হায়দরাবাদ: ডায়াবেটিস ভারতে সবচেয়ে সাধারণ রোগগুলির মধ্যে একটি । এটি একটি দীর্ঘমেয়াদী রোগ যার কোনও প্রতিকার নেই । একবার এই রোগে আক্রান্ত হলে ওষুধের সাহায্যেই নিয়ন্ত্রণ করা যায় । এটি এমন একটি অবস্থা যেখানে আমাদের অগ্ন্যাশয় পর্যাপ্ত ইনসুলিন তৈরি করতে পারে না ৷ যার ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায় । আমাদের পরিবর্তিত জীবনধারা ও ভুল খাদ্যাভ্যাস যেমন- অনেক বেশি ক্যালোরি খাওয়া এবং কম শারীরিকভাবে সক্রিয় থাকা ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ায় ।
যাইহোক, আপনি দৈনন্দিন অভ্যাসের পরিবর্তন করে এর ঝুঁকি কমাতে পারেন । এ জন্য মিষ্টি পানীয়ের পরিবর্তে জুস ইত্যাদি বেছে নিতে পারেন । জেনে নিন, এমন কিছু পানীয় সম্পর্কে যা ডায়াবেটিস রোগীদের পান করা এড়িয়ে চলা উচিত ।
প্যাকেটজাত ফলের রস: প্যকেটজাত ফলের রস রক্তে শর্করার বৃদ্ধি ঘটাতে পারে কারণ এতে প্রচুর পরিমাণে প্রাকৃতিক চিনি থাকে ।
চায়ে চিনি: চায়ে চিনি খেলে শর্করার পরিমান বাড়তে পারে ৷ তাই চিনি ছাড়া চা খাওয়ার অভ্যাস করা জরুরি ৷
সোডা ড্রিঙ্ক: সোডায় প্রচুর পরিমাণে চিনি এবং কৃত্রিম মিষ্টি থাকে ৷ যা রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়াতে পারে । এমন পরিস্থিতিতে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের বিশেষ করে এটি এড়িয়ে চলা উচিত ।
কফি: বাইরে স্বাদযুক্ত কফিতে প্রায়শই প্রচুর পরিমাণে চিনি যুক্ত হয় । এমন পরিস্থিতিতে যদি ডায়াবেটিক রোগী হয়ে থাকেন তাহলে চিনি ছাড়া বাড়িতে বানিয়ে নিলে ভালো হবে ।
এনার্জি ড্রিংকস: এনার্জি ড্রিংকসে প্রচুর পরিমাণে ক্যাফেইন এবং কার্বোহাইড্রেট থাকে ৷ যা রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়াতে পারে এবং ইনসুলিন প্রতিরোধের কারণ হতে পারে ৷ যা টাইপ-2 ডায়াবেটিসের জন্য ক্ষতিকর । তাই ডায়াবেটিস থাকলে এনার্জি ড্রিংক থেকে দূরে থাকাই ভালো ।
অ্যালকোহল: ডায়াবেটিসে অ্যালকোহল খুবই ক্ষতিকর হতে পারে । ওয়াইন বা অন্য কোনও অ্যালকোহলযুক্ত পানীয় পান করার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে রক্তে শর্করার মাত্রা কমতে শুরু করে । এমন পরিস্থিতিতে, ডায়াবেটিস টাইপ-2-এ আক্রান্ত ব্যক্তিরা যারা ইনসুলিন বা ডায়াবেটিসের ওষুধ খাচ্ছেন তাদের এই পানীয়গুলি এড়িয়ে চলা উচিত ।
আরও পড়ুন: দাগবিহীন উজ্জ্বল ত্বক পেতে চান ? বাড়িতেই বানিয়ে নিন এই ফুলের ফেসপ্যাক
(পরামর্শগুলি শুধুমাত্র সাধারণ তথ্যের ভিত্তিতে ৷ আপনার কোনও প্রশ্ন থাকলে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন)