হায়দরাবাদ: সারা বিশ্বে কোটি কোটি মানুষ ডায়াবেটিসের সমস্যায় ভুগছে । এই রোগের কারণে শরীরের অন্যান্য অংশও আক্রান্ত হয় । ডায়াবেটিসকে নীরব ঘাতকও বলা হয় । ডায়াবেটিস রোগীদের ইনসুলিন তৈরি না হলে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায় । পরিস্থিতি গুরুতর হয়ে উঠলে, এই অবস্থা ব্যক্তির জন্য মারাত্মক হতে পারে ৷ তাই সময়মতো ডায়াবেটিসের লক্ষণগুলির দিকে মনোযোগ দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ । এই রোগের লক্ষণ পায়েও দেখা যায় । আসলে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে গেলে পায়ে আঘাতের ঝুঁকি বেড়ে যায় । ডায়াবেটিসের কারণে পায়ে রক্ত চলাচল কমে যায় ৷ যার কারণে পা অসাড় হয়ে যায় এবং আরও নানা সমস্যা দেখা দেয় । তাহলে জেনে নেওয়া যাক, রক্তে শর্করা বেড়ে গেলে পায়ে কী কী লক্ষণ দেখা যায় ।
পায়ে ব্যথা এবং ফোলা: যদি আপনার পায়ে ক্রমাগত ব্যথা, ঝাঁকুনি, অসাড়তা বা জ্বালা অনুভব করেন তবে এটিও ডায়াবেটিসের লক্ষণ হতে পারে । এছাড়া পরিপাকতন্ত্র, মূত্রনালী, রক্তনালী ও হার্টের স্বাস্থ্যও ক্ষতিগ্রস্ত হয় ।
পায়ের আলসার: সাধারণত পায়ের আলসারগুলি ত্বকে ফাটল বা গভীর ক্ষত দ্বারা চিহ্নিত করা হয় । ডায়াবেটিস রোগীদের পায়ের নীচের অংশে আলসার প্রধানত দেখা যায় । যার কারণে ত্বকের ক্ষতি হতে পারে ।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রথম থেকেই ডায়াবেটিসের লক্ষণগুলির দিকে নজর দেওয়া জরুরি । আপনার যদি ইতিমধ্যে পায়ের আলসার থাকে তবে সংক্রমণের চিকিত্সা করা গুরুত্বপূর্ণ । পায়ে আলসার থাকলে খালি পায়ে হাঁটা এড়িয়ে চলুন ৷ প্রতিদিন ক্ষত পরিষ্কার করুন এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, রক্তে শর্করার মাত্রা স্বাভাবিক রাখুন ।
পায়ে ফোলাভাব এবং লালভাব: ডায়াবেটিসের কারণেও পায়ে ফ্র্যাকচার হতে পারে । যার কারণে পা বা গোড়ালিতে লালভাব, ফোলা বা অন্যান্য উপসর্গ দেখা দিতে পারে ।
নখে ছত্রাক সংক্রমণ: ডায়াবেটিস রোগীদের নখে ছত্রাক সংক্রমণের ঝুঁকিও থাকে । এতে নখের রং বদলানো, কালো হয়ে যাওয়া বা আঁকাবাঁকা নখ হওয়ার সমস্যাও হতে পারে । অনেক সময় আঘাতের কারণে নখেও ছত্রাকের সংক্রমণ হতে পারে । এছাড়া ডায়াবেটিসে পায়ের আকৃতিরও পরিবর্তন হয় ।
ক্রীড়াবিদ এর পাদদেশ: অ্যাথলিটস ফুট একটি ছত্রাক সংক্রমণ যা পায়ে চুলকানি, লালভাব এবং ফাটল সৃষ্টি করে । এই সমস্যাগুলি এক বা উভয় পায়ে হতে পারে । এক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন এবং ওষুধ খান ।
আরও পড়ুন: আয়োডিনের ঘাটতি মেটাতে লবণ ছাড়াও এই জিনিসগুলি খেতে পারেন
(পরামর্শগুলি শুধুমাত্র সাধারণ তথ্যের ভিত্তিতে ৷ আপনার কোনও প্রশ্ন থাকলে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন)