ETV Bharat / sukhibhava

World preeclampsia Day: আজ বিশ্ব প্রিক্ল্যাম্পসিয়া দিবস ! কারণ থেকে লক্ষণ সম্পর্কে বিশদে জেনে নিন

গর্ভাবস্থায় মহিলারা প্রায়ই অনেক শারীরিক ও মানসিক সমস্যার সম্মুখীন হন । প্রিক্ল্যাম্পসিয়া এই সমস্যাগুলির মধ্যে একটি ৷ এ সম্পর্কে সচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য প্রতি বছর 22 মে বিশ্ব প্রিক্ল্যাম্পসিয়া দিবস পালিত হয় ।

author img

By

Published : May 22, 2023, 10:08 AM IST

World preeclampsia Day News
আজ বিশ্ব প্রিক্ল্যাম্পসিয়া দিবস

হায়দরাবাদ: গর্ভাবস্থা একজন মহিলার জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পর্যায় । এই সময়ে তিনি অনেক পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যান । গর্ভাবস্থা একজন মহিলার উপর শারীরিক এবং মানসিক উভয়ভাবেই প্রভাব ফেলে । এই সময়ে মহিলা এবং শিশু উভয়ের সুস্থ থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ । কিন্তু প্রায়ই এই সময়ে নারীরা নানা সমস্যার শিকার হন । গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস থেকে শুরু করে বিপির মতো রোগগুলি প্রায়শই মহিলাদের গ্রাস করে ।

প্রিক্ল্যাম্পসিয়া এই সমস্যাগুলির মধ্যে একটি ৷ গর্ভাবস্থায় অনেক মহিলাই এর দ্বারা প্রভাবিত করে । এই গুরুতর সমস্যাটি শিশুর উপর গভীর প্রভাব ফেলে । বিশ্বব্যাপী গর্ভবতী মহিলাদের প্রায় 15 শতাংশ উচ্চ রক্তচাপে ভোগেন । এই কারণেই এই গুরুতর সমস্যা সম্পর্কে সচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য প্রতি বছর 22 মে বিশ্ব প্রিক্ল্যাম্পশিয়া দিবস পালিত হয় । তাহলে এই উপলক্ষ্যে জেনে নেওয়া যাক এই রোগ এবং এর লক্ষণগুলি কী ?

প্রিক্ল্যাম্পসিয়া কী ?

প্রিক্ল্যাম্পসিয়া হল গর্ভবতী মহিলাদের একটি সমস্যা যা সাধারণত গর্ভাবস্থার 20 সপ্তাহ পরে হয় । যখন এই সমস্যা দেখা দেয় তখন হঠাৎ রক্তচাপ বেড়ে যায় । এর সঙ্গে হাত-পা ফুলতে শুরু করে । এটি একটি গুরুতর সমস্যা যা সময়মতো চিকিৎসা না করালে মা ও শিশুর জীবন ঝুঁকির মুখে পড়তে পারে ।

প্রিক্ল্যাম্পসিয়ার লক্ষণ

উচ্চ রক্তচাপ, প্রস্রাবে প্রোটিন, বুকে ব্যাথা, মুখ এবং হাত ফুলে যাওয়া, গর্ভাবস্থার পরে বমি বমি ভাব, নিঃশ্বাসের দুর্বলতা, ঝাপসা দৃষ্টি ৷

প্রিক্ল্যাম্পসিয়ার কারণ

প্রিক্ল্যাম্পসিয়ার পারিবারিক ইতিহাস, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস বা কিডনি রোগের ইতিহাস, স্থূলতা, লুপাসের মতো অটোইমিউন অবস্থা, হরমোনজনিত ব্যাধি ৷

কীভাবে প্রিক্ল্যাম্পসিয়া শনাক্ত করতে হয় ?

প্রি-এক্লাম্পসিয়া গর্ভবতী মহিলাদের একটি গুরুতর জটিলতা ৷ যা সাধারণত গর্ভাবস্থার 20 তম সপ্তাহে বিকাশ লাভ করে । এই ধরনের পরিস্থিতিতে, সময়মতো এটি শনাক্ত করা এবং উপযুক্ত চিকিত্সা করা প্রয়োজন । আপনি নিম্নলিখিত উপায়ে প্রি-এক্লাম্পসিয়া শনাক্ত করতে পারেন ।

প্রস্রাব পরীক্ষা, রক্ত পরীক্ষা, ভ্রূণের আল্ট্রাসাউন্ড, বায়োফিজিক্যাল প্রোফাইল বা ননস্ট্রেস টেস্ট ৷

কীভাবে প্রি-এক্লাম্পসিয়া প্রতিরোধ করা যায় ?

