হায়দরাবাদ: নিয়মিত মাসিক প্রতি 24-35 দিনের মধ্যে হয় । তাই যদি আপনার মাসিক চক্র 24 দিনের হয়, তাহলে মাসে দু'বার মাসিক হতে পারে । এই পরিস্থিতিতে এটি উদ্বেগের বিষয় নয় । কিন্তু যদি আপনার চক্রটি এমন না হয় ৷ তারপরও আপনার মাসিক মাসে দু'বার আসে, তাহলে এটি উদ্বেগের বিষয় হতে পারে । এর একাধিক কারণ থাকতে পারে ।
হরমোনের ভারসাম্যহীনতা: ইস্ট্রোজেন এবং প্রোজেস্টেরন হরমোন আপনার পিরিয়ড নিয়ন্ত্রণ করে । তাদের ভারসাম্য পরিবর্তনের কারণে পিরিয়ড চক্রের পরিবর্তনও ঘটে । এর কারণে আপনার মাসিক অনিয়মিত হতে পারে। হরমোনের ভারসাম্যহীনতার অনেক কারণ থাকতে পারে ৷ যেমন জীবনযাত্রার পরিবর্তন, জন্মনিয়ন্ত্রণ ওষুধ, মানসিক চাপ ইত্যাদি । এইসব কারণে হরমোনের পরিবর্তনই মাসে দুইবার পিরিয়ড আসার সবচেয়ে বড় কারণ ।
থাইরয়েড: থাইরয়েড গ্রন্থির সমস্যার কারণে মাসে দু'বার পিরিয়ড আসতে পারে । থাইরয়েড গ্রন্থি দ্বারা হরমোন উৎপাদনে পরিবর্তনের ফলে পিরিয়ড চক্রের পরিবর্তন ঘটে । থাইরয়েড রোগে আক্রান্ত মহিলাদের প্রায়ই অনিয়মিত মাসিক হয় । সুতরাং আপনার থাইরয়েড পরীক্ষা করা উচিত ।
পেরিমেনোপজ: এটি মেনোপজের আগের অবস্থা এবং প্রায়শই 40 বছরের বেশি বয়সি মহিলাদের মধ্যে ঘটে । এই সময়ে শরীরে হরমোনের পরিবর্তন ঘটে ৷ যার কারণে আপনার মাসিক মাসে দু'বার আসতে পারে । এটি একটি প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া ৷ থবে এর জন্য় ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করে মেনোপজের লক্ষণগুলি পরিচালনা করতে পারেন ।
জরায়ুকে সিস্ট: জরায়ুতে সিস্ট হলে আপনার পিরিয়ড অনিয়মিত হয়ে যায় । এতে আপনার হরমোন ভারসাম্যহীন হয়ে পড়ে। এই কারণে আপনার পিরিয়ড চক্র প্রভাবিত হয় এবং এটি মাসে দু'বার পিরিয়ড হওয়ার কারণ হতে পারে । অতএব যদি এটি আপনার সঙ্গে ঘটে থাকে, তাহলে আপনার ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন ।
স্ট্রেস: আমাদের ব্যস্ত জীবনযাত্রায় স্ট্রেস খুবই সাধারণ হয়ে উঠেছে । এই কারণে আপনার হরমোনের পরিবর্তন হতে পারে ৷ যার ফলে মাসে দু'বার আপনার পিরিয়ড হতে পারে । যদিও এটি শুধুমাত্র একবার বা দু'বার ঘটতে পারে ৷ যদি এটি বারবার ঘটে তবে আপনার ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ নেওয়া উচিত ।
আরও পড়ুন: এই খাবারগুলি পাতে থাকলেই কেল্লাফতে, স্বাস্থ্য থাকবে হাতের মুঠোয়
(পরামর্শগুলি শুধুমাত্র সাধারণ তথ্যের ভিত্তিতে ৷ আপনার কোনও প্রশ্ন থাকলে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন)