হায়দরাবাদ: চুল পড়া ও চুল পাতলা হয়ে যাওয়া আজকাল একটি সাধারণ সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে ৷ আধুনিক জীবন, দূষণ ও বাজারচলতি হেয়ার কেয়ার প্রোডাক্টে ব্যবহৃত রাসায়নিক সবই চুলের গুণমান, চুলের ক্ষতি থেকে শুরু করে চুল পড়ার ক্ষেত্রে অনেকাংশে দায়ী ৷ এই সমস্ত সমস্যার কারণে অনেক মহিলাই আজকাল চুলের যত্নে প্রাকৃতিক উপায় অবলম্বন করছেন ৷ জেনে নিন লম্বা ও মজবুত চুলের জন্য সেরা প্রাকৃতিক উপাদান কোনগুলি ৷
সাধারণত চুলের বৃদ্ধির জন্য আমলাকে সবচেয়ে কার্যকরী প্রতিকার হিসেবে বিবেচনা করা হয় ৷ এটি চুলের ফলিকলকে শক্তিশালী করে এবং চুল পড়া কমাতে সাহায্য করে ৷ এটি চুলে বিভিন্ন উপায়ে প্রয়োগ করা যায় ও সেবনও করা যায় ৷ এর অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য চুলকে খুশকি থেকেও রক্ষা করে ৷
আমাদের ত্বক ও চুলের উপকারে অ্যালোভেরা গাছ প্রভূত সাহায্য করে ৷ চুল ও মাথার ত্বকে সরাসরি ঘৃতকুমারী বা অ্যালোভেরা তেল প্রয়োগ করা সময়ের সঙ্গে চুলকে মজবুত ও ঘন করতে সাহায্য করে ৷ অ্যালোভেরা জেল ও লোশন-সহ বিভিন্ন প্রসাধনীতে সক্রিয় উপাদান হিসেবে ব্যবহৃত হয় ৷
চুলের জন্য প্রাকৃতিক কন্ডিশনার হিসেবে কাজ করে অলিভ অয়েল ৷ এছাড়াও এটি শুষ্ক চুলকে মসৃণ করতে সাহায্য করে ৷ এতে অনেক পুষ্টি উপাদান রয়েছে যা চুল-সহ সার্বিক স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ভালো ৷ বিভিন্ন রাসায়নিক বা অতিরিক্ত স্টাইলিংয়ের কারণে হওয়া চুলের ক্ষতি পূরণ করে অলিভ অয়েল ৷ সরাসরি মাথার ত্বকে লাগালে অলিভ অয়েল চুল ঘন করার ক্ষমতা রাখে ৷ এটি চুলকে নরম করতে পারে এবং শুষ্ক মাথার ত্বকের জায়গাগুলিকে আর্দ্র করে ৷
চুলের স্বাস্থ্যরক্ষায় নারকেল তেলের জুড়ি মেলা ভার ৷ এটি আপনার চুলে প্রোটিনের ক্ষতি রোধ করতে সাহায্য করে ৷ চুল ধোয়ার আগে ও পরে যে কোনও সময়ই এটি ব্যবহার করা যেতে পারে ৷ নারকেল তেলে কয়েক ফোঁটা লেবু যোগ করে চুলে লাগালে চুলের শক্তি বৃদ্ধি পায় ৷ পাশাপাশি তা চুলের সঠিক বৃদ্ধিতে সাহায্য করে ৷
ডিম হল প্রোটিন সমৃদ্ধ একটি উপাদান ৷ চুল মসৃণ করার কাজে খুব কার্যকর হল ডিম ৷ প্রাকৃতিক কন্ডিশনার হিসেবে কাজ করে এটি ৷ সপ্তাহে এক বা দু'বার করে এটি ব্যবহার করলে চুলের বৃদ্ধি ও গঠনে ইতিবাচক প্রভাব পড়ে ৷ চুলে লাগানোর পর আধ ঘণ্টা রেখে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন ৷
আরও পড়ুন : বর্ষায় চুলের সমস্যা ? বাড়িতেই বানান এই হেয়ার প্যাক