প্রি-এক্লাম্পসিয়া এড়াতে বেশি করে জল পান করুন । আপনি জীবনধারা পরিবর্তন করে প্রি-এক্লাম্পসিয়া থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারেন ।

গর্ভাবস্থায় প্রি-এক্লাম্পসিয়া এড়াতে খাবারে ক্যালসিয়ামের পরিমাণ বাড়ান । গর্ভাবস্থায় তেল ও মশলা খাওয়া এড়িয়ে চলুন । এছাড়াও আপনি যোগব্যায়াম এবং নিয়মিত ব্যায়াম করে প্রি-এক্লাম্পসিয়া থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারেন । সীমিত পরিমাণে লবণ খান । রক্তচাপ বেশি হলে তা কমাতে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন ।

আরও পড়ুন: গ্রীষ্মে এই জিনিসগুলি খাওয়া থেকে বিরত থাকুন, নাহলে ডিহাইড্রেশনের শিকার হতে পারেন

(পরামর্শগুলি শুধুমাত্র সাধারণ তথ্যের ভিত্তিতে ৷ আপনার কোনও প্রশ্ন থাকলে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন)

হায়দরাবাদ: গর্ভাবস্থা একজন মহিলার জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পর্যায় । এই সময়ে তিনি অনেক পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যান । গর্ভাবস্থা একজন মহিলার উপর শারীরিক এবং মানসিক উভয়ভাবেই প্রভাব ফেলে । এই সময়ে মহিলা এবং শিশু উভয়ের সুস্থ থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ । কিন্তু প্রায়ই এই সময়ে নারীরা নানা সমস্যার শিকার হন । গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস থেকে শুরু করে বিপির মতো রোগগুলি প্রায়শই মহিলাদের গ্রাস করে ।

প্রিক্ল্যাম্পসিয়া এই সমস্যাগুলির মধ্যে একটি ৷ গর্ভাবস্থায় অনেক মহিলাই এর দ্বারা প্রভাবিত করে । এই গুরুতর সমস্যাটি শিশুর উপর গভীর প্রভাব ফেলে । বিশ্বব্যাপী গর্ভবতী মহিলাদের প্রায় 15 শতাংশ উচ্চ রক্তচাপে ভোগেন । এই কারণেই এই গুরুতর সমস্যা সম্পর্কে সচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য প্রতি বছর 22 মে বিশ্ব প্রিক্ল্যাম্পশিয়া দিবস পালিত হয় । তাহলে এই উপলক্ষ্যে জেনে নেওয়া যাক এই রোগ এবং এর লক্ষণগুলি কী ?

প্রিক্ল্যাম্পসিয়া কী ?

প্রিক্ল্যাম্পসিয়া হল গর্ভবতী মহিলাদের একটি সমস্যা যা সাধারণত গর্ভাবস্থার 20 সপ্তাহ পরে হয় । যখন এই সমস্যা দেখা দেয় তখন হঠাৎ রক্তচাপ বেড়ে যায় । এর সঙ্গে হাত-পা ফুলতে শুরু করে । এটি একটি গুরুতর সমস্যা যা সময়মতো চিকিৎসা না করালে মা ও শিশুর জীবন ঝুঁকির মুখে পড়তে পারে ।

প্রিক্ল্যাম্পসিয়ার লক্ষণ

উচ্চ রক্তচাপ, প্রস্রাবে প্রোটিন, বুকে ব্যাথা, মুখ এবং হাত ফুলে যাওয়া, গর্ভাবস্থার পরে বমি বমি ভাব, নিঃশ্বাসের দুর্বলতা, ঝাপসা দৃষ্টি ৷

প্রিক্ল্যাম্পসিয়ার কারণ

প্রিক্ল্যাম্পসিয়ার পারিবারিক ইতিহাস, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস বা কিডনি রোগের ইতিহাস, স্থূলতা, লুপাসের মতো অটোইমিউন অবস্থা, হরমোনজনিত ব্যাধি ৷

কীভাবে প্রিক্ল্যাম্পসিয়া শনাক্ত করতে হয় ?

প্রি-এক্লাম্পসিয়া গর্ভবতী মহিলাদের একটি গুরুতর জটিলতা ৷ যা সাধারণত গর্ভাবস্থার 20 তম সপ্তাহে বিকাশ লাভ করে । এই ধরনের পরিস্থিতিতে, সময়মতো এটি শনাক্ত করা এবং উপযুক্ত চিকিত্সা করা প্রয়োজন । আপনি নিম্নলিখিত উপায়ে প্রি-এক্লাম্পসিয়া শনাক্ত করতে পারেন ।

প্রস্রাব পরীক্ষা, রক্ত পরীক্ষা, ভ্রূণের আল্ট্রাসাউন্ড, বায়োফিজিক্যাল প্রোফাইল বা ননস্ট্রেস টেস্ট ৷

কীভাবে প্রি-এক্লাম্পসিয়া প্রতিরোধ করা যায় ?

প্রি-এক্লাম্পসিয়া এড়াতে বেশি করে জল পান করুন । আপনি জীবনধারা পরিবর্তন করে প্রি-এক্লাম্পসিয়া থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারেন ।

গর্ভাবস্থায় প্রি-এক্লাম্পসিয়া এড়াতে খাবারে ক্যালসিয়ামের পরিমাণ বাড়ান । গর্ভাবস্থায় তেল ও মশলা খাওয়া এড়িয়ে চলুন । এছাড়াও আপনি যোগব্যায়াম এবং নিয়মিত ব্যায়াম করে প্রি-এক্লাম্পসিয়া থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারেন । সীমিত পরিমাণে লবণ খান । রক্তচাপ বেশি হলে তা কমাতে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন ।

আরও পড়ুন: গ্রীষ্মে এই জিনিসগুলি খাওয়া থেকে বিরত থাকুন, নাহলে ডিহাইড্রেশনের শিকার হতে পারেন

(পরামর্শগুলি শুধুমাত্র সাধারণ তথ্যের ভিত্তিতে ৷ আপনার কোনও প্রশ্ন থাকলে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন)

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.