হায়দরাবাদ: পিরিয়ডস মাসের এমন কয়েকটি দিন যে, দিনগুলি সম্পর্কে চিন্তা করেই নার্ভাস হয়ে যায় অধিকাংশ মহিলা ৷ কারণ এই সময়ে পেটে ব্যথা, ফোলা ভাব, বমি, অতিরিক্ত রক্তপাত এবং মেজাজ পরিবর্তনের মতো অনেক সমস্যার মুখোমুখি হতে হয় মেয়েদের। প্রোস্টাগ্ল্যান্ডিন নামক একটি হরমোন পিরিয়ডের সময় ব্যথার জন্য দায়ী এবং এই ব্যথা এতটাই তীব্র যে মেজাজকে প্রভাবিত করে । যারা পিরিয়ডসের সময় মেজাজ পরিবর্তনের কারণে সমস্যায় পড়েন, তারা কিছু ব্যবস্থার মাধ্যমে এটি সহজেই নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন ।
ব্যায়াম: পিরিয়ডসের সময় মুড স্যুইং নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যায়ামের জন্য সময় নিন । তবে এটি শুধুমাত্র পিরিয়ডসের সময় করবেন না । প্রতিদিন করতে পারেন ৷ ব্যায়াম আপনাকে শুধু শারীরিকভাবে সুস্থ রাখে না, মানসিকভাবেও সুস্থ রাখে । পিরিয়ডসের সময় পেট ব্যথাও রোজ ব্যায়াম করে এড়ানো যায় ।
স্বাস্থ্যবিধি: পিরিয়ডসের সময় মেজাজের পরিবর্তন এড়াতে স্বাস্থ্যবিধিতে ফোকাস করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ । সময়ে সময়ে স্যানিটারি প্যাড, পিরিয়ডসের কাপ পরিবর্তন করতে থাকুন । কারণ, এই সময়ে পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ ।
খাদ্যাভ্যাস: তাই এই সময়ে স্বাস্থ্যকর ও হালকা খাওয়ার দিকে মনোযোগ দিলে ভালো হবে । খাদ্যতালিকায় যতটা সম্ভব সবুজ শাকসবজি এবং মরশুমি ফল অন্তর্ভুক্ত করুন । ফল খাওয়া ছাড়াও জুস, স্যালাড, স্মুদি আকারে খেলেও উপকার পাওয়া যায় । আপনার খাদ্যতালিকায় ফাইবার সমৃদ্ধ জিনিস যোগ করুন ।
বিশেষজ্ঞদের মতে, যোনির ত্বক খুবই নরম । তাই এখানে সাবান ব্যবহার এড়িয়ে চলুন । ইনটিমেট ওয়াশ ব্যবহার করতে পারেন । স্যানিটারি ন্যাপকিন পরিবর্তন করার আগে ও পরে হাত ধোয়া গুরুত্বপূর্ণ। পিরিয়ডের স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চললে, মূত্রনালির সংক্রমণ হতে পারে । মহিলাদের জন্য এই সংক্রমণ খুব কঠিন হতে পারে ।
আরও পড়ুন: ডিমের সঙ্গে এই খাবারগুলি এড়িয়ে না-গেলে শারীরিক ক্ষতি হতে পারে
(পরামর্শগুলি শুধুমাত্র সাধারণ তথ্যের ভিত্তিতে ৷ আপনার কোনও প্রশ্ন থাকলে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন)