ETV Bharat / sukhibhava

বিটের সেরা পাঁচটি উপকারিতা

সুন্দর গাঢ় রঙের বিট তার অ্যাথলেটিক পারফরম্যান্সের উন্নতির কারণে আস্তে আস্তে সুপার ফুড হিসেবে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। কিন্তু শুধু এটাই নয়, বিটের অন্য অনেক উপকারিতাও আছে। এর বিজ্ঞানসম্মত নাম বেটা ভালগারিস এবং একে কাঁচা স্যালাড হিসেবে, সব্জি হিসেবে রান্না করে, এমনকী আচার করেও খাওয়া যায়। আসুন দেখে নিই বিটের কি কি গুণ রয়েছে এবং এটা কতটা পুষ্টিকর।

বিটরুট
বিটরুট
author img

By

Published : Jan 14, 2021, 12:27 PM IST

পুষ্টিগুণ

বিটে ঠাসা রয়েছে ভিটামিন বি-সিক্স, ভিটামিন সি, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ফাইবার, ম্যাঙ্গানিজ, পটাসিয়ামের মতো প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান। এতে রয়েছে নামমাত্র ক্যালোরি এবং ৮৮% জলীয় উপাদান। এর মধ্যে রয়েছে অজৈব নাইট্রেট এবং বেটানিন এবং ভালগাজ্যানথিনের মতো পিগমেন্ট।

1. রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে

উচ্চ রক্তচাপ স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাকের মতো সমস্যার দিকে ঠেলে দিতে পারে। কয়েকটি গবেষণায় দেখা গেছে যে বিট খেলে এই সমস্যার মোকাবিলা করা যায়। এর মধ্যে থাকা নাইট্রেট রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে, যার জন্য হৃদরোগের সম্ভাবনা কমে।

2. উদ্দীপনা বাড়ায়

অনেক গবেষণায় দেখা যাচ্ছে যে বিট খেলে অ্যাথলেটিক পারফরম্যান্স বৃদ্ধি পায়। অর্থাৎ এটা স্ট্যামিনা বাড়ায় ও শরীরে অক্সিজেনকে গ্রহণকে উৎসাহিত করে। এছাড়াও ওয়ার্কআউটের পর পেশীর ব্যাথা কমাতেও বিট সাহায্য করে।

3. হজমশক্তি

বিটে রয়েছে ফাইবার, অন্যতম প্রধান উপাদান যা পেটকে ভাল রাখে। এতে হজমশক্তি ভাল হয়, কোষ্ঠকাঠিন্য সারায় এবং অন্যান্য পেটের রোগকে দূরে রাখে।

4. ক্যান্সার প্রতিরোধ ক্ষমতা

কিছু কিছু ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, যে বিট খেলে নির্দিষ্ট কয়েক ধরণের ক্যান্সার প্রতিরোধ করা যায়। বিটের মধ্যে থাকা পিগমেন্ট শরীরে ক্যান্সার সৃষ্টিকারী কোষের বৃদ্ধি আটকাতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও এই গবেষণা বিছিন্ন মানবকোষ এবং ইঁদুরের মধ্যেই সীমাবদ্ধ এবং এ নিয়ে আরও বৈজ্ঞানিক তথ্যপ্রমাণ প্রয়োজন।

5. শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট

বিটে রয়েছে ভরপুর অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট, যা ক্ষতিকর ফ্রি-রাডিকালসের বিরুদ্ধে লড়াই করে এবং অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমায়। বিজ্ঞানীরা দেখেছেন যে এতে জ্বালাযন্ত্রণা কমে এবং অস্টিও-আরথ্রাইটিসের যন্ত্রণা থেকে উপশম মেলে। এছাড়াও আয়রন এবং ফলিক অ্যাসিড থাকার ফলে, বিট অ্যানিমিয়াকেও প্রতিরোধ করে। এতে লোহিত রক্তকণিকা আরও বেশি পরিমাণে তৈরি হয়, যারা অক্সিজেনকে আমাদের শরীরের বিভিন্ন অংশে পৌঁছে দেয়। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে কমতে থাকা কগনিটিভ ফাংশনকে উন্নত করে মস্তিষ্ককে সুস্থ রাখে। মস্তিষ্কে রক্ত চলাচল বাড়িয়ে ডিমেনশিয়ার ঝুঁকি কমায়। ওজন কমে যাওয়া এবং ডায়াবিটিসের ক্ষেত্রেও বিট উপকারী।

