এক ধরণের নিস্ক্রিয়তার অবস্থায় চলে গিয়ে কেমোথেরাপিকে ফাঁকি দিতে পারে ক্যান্সার কোষ। অ্যাকটিভ হাইবারনেশন তাদের ধ্বংস করার লক্ষ্যে করা চিকিৎসার পাশ কাটিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দেয়। একটি নতুন গবেষণায় এমনই দেখা যাচ্ছে । ক্যান্সার ডিসকভারি জার্নালে এই গবেষণা প্রকাশিত হয়েছে । এর থেকে বোঝা যেতে পারে, যে চিকিৎসার পরেও ক্যান্সার কেন বার বার ফিরে আসে ।
ওয়েইল কর্নেল মেডিসিনের পক্ষ থেকে সিনিয়র অথর অ্যারি এম মেলনিক বলেন,"কেমোথেরাপির মাধ্যমে অ্যাকিউট মাইলয়েড লিউকেমিয়াকে আটকানো গেলেও, এটা প্রায় সবসময়ই ফিরে আসে। তখন তাকে আর সারানো যায় না।"
অ্যাকিউট মাইলয়েড লিউকেমিয়া (এএমএল) টিউমার আক্রান্তদের থেকে নমুনা সংগ্রহ করে অর্গ্যানয়েড এবং মাউস মডেলে এই গবেষণা চালানো হয় । গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, যখন এএমএল কোষ কেমোথেরাপির সামনে পরে, তার কিছু অংশ হাইবারনেশনে চলে যায়, এবং একই সঙ্গে ইনফ্লেমেশনের মতো একটা পর্যায়ের সৃষ্টি হয় । তাদের সেইসব কোষের মতো দেখায়, যেখানে ক্ষত সৃষ্টি হয়েছে এবং তা সারিয়ে তোলার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে – তারা বেশিরভাগ কাজকর্ম বন্ধ করে দেয় এবং নিজেদের সারিয়ে তুলতে ইমিউন সেলদের কাজে লাগায় ।
আরও পড়ুন : ক্যানসার নিয়ে মিথের আড়ালে সত্যের খোঁজ
গবেষণা বলছে যে এটিআর নামে একটি প্রোটিনের প্রভাবে ইনফ্লেমেশনের মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়। অর্থাৎ এটিআরকে ব্লক করা গেলে ক্যান্সার কোষকে এই অবস্থায় যেতে আটকানো যেতে পারে ৷ গবেষণাগারে এই ধারণার ভিত্তিতে পরীক্ষা করা হয়েছে, এবং দেখা গেছে যে লিউকেমিয়া কোষে এটিআর ইনহিবিটর প্রয়োগ করলে তাদের নিস্ক্রিয় দশায় প্রবেশ করা আটকানো যায়। ফলে কেমোথেরাপি সমস্ত ক্যান্সার কোষকে মেরে ফেলতে পারে ।