হায়দরাবাদ: সুস্থ থাকার জন্য ফল খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয় । ফল শারীরিক ও মানসিক উভয় স্বাস্থ্যের জন্যই ভালো । এটি পুষ্টিগুণে ভরপুর । এগুলিতে প্রচুর ভিটামিন এবং খনিজ রয়েছে ৷ যা আপনাকে অনেক রোগ থেকে রক্ষা করে ।
অনেক ফল খোসা ছাড়িয়ে খাওয়া হয় ৷ কিন্তু আপনি কি জানেন, কিছু ফলের খোসা ছাড়লে তাদের পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়ে যায় । জেনে নিন, কিছু ফল সম্পর্কে যা খোসা-সহ খাওয়া হলে আপনার স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী হতে পারে ।
আপেল: আপেল স্বাস্থ্যের জন্য আশীর্বাদের চেয়ে কম নয় । এতে ভিটামিন-সি, ভিটামিন-ই এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য পাওয়া যায় । যা শরীরের জন্য অপরিহার্য ৷ কিন্তু জানেন কি, এর খোসাও খুব উপকারী । আপেলের খোসায় অনেক প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায় ৷ যা স্বাস্থ্য সংক্রান্ত অনেক সমস্যা দূর করতে কার্যকর । এতে শরীরে রক্ত চলাচলের উন্নতি ঘটে । এই ফলের খোসা হার্টের জন্য খুবই উপকারী বলে মনে করা হয় । তাই আপনার খাদ্যতালিকায় খোসা-সহ আপেল অন্তর্ভুক্ত করুন ।
নাশপাতি: নাশপাতি পুষ্টিগুণে ভরপুর । এতে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাইবার । খোসা ছাড়িয়ে নাশপাতি খেলে তাতে পুষ্টির অভাব দেখা দেয় ৷ কারণ এর খোসায় প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট রয়েছে ৷ তাই খোসা-সহ নাশপাতি খাওয়া ভালো ।
সবেদা: খোসার সঙ্গে সবেদা খাওয়ার ফলে স্বাস্থ্যের অনেক উপকার পাওয়া যায় । এর খোসায় ভিটামিনের পরিমাণ রয়েছে । যা হজমের জন্য উপকারী । সবেদার খোসা পটাসিয়াম, আয়রন, ফোলেট এবং প্যান্টোথেনিক অ্যাসিডের সমৃদ্ধ উৎস ।
কুল: কুলের খোসায় ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড নামক অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে । এতে ভিটামিন-সিও পর্যাপ্ত পরিমাণে পাওয়া যায় । আপনি যদি হজমের সমস্যায় অস্থির থাকেন, তাহলে খোসার সঙ্গে কুল খাওয়া আপনার জন্য উপকারী হতে পারে । এটি কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করতে পারে ।
কিউই: পুষ্টিগুণে ভরপুর কিউই স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী । খোসা-সহ এই ফল খেলে আঁশের পরিমাণ তিন গুণ বেড়ে যায় । কিউইয়ের খোসাও ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ । তাই খোসা ছাড়াই খাওয়া ভালো ।
আরও পড়ুন: পাতে রাখুন এইসব খাবার, রক্তে প্লেটলেটের পরিমাণ বাড়বে সহজে
(পরামর্শগুলি শুধুমাত্র সাধারণ তথ্যের ভিত্তিতে ৷ আপনার কোনও প্রশ্ন থাকলে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন)