কলকাতা, 24 জানুয়ারি: বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্নীতির মামলায় ইডি এবং সিআইডির কাছ থেকে তদন্তের অগ্রগতি সংক্রান্ত রিপোর্ট চাইল কলকাতা হাইকোর্ট । শুক্রবার আদালত নির্দেশ দেয়, 27 ফেব্রুয়ারি আদালতে রিপোর্ট পেশ করতে হবে এই দুই তদন্ত সংস্থাকে।
বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের শীর্ষ প্রশাসনিক কর্তাদের যোগসাজশে কোটি কোটি টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ ওঠে। প্রথমে মামলাকারী 22 লক্ষ টাকারও বেশি নয়ছয় হয়েছে বলে অভিযোগ করলেও শুক্রবার সিআইডি প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্ট দিয়ে জানায় অন্তত 2 কোটি টাকা নয়ছয় হয়েছে । সিআইডির রিপোর্ট অনুযায়ী, 16টি অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করা হয়েছে । 9 জন অভিযুক্তের মধ্যে 7 জনকে গ্রেফতার করা হয় । তাঁরা এখন জামিনে রয়েছেন । 2 জন আগাম জামিন নিয়েছেন । একাধিক রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের থেকে ফিক্সড ডিপোজিট ভেঙে বিপুল টাকা নয়ছয় করা হয়েছে বলে অভিযোগ । 40 জন সাক্ষী পাওয়া গিয়েছে এই মামলায় ।
সিআইডি এদিন জানায়, তদন্ত শেষ করতে আরও অন্তত চার সপ্তাহ সময় লাগবে তাদের । অন্যদিকে, এই মামলায় যুক্ত হয়ে ইডি জানায়, ইডি ECIR দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে । যদিও বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ এদিন বলেন ইডি গত বছর (জুলাই 2024) তদন্তের রিপোর্ট দিয়েছে । নতুন রিপোর্ট তারা কবে দেবে তা জানতে চান বিচারপতি ।
একনজরে এদিনের শুনানি :
মামলাকারীর আইনজীবী শামিম আহমেদ : "আজ এই মামলায় সাপ্লিমেন্টারি এফিডেভিট জমা দিতে বলা হয়েছিল ইউনিভার্সিটিকে । ব্যাঙ্ক এবং ইডিকেও রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল ।"
ইডির আইনজীবী : তদন্ত এখনও চালিয়ে যাচ্ছে ইডি । এখনও পর্যন্ত 40 জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে ।
মামলাকারীর আইনজীবী : তদন্তে এত দেরি করলে রেকর্ডস নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা। তারপর তদন্ত কীভাবে করা যেতে পারে ?
বিচারপতি : তদন্তকারীদের আরও সময় দেওয়া হবে ৷ 27 ফেব্রুয়ারি পরবর্তী শুনানি রয়েছে ৷ সেদিন নতুন তদন্ত রিপোর্ট দিতে হবে ইডি ও সিআইডিকে ৷
উল্লেখ্য, বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে বিপুল টাকা আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে মামলা করেছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়েরই একজন প্রাক্তন কর্মচারী ।