হায়দরাবাদ : রেসিসট্যান্ট স্ট্রেন ক্রমশ বাড়তে থাকায় টাইফয়েড জ্বরের ওপর অ্যান্টিবায়োটিকের কার্যকারিতা কমে আসছে এমনটাই বলছে দ্য ল্যানসেট মাইক্রোবে প্রকাশিত একটি সাম্প্রতিক গবেষণা ৷ টাইফয়েডর কারণ হয়ে দাঁড়ায় যে ব্যাক্টেরিয়াটি তা হল সালমোনেলা টাইফি ৷ এই ব্যাকটেরিয়াটিরই একটি দীর্ঘ জিন সিকোয়েন্সিং করেছিলেন গবেষকরা ৷ প্রসঙ্গত প্রতি বছর সারাবিশ্বে প্রায় এক কোটি দশ লক্ষ মানুষ এই রোগে সংক্রমিত হন এবং এক লক্ষ মানুষ মারা যান এই রোগের কারণে ৷ সারা বিশ্বব্যাপী বিচার করলে এই রোগের 70 শতাংশ প্রকোপই দেখা দেয় দক্ষিণ এশিয়ায় ৷
2000 সাল থেকে দেখতে গেলে মাল্টি-ড্রাগ-রেসিসট্যান্ট (Drug Resistant Typhoid ) (এমডিআর) এস টাইফির সংক্রমণের সংখ্য়া বাংলাদেশ এবং ভারতে ক্রমাগত হ্রাস পেয়েছে ৷ নেপালেও এই সংখ্য়া কম রয়েছে তবে পাকিস্তানে কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে । স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটি, ক্রিশ্চিয়ান মেডিকেল কলেজ ভেলোর এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের গবেষকদের পরিচালিত একটি সমীক্ষা অনুসারে, এগুলি অন্যান্য অ্যান্টিবায়োটিকের রেসিসট্যান্ট স্ট্রেন দ্বারা প্রতিস্থাপিত হচ্ছে । জিন বিশ্লেষণ করে আরও জানা গিয়েছে যে এই রেসিসট্যান্ট স্ট্রেনগুলির প্রায় সমস্তই দক্ষিণ এশিয়া থেকে উদ্ভূত এবং 1990 সাল থেকে তা 197বার অন্যান্য দেশে ছড়িয়ে পড়েছে ।
গবেষণার জন্য় 2014 থেকে 2019 সালের মধ্য়ে বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল এবং পাকিস্তান থেকে মোট 3,489টি এই এস টাইফি স্যাম্পেল নিয়েছিলেন গবেষকরা ৷ এছাড়া অন্যান্য 70টি দেশ থেকেও 4,169টি নমুনা নেওয়া হয়েছিল ৷ তার মধ্য়ে অ্যান্টিবায়োটিক অ্যাম্পিসিলিন, ক্লোরামফেনিকল এবং ট্রাইমেথোপ্রিম/ সালফামেথক্সাজোলের প্রতিরোধী জিন থাকলে স্ট্রেনগুলিকে MDR হিসাবে আলাদা করা হয়েছিল ।
আরও পড়ুন : ডায়েট প্রোটিনের মাত্রা বাড়ালে, বাড়ে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার ঝোঁকও
“সাম্প্রতিক বছরগুলিতে, আমরা ক্রমশ রেসিসট্যান্ট স্ট্রেন বাড়তে দেখেছি যা এই ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে অ্যান্টিবায়োটিকের কার্যকারিতা কমিয়ে দিয়েছে । আমরা ইতিমধ্যেই এমন স্ট্রেন দেখতে পাচ্ছি যার জন্য এমন অ্যান্টিবায়োটিক অবশিষ্ট রয়েছে, যাকে XDR টাইফয়েড বলা হয়। ভারত, বাংলাদেশ, নেপাল এবং পাকিস্তানে অ্যান্টিবায়োটিকের (অ্যাজিথ্রোমাইসিন) রেসিসট্যান্ট স্ট্রেন দেখা গিয়েছে...তাই আমাদের অবশ্যই এর ওষুধ সম্পর্কে উদ্বিগ্ন হওয়া দরকার ।”