হায়দরাবাদ: প্রতিদিন যদি পাঁচ ঘন্টার কম ঘুম (Sleeping Habbit) হয়, তাহলে 74 শতাংশ ঝুঁকি বেড়ে যায় 'পেরিফেরাল আর্টিয়াল ডিসিজ' (Peripheral Arterial Disease) বা পিএডি-র ৷ ইউরোপিয়ান হার্ট জার্নালে সম্প্রতি এই তথ্য প্রকাশিত হয়েছে ৷ সমীক্ষা বলছে প্রতিদিন রাতে সাত-আট ঘন্টা ঘুম ভীষণ জরুরি ৷ ভাল ঘুম হলেই, শরীরে পিএডি-র ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায় ৷ সারা বিশ্বে প্রচুর মানুষ নানা রোগে আক্রান্ত ৷ তার মধ্যে প্রায় 200 মিলিয়ন মানুষ এই রোগের সঙ্গে যুদ্ধ করে যাচ্ছেন ৷ কী এই পেরিফেরাল আর্টারি ডিসিজ ?
'পেরিফেরাল আর্টারি ডিসিজ' মূলত পায়ে লক্ষ্য করা যায় ৷ এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার অর্থ হল, হার্ট থেকে ধমনীর মাধ্যমে যে রক্ত সঞ্চালন হওয়া প্রয়োজন তা হয় না ৷ ফলে হাঁটতে গেলে পায়ে ভীষণ রকম ব্যথা অনুভব হয়, পা ফুলে যায় আর বাড়িয়ে তোলে স্ট্রোক বা হার্ট অ্যাটাকের ( stroke and heart attack) মতো ঝুঁকি (Short night-time sleep doubles risk of clogged leg arteries) ৷ সুইডেনের স্টকহোমের কারোলিস্কা ইনস্টিটিউটের চিকিৎসক শুয়াই ইউয়ান (Dr. Shuai Yuan of the Karolinska Institute, Stockholm, Sweden) বলেন, " অপর্যাপ্ত ঘুম এবং দিনের বেলা ঘুমানো করোনারি ধমনী রোগের ঝুঁকির সঙ্গে যুক্ত ৷ পাশাপাশি যদি ঘুম না-হওয়া জনিত কোনও সমস্যা থেকে থাকে তাহলেও পেরিফেরাল আর্টারির ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে ৷"
আরও পড়ুন: ওমিক্রনের এক্সবিবি.1.5 ভ্যারিয়েন্ট অত্যন্ত সংক্রামক, দ্রুত ছড়াবে বিশ্বজুড়ে: ল্যানসেট
প্রায় ছয় লাখ পঞ্চাশ হাজার অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে এই সমীক্ষা চালানো হয় ৷ তাদেরকে দু'টো দলে ভাগ করে নেওয়া হয়েছিল ৷ প্রথম দলের মধ্যে গবেষকরা পিএডি (PAD) ঝুঁকির সঙ্গে ঘুমের সময়কাল ও দিনের বেলা ঘুমোনোর সম্পর্ক বিশ্লেষণ করেন ৷ দ্বিতীয় দলের ক্ষেত্রে, গবেষকরা 'রানডোমাজড কনট্রোলড ট্রায়ালস'-র (randomised controlled trials) মাধ্যমে জেনেটিক ডাটা সংগ্রহ করেন ৷ যাকে বৈজ্ঞানিক ভাষায় বলা হয়, 'মেন্ডেলিয়ান রেনডোমাইজেশন' (Mendelian randomisation) ৷
চিকিৎসক শুয়াই ইউয়ান বলেন, " যাঁরা পাঁচ ঘন্টার কম ঘুমিয়েছেন সেই সকল 53 হাজার 416 অংশগ্রহণকারীর মধ্যে পিএডি (PAD)-র ঝুঁকি বেশি দেখা গিয়েছে ৷ তবে এই বিষয়ে গবেষণা আরও বেশি করে করতে হবে ৷ যাতে বিষয়টি নিয়ে পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়া যায় ৷ " পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, " যদি প্রতিদিনের জীবন নির্বাহে কিছুটা পরিবর্তন আনা যায় তাহলে এই রোগের ঝুঁকি কমে৷ ঘুম যত ভাল আর বেশি হবে তত পিএডি (PAD)-র ঝুঁকি কমবে ৷"