হায়দরাবাদ: ভিটামিন-B12 আমাদের শরীরের সঠিকভাবে কাজ করার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ । যদি কিছু দিনের জন্য শক্তির অভাব, ক্লান্তি এবং দুর্বলতা অনুভব করেন তবে আপনার ভিটামিন-বি12 পরীক্ষা করা উচিত । ভিটামিন-বি12 মস্তিষ্ক এবং স্নায়ু কোষের বিকাশ এবং কার্যকারিতার জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ । ভিটামিন-বি12 ডিম, মুরগি এবং মাংসে পাওয়া যায় । আপনি যদি নিরামিষ খান হন তাহলে আপনার ডায়েটে ভিটামিন-B12 অন্তর্ভুক্ত করুন (Food Tips)।
গ্রিক ইয়োগার্ট: গ্রিক ইয়োগার্ট ভিটামিন-বি12 এর সঙ্গে প্রোটিনেও সমৃদ্ধ । এটি কেনা বা তৈরি করার সময় মনে রাখবেন, এতে চিনি মেশাবেন না । বেকড আলু বা ফল দিয়ে খেতে পারেন । এটি একটি দুর্দান্ত জলখাবারও ।
পালং শাক: সবুজ শাক-সবজি যেমন পালং শাক ভিটামিন বি12 এর একটি চমৎকার উৎস, যা নিরামিষভোজীদের জন্যও সেরা বিকল্প । পালং শাক আপনি নানাভাবে ব্যবহার করতে পারেন । এটি থেকে স্যুপ, সবজি তৈরি করতে পারেন যা শরীরের জন্য উপকারী ।
বিটরুট: আয়রন, ফাইবার, পটাসিয়াম সমৃদ্ধ বিটরুটে রয়েছে ভিটামিন-বি12 । প্রতিদিন বিটরুট খেলে চুলের গুণমান ও বৃদ্ধি হয়, ত্বক সুস্থ থাকে, রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায় এবং স্ট্যামিনাও উন্নত হয় ।
গরুর দুধ: এটি প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস এবং পটাসিয়াম সহ ভিটামিন-বি12 এর একটি দুর্দান্ত উৎস । প্রতিদিন দু'কাপ দুধ খেলে আপনি পর্যাপ্ত ভিটামিন-বি12 পাবেন ।
ভিটামিন-বি 12 এর অভাবের লক্ষণগুলি কী কী ?
শরীরে ভিটামিন-B12-এর হালকা ঘাটতি হলে কোনও লক্ষণ দেখা যায় না । যাইহোক যদি চিকিৎসা না-করা হয় তবে এগুলি হতে পারে:
দুর্বলতা, ক্লান্তি, মাথা ঘোরা, বুক ধড়ফড় করা, শ্বাসকষ্ট, ত্বক সাদা থাকা, মসৃণ জিহ্বা, ডায়েরিয়া, কোষ্ঠকাঠিন্য, ক্ষুধামান্দ্য কিংবা গ্যাস ।
আরও পড়ুন: কম ঘুম কিংবা অপর্যাপ্ত প্রাতঃরাশ ! খারাপ কিছু অভ্যাস আপনার ওজন কমানোর পক্ষে অন্তরায়
(পরামর্শগুলি শুধুমাত্র সাধারণ তথ্যের ভিত্তিতে ৷ আপনার কোনও প্রশ্ন থাকলে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন)