হায়দরাবাদ: মধুমেহকে হারাতে ডায়েট খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কিন্তু বর্তমান পরিবর্তিত জীবনযাত্রার কারণে বেশিরভাগ মানুষই এখন এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন । একটি প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, 2030 সালের মধ্যে আমাদের দেশে প্রায় 98 মিলিয়ন মানুষ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হবে । তবে ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করা যায় । খাদ্যাভাসে কিছু পরিবর্তন আনলেই সেটা করা যায়। জেনে নিন ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে কোন কোম ফলস খাবেন (Health Tips to fight Diabetes)৷
বিট: টাইপ 2 ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বিট খাওয়া খুবই উপকারী। এতে রয়েছে ফাইবার এবং প্রয়োজনীয় খনিজ পদার্থ যেমন পটাসিয়াম, আয়রন, ম্যাঙ্গানিজ এবং ফাইটোকেমিক্যাল যা রক্তে শর্করার পরিমাণ কমাতে সাহায্য করে এবং শরীরে ইনসুলিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে । এই তালিকায় নারকেল যোগ করা যায়।
বাজরা: বাজরা ফাইবার সমৃদ্ধ । অন্যান্য শস্যের তুলনায় কম গ্লাইসেমিক সূচক রয়েছে । লেবু ও গুড় যোগ করে প্রোটিন হিসেবে বাজরা খাওয়া যায়। তাই বাজরা আপনার শরীরে কীভাবে প্রভাব ফেলে তা মাথায় রেখে খাওয়া উচিত ।
আমলা: টাইপ 2 ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য আমলা খুবই উপকারী । এটি ক্রোমিয়াম সমৃদ্ধ । পাশাপাশি রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল করা থেকে শুরু করে ইনসুলিন সংবেদনশীলতা উন্নত করে । এছাড়াও, এটি ভিটামিন সি সমৃদ্ধ, যা একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ইমিউন বুস্টার । উভয় ধরনের ডায়াবেটিস (টাইপ-1, টাইপ-2) জন্য উপকারী ।
গাজর: গাজরে রয়েছেফাইবার যা রক্তপ্রবাহে চিনির নিঃসরণ কমাতে সাহায্য করে । খাওয়ার আগে একটি কাঁচা গাজর খেলে উপকার পাওয়া যায় । স্যালাড হিসেবেও গাজর খেতে পারেন । একটা সময় শুধু শীতকালে গাজর খাওয়ার চল ছিল । এখন সেই চিন্তাভাবনা বদলে গিয়েছে । সারা বছরই গাজর খাওয়া হয়ে থাকে আজকাল ।
কমলালেবু: ডায়াবেটিস রোগীরা সাধারণত ফল এড়িয়ে যান । কিন্তু কমলার কোনও কুপ্রভাব নেই । শুধু তাই নয়, কমলা একটি সুপারফুড হিসাবে বিবেচিত হয় । এর কম গ্লাইসেমিক ইনডেক্স ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে । ডায়াবেটিস রোগীরাও ঘরে বসে কমলার রস খেতে পারেন ।
আরও পড়ুন: প্রেমের সপ্তাহে সম্পর্ককে আরও মিষ্টি করবে চকলেট, জানুন উপকারিতা
(উপরের সমস্ত বিবরণ শুধুমাত্র সাধারণ তথ্যের উপর ভিত্তি করে । যেকোনও স্বাস্থ্য সমস্যার জন্য কোনও খাবার বা সম্পূরক গ্রহণের আগে চিকিৎসকের পরামর্শ জরুরি)।