোথাইরয়েডিজম সন্তানধারণ ক্ষমতার ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলে । সন্তানধারণ এবং ভ্রুণকে পরিণত করে তোলার পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায় । জার্নাল অফ অ্যাপ্লায়েড অ্যান্ড বেসিক মেডিকেল রিসার্চে প্রকাশিত একটি গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, পরিণত বয়সের 2 থেকে 4 শতাংশ মহিলার মধ্যে কম থাইরয়েড হরমোন লেভেল দেখা যায়। এর ফলে হাইপোথাইরয়েডিজম সংক্রান্ত সমস্যা তৈরি হয় । এই সমস্যার জেরে ওভুলেটরি সাইকলে প্রভাব পড়ে, লুটিয়াল ফেজ ডিফেক্ট, হাইপারপ্রোল্যাক্টিনেমিয়া ও যৌন হরমোনে ভারসাম্যহীনতা তৈরি হয়। সুতরাং সুস্থ সন্তানধারণের জন্য থাইরয়েড স্বাভাবিক থাকা গুরুত্বপূর্ণ । অস্বাভাবিক টিএসএইচ লেভেল ওভুলেশনে বাধা দিতে পারে এবং থাইরয়েডের সমস্যার চিকিৎসা না হলে, তার থেকে লুটিয়াল ফেজ ডিসরাপশন তৈরি হতে পারে । এর সঙ্গে রয়েছে প্রোজেস্টেরন লেভেল । যদি একটা থাইরয়েডের সমস্যা অনিয়ন্ত্রিত থাকে, তার থেকে ভ্রুণ প্রতিস্থাপনের সম্ভাবনা কমায় রোগীর সন্তানধারণে সমস্যা হয় । কিছুক্ষেত্রে গর্ভপাতের মতো ঘটনাও ঘটে । প্রোজেস্টেরনের ভারসাম্যহীনতার লক্ষণ হল ঋতুচক্র ছোটো বা দীর্ঘায়িত হওয়া এবং স্বাভাবিকের থেকে ব্লিডিং বেশিও হতে পারে । এছাড়াও সন্তানের জন্ম দেওয়ার ক্ষমতা শুধু নারীদের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, কিন্তু সাধারণত মহিলাদের মধ্যে বেশি দেখা যায় । থাইরয়েডের সমস্যা কোনও দম্পতির সার্বিক ফার্টিলিটি হেল্থে প্রভাব ফেলতে পারে । এতে স্পার্ম কোয়ালিটি এবং মোটিলিটিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়, এবং শুক্রাণুর পক্ষে ডিম্বানুতে প্রবেশ করা কঠিন হয়ে পড়ে ।

থাইরয়েড হরমোনের কম ক্ষরণের জেরে নিম্নলিখিত সমস্যাগুলো হতে পারে:

1. ঋতুচক্রে বাধা

2. ওভুলেশনে সমস্যা

3.গর্ভপাতের ঝুঁকি

4.সময়ের আগেই জন্মের সম্ভাবনা

সচেতনতা ও উপসর্গ :

সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা যাচ্ছে যে প্রতি দশজন ভারতীয়ের মধ্যে একজনের হাইপোথাইরয়েডিজম আছে । এটা এমন একটা সমস্যা, যেখানে থাইরয়েড গ্রন্থি পর্যাপ্ত থাইরয়েড হরমোন ক্ষরণ করে না ৷ পুরুষের তুলনায় মহিলাদের মধ্যে এটা দ্বিগুণ সংখ্যায় দেখা যায়, এবং গর্ভধারণের বয়সে আসা মহিলাদের মধ্যে এটা প্রায়শই চোখে পড়ে । টিএসএইচের একটা সাধারণ রক্তপরীক্ষাতেই এটা ধরা পড়ে । কিন্তু অনেকের ক্ষেত্রেই পরীক্ষা হয় না ।

হাইপোথাইরয়েডিজমের সাধারণ উপসর্গগুলো হল:

1.বারবার ও বেশি পরিমাণে ঋতুস্রাব

2.ক্লান্তি

3.পেশীতে ব্যাথা

4.ভুলে যাওয়া

5.শুকনো ত্বক ও চুল

6.ওজন বৃদ্ধি

7.ঠাণ্ডা লেগে যাওয়া

সুতরাং থাইরয়েড স্টিমুলেটিং হরমোন (টিএসএইচ) এবং টি-ফোর লেভেলের দিকে নজর রাখতে হবে, বিশেষ করে সন্তানধারণের আগে । বিশেষ করে যদি কারও কম থাইরয়েড হরমোন ধরা পড়ে, বা আগে গর্ভপাত হয়ে থাকে, তাঁদের ক্ষেত্রে এটা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ । পরিবারে থাইরয়েড বা অন্যান্য অটো-ইমিউনড অসুখের ইতিহাস থাকলে ঝুঁকিটা বেশি থাকে। সন্তানধারণের পরিকল্পনার শুরুতেই হাইপোথাইরয়েড উপসর্গের মোকাবিলা করা গেলে চিকিৎসাটাও সহজ হয়, ভবিষ্যতে যার সুফল পাওয়া যেতে পারে ।

থাইরয়েড গ্রন্থি হল একটি প্রজাপতি-আকারের অঙ্গ, যা আমাদের গলার সামনের দিকে থাকে এবং মেটাবলিজম নিয়ন্ত্রণকারী হরমোন তৈরি করে । সুতরাং গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গের উপর তার প্রভাব রয়েছে । সন্তানধারণ ও সন্তানের জন্ম দেওয়ার ক্ষমতাকে আমরা ফার্টিলিটি বলে থাকি ।

থাইরয়েড ডিজ়অর্ডার:

থাইরয়েড ডিজঅর্ডার হল থাইরয়েড গ্ল্যান্ডের অস্বাভাবিক কার্যকলাপ, যার জেরে ট্রায়োডোথাইরোনিন (টিথ্রি) এবং থাইরক্সিনের (টি-ফোর) মতো থাইরয়েড হরমোনের বেশি ক্ষরণ (হাইপারথাইরয়েডিজম) বা কম ক্ষরণ (হাইপোথাইরয়েডিজম) হতে পারে ।

হাইপোথাইরয়েডিজমের প্রভাব:

হাইপোথাইরয়েডিজম সন্তানধারণ ক্ষমতার ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলে । সন্তানধারণ এবং ভ্রুণকে পরিণত করে তোলার পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায় । জার্নাল অফ অ্যাপ্লায়েড অ্যান্ড বেসিক মেডিকেল রিসার্চে প্রকাশিত একটি গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, পরিণত বয়সের 2 থেকে 4 শতাংশ মহিলার মধ্যে কম থাইরয়েড হরমোন লেভেল দেখা যায়। এর ফলে হাইপোথাইরয়েডিজম সংক্রান্ত সমস্যা তৈরি হয় । এই সমস্যার জেরে ওভুলেটরি সাইকলে প্রভাব পড়ে, লুটিয়াল ফেজ ডিফেক্ট, হাইপারপ্রোল্যাক্টিনেমিয়া ও যৌন হরমোনে ভারসাম্যহীনতা তৈরি হয়। সুতরাং সুস্থ সন্তানধারণের জন্য থাইরয়েড স্বাভাবিক থাকা গুরুত্বপূর্ণ । অস্বাভাবিক টিএসএইচ লেভেল ওভুলেশনে বাধা দিতে পারে এবং থাইরয়েডের সমস্যার চিকিৎসা না হলে, তার থেকে লুটিয়াল ফেজ ডিসরাপশন তৈরি হতে পারে । এর সঙ্গে রয়েছে প্রোজেস্টেরন লেভেল । যদি একটা থাইরয়েডের সমস্যা অনিয়ন্ত্রিত থাকে, তার থেকে ভ্রুণ প্রতিস্থাপনের সম্ভাবনা কমায় রোগীর সন্তানধারণে সমস্যা হয় । কিছুক্ষেত্রে গর্ভপাতের মতো ঘটনাও ঘটে । প্রোজেস্টেরনের ভারসাম্যহীনতার লক্ষণ হল ঋতুচক্র ছোটো বা দীর্ঘায়িত হওয়া এবং স্বাভাবিকের থেকে ব্লিডিং বেশিও হতে পারে । এছাড়াও সন্তানের জন্ম দেওয়ার ক্ষমতা শুধু নারীদের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, কিন্তু সাধারণত মহিলাদের মধ্যে বেশি দেখা যায় । থাইরয়েডের সমস্যা কোনও দম্পতির সার্বিক ফার্টিলিটি হেল্থে প্রভাব ফেলতে পারে । এতে স্পার্ম কোয়ালিটি এবং মোটিলিটিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়, এবং শুক্রাণুর পক্ষে ডিম্বানুতে প্রবেশ করা কঠিন হয়ে পড়ে ।

থাইরয়েড হরমোনের কম ক্ষরণের জেরে নিম্নলিখিত সমস্যাগুলো হতে পারে:

1. ঋতুচক্রে বাধা

2. ওভুলেশনে সমস্যা

3.গর্ভপাতের ঝুঁকি

4.সময়ের আগেই জন্মের সম্ভাবনা

সচেতনতা ও উপসর্গ :

সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা যাচ্ছে যে প্রতি দশজন ভারতীয়ের মধ্যে একজনের হাইপোথাইরয়েডিজম আছে । এটা এমন একটা সমস্যা, যেখানে থাইরয়েড গ্রন্থি পর্যাপ্ত থাইরয়েড হরমোন ক্ষরণ করে না ৷ পুরুষের তুলনায় মহিলাদের মধ্যে এটা দ্বিগুণ সংখ্যায় দেখা যায়, এবং গর্ভধারণের বয়সে আসা মহিলাদের মধ্যে এটা প্রায়শই চোখে পড়ে । টিএসএইচের একটা সাধারণ রক্তপরীক্ষাতেই এটা ধরা পড়ে । কিন্তু অনেকের ক্ষেত্রেই পরীক্ষা হয় না ।

হাইপোথাইরয়েডিজমের সাধারণ উপসর্গগুলো হল:

1.বারবার ও বেশি পরিমাণে ঋতুস্রাব

2.ক্লান্তি

3.পেশীতে ব্যাথা

4.ভুলে যাওয়া

5.শুকনো ত্বক ও চুল

6.ওজন বৃদ্ধি

7.ঠাণ্ডা লেগে যাওয়া

সুতরাং থাইরয়েড স্টিমুলেটিং হরমোন (টিএসএইচ) এবং টি-ফোর লেভেলের দিকে নজর রাখতে হবে, বিশেষ করে সন্তানধারণের আগে । বিশেষ করে যদি কারও কম থাইরয়েড হরমোন ধরা পড়ে, বা আগে গর্ভপাত হয়ে থাকে, তাঁদের ক্ষেত্রে এটা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ । পরিবারে থাইরয়েড বা অন্যান্য অটো-ইমিউনড অসুখের ইতিহাস থাকলে ঝুঁকিটা বেশি থাকে। সন্তানধারণের পরিকল্পনার শুরুতেই হাইপোথাইরয়েড উপসর্গের মোকাবিলা করা গেলে চিকিৎসাটাও সহজ হয়, ভবিষ্যতে যার সুফল পাওয়া যেতে পারে ।

For All Latest Updates

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.