হায়দরাবাদ: মেঘলা দিন, হালকা ইলশেগুড়ি কিংবা ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি পড়ছে, বেতের চেয়ারে হেলান দিয়ে জানলার কাছে বসে প্রথম যে জিনিসটির খোঁজ পড়ে তা হল চা ৷ কারণ চা ছাড়া বৃষ্টি দিনটাকে আরও বেশি মিয়ানো মুড়ির মত লাগে ৷ তবে বাঙালির চা আর তেলেভাজার কম্বো খেতে যতই জম্পেশ হোক না কেন তা খুব স্বাস্থ্যকর তা বলবেন না কোনও চিকিৎসকই ৷ কিন্তু বর্ষায় এক কাপ চায়ে মাত্র কয়েকটি জিনিস যোগ করে নিলেই তার স্বাস্থ্যগুণ অনেকখানি বাড়িয়ে নেওয়া যেতে পারে ৷ আর এতে বর্ষার সাধারণ কিছু অসুখ যেমন সর্দি, কাশি, গলাব্যথা জ্বর থেকেও রেহাই মিলবে (health benefits of herbal tea) ৷
- তুলসী: আয়ুর্বেদের জগতে তুলসী কিন্তু সুপারস্টার বলতে পারেন ৷ শুধু তুলসী মেশানো এক কাপ চা আপনার চেস্ট কগনেশন দূর করে দিতে পারে ৷ সর্দি এবং কাশির লক্ষণ কমাতে সাহায্য করতে পারে এই পাতা । তুলসীতে পাওয়া যায় ভিটামিন এ, ডি, আয়রন, ফাইবার এবং অন্যান্য উপাদান যা ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে । এছাড়া দাঁতের জন্য়ও এটি ভীষণ উপকারি ৷
- হলুদ: হলুদে রয়েছে কারকিউমিন, ডেসমেথক্সিকারকিউমিন এবং বিস-ডেসমেথক্সিকারকিউমিন যা আমাদের দেহের অভ্যন্তরীণ অংশকে মজবুত করতে পারে । হলুদের অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্যের কারণে, এটি বর্ষার মরশুমে যে সমস্ত সংক্রমণ হয় তার চিকিৎসায় কাজে লাগে । এটি সর্দি এবং গলা ব্যথার লক্ষণগুলি প্রতিরোধ এবং উপশম করতে ব্যবহৃত হয় ।
- সপ্তপর্ণা বা ছাতিম: বর্ষাকালে ম্যালেরিয়া এবং অন্যান্য মশাবাহিত রোগ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে । প্রাচীন সপ্তপর্ণা বা ছাতিম গাছ এসব রোগের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে একটি শক্তিশালী ভেষজ অস্ত্র । এর অ্যান্টিপাইরেটিক প্রভাব জ্বর কমাতে সাহায্য করে । উপরন্তু, এটি ম্যালেরিয়ার বিরুদ্ধে শরীরের সামগ্রিক প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করতে পারে, সেই সঙ্গে ত্বকের অসংখ্য সমস্যা এবং গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল ব্যথা উপশমেও সহায়তা করে ।
- আদা: রাস্তার তেলেভাজা এবং সিঙাড়া ছাড়া বর্ষাকাল জমে? কিন্তু লোভনীয় হলেও পরে এটি ভয়ানক পেট ব্যথার সমস্যা নিয়ে আসতে পারে । অতএব, আদা চা খাওয়া একটি দুর্দান্ত উপায় হতে পারে । কারণ আদা হজম শক্তি বাড়ায় এবং অন্ত্রের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে । যাঁদের কোষ্ঠ কাঠিন্যের সমস্য়া আছে তাঁদের জন্যও উপকারী হল আদা ৷
- জবা ফুল: জবায় রয়েছে বিটা-ক্যারোটিন, ভিটামিন সি এবং অ্যান্থোসায়ানিন ৷ এটি আমাদের ইমিউন সিস্টেমকে ভারসাম্য বজায় রাখে এবং সংক্রমণের বিরুদ্ধে বাধার প্রাচীর তৈরিতে সাহায্য করে। এছাড়া এতে উচ্চ মাত্রায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্যও রয়েছে ।