আপনি স্যুপ, স্যালাড, জুস, আচারের মাধ্যমে বিট খেতে পারেন। সব্জি হিসেবে বিট, এমনকী বিটের পাতাও রান্না করে রুটির সঙ্গে খেতে পারেন। ডিপ হিসেবেও খাওয়া যায়। যদিও বিটের কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায় না, কিন্তু যাঁদের কিডনির সমস্যা আছে তাঁদের বিট বেশি খাওয়া চলবে না, কারণ তাতে সমস্যা বাড়তে পারে। যদি আপনার এমন কোনও সমস্যা থাকে, যা বিট খেলে বাড়তে পারেন, তাহলে আপনার ডাক্তার ও ডায়েটিশিয়ানের সঙ্গে আলোচনা করে নিন।

পুষ্টিগুণ

বিটে ঠাসা রয়েছে ভিটামিন বি-সিক্স, ভিটামিন সি, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ফাইবার, ম্যাঙ্গানিজ, পটাসিয়ামের মতো প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান। এতে রয়েছে নামমাত্র ক্যালোরি এবং ৮৮% জলীয় উপাদান। এর মধ্যে রয়েছে অজৈব নাইট্রেট এবং বেটানিন এবং ভালগাজ্যানথিনের মতো পিগমেন্ট।

1. রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে

উচ্চ রক্তচাপ স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাকের মতো সমস্যার দিকে ঠেলে দিতে পারে। কয়েকটি গবেষণায় দেখা গেছে যে বিট খেলে এই সমস্যার মোকাবিলা করা যায়। এর মধ্যে থাকা নাইট্রেট রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে, যার জন্য হৃদরোগের সম্ভাবনা কমে।

2. উদ্দীপনা বাড়ায়

অনেক গবেষণায় দেখা যাচ্ছে যে বিট খেলে অ্যাথলেটিক পারফরম্যান্স বৃদ্ধি পায়। অর্থাৎ এটা স্ট্যামিনা বাড়ায় ও শরীরে অক্সিজেনকে গ্রহণকে উৎসাহিত করে। এছাড়াও ওয়ার্কআউটের পর পেশীর ব্যাথা কমাতেও বিট সাহায্য করে।

3. হজমশক্তি

বিটে রয়েছে ফাইবার, অন্যতম প্রধান উপাদান যা পেটকে ভাল রাখে। এতে হজমশক্তি ভাল হয়, কোষ্ঠকাঠিন্য সারায় এবং অন্যান্য পেটের রোগকে দূরে রাখে।

4. ক্যান্সার প্রতিরোধ ক্ষমতা

কিছু কিছু ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, যে বিট খেলে নির্দিষ্ট কয়েক ধরণের ক্যান্সার প্রতিরোধ করা যায়। বিটের মধ্যে থাকা পিগমেন্ট শরীরে ক্যান্সার সৃষ্টিকারী কোষের বৃদ্ধি আটকাতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও এই গবেষণা বিছিন্ন মানবকোষ এবং ইঁদুরের মধ্যেই সীমাবদ্ধ এবং এ নিয়ে আরও বৈজ্ঞানিক তথ্যপ্রমাণ প্রয়োজন।

5. শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট

বিটে রয়েছে ভরপুর অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট, যা ক্ষতিকর ফ্রি-রাডিকালসের বিরুদ্ধে লড়াই করে এবং অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমায়। বিজ্ঞানীরা দেখেছেন যে এতে জ্বালাযন্ত্রণা কমে এবং অস্টিও-আরথ্রাইটিসের যন্ত্রণা থেকে উপশম মেলে। এছাড়াও আয়রন এবং ফলিক অ্যাসিড থাকার ফলে, বিট অ্যানিমিয়াকেও প্রতিরোধ করে। এতে লোহিত রক্তকণিকা আরও বেশি পরিমাণে তৈরি হয়, যারা অক্সিজেনকে আমাদের শরীরের বিভিন্ন অংশে পৌঁছে দেয়। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে কমতে থাকা কগনিটিভ ফাংশনকে উন্নত করে মস্তিষ্ককে সুস্থ রাখে। মস্তিষ্কে রক্ত চলাচল বাড়িয়ে ডিমেনশিয়ার ঝুঁকি কমায়। ওজন কমে যাওয়া এবং ডায়াবিটিসের ক্ষেত্রেও বিট উপকারী।

আপনি স্যুপ, স্যালাড, জুস, আচারের মাধ্যমে বিট খেতে পারেন। সব্জি হিসেবে বিট, এমনকী বিটের পাতাও রান্না করে রুটির সঙ্গে খেতে পারেন। ডিপ হিসেবেও খাওয়া যায়। যদিও বিটের কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায় না, কিন্তু যাঁদের কিডনির সমস্যা আছে তাঁদের বিট বেশি খাওয়া চলবে না, কারণ তাতে সমস্যা বাড়তে পারে। যদি আপনার এমন কোনও সমস্যা থাকে, যা বিট খেলে বাড়তে পারেন, তাহলে আপনার ডাক্তার ও ডায়েটিশিয়ানের সঙ্গে আলোচনা করে নিন।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.