হায়দরাবাদ: তেল দিয়ে শরীর মালিশ করার অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে । আমরা অনেকেই এর উপকারিতা সম্পর্কে অবগত নই ৷ তবে নিয়মিত ম্যাসাজ স্বাস্থ্যের পাশাপাশি আপনার ত্বক এবং চুলের জন্যও উপকারী । এক মাসে, দু'মাস বা 4-5 মাসে তেল মালিশ করা এবং সপ্তাহে 1-2 বার ম্যাসাজ করার মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে । শরীরকে সুস্থ রাখতে যেভাবে সময়মতো খাওয়া, ঘুম, পর্যাপ্ত পরিমাণ জল পান করা এবং শারীরিক পরিশ্রম করা প্রয়োজন ম্যাসাজও সমান গুরুত্বপূর্ণ । এর মাধ্যমে আপনি দীর্ঘ সময় সুস্থ থাকতে পারবেন ।
ম্যাসাজের সুবিধা
পেশী শিথিল হয়: নিয়মিত ম্যাসাজ করলে কর্টিসলের মাত্রা কমে যায় ৷ এতে মেজাজ ভালো থাকে । শরীরের সঙ্গে মনও শান্ত হয় । ম্যাসাজ এক ধরনের থেরাপি হিসেবে কাজ করে ৷ এপর ফলে শুধু মানসিক চাপ দূর হয় না, জয়েন্টের ব্যথাও কমে । ম্যাসাজ শরীরে রক্ত সঞ্চালন সঠিকভাবে করতে সাহায্য করে । এটি নমনীয়তা উন্নত করে ।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ: উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থাকলে নিয়মিত ম্যাসাজ করলেও এই সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করা যায় । শুধু তাই নয়, এটি কার্ডিয়াক স্বাস্থ্যের উন্নতিতেও সাহায্য করে ।
হজম ঠিক থাকে: পেট ম্যাসাজও বডি ম্যাসাজের অন্তর্ভুক্ত ৷ তাই পেট ম্যাসাজ করলে নাভির কার্যকলাপ বৃদ্ধি পায় । তলপেটে মালিশ করলে পিরিয়ডের ব্যথায় আরাম পাওয়া যায় । ম্যাসাজ করলে বৃহদন্ত্র, লিভার, অগ্ন্যাশয়-সহ শরীরের সমস্ত অঙ্গ সঠিকভাবে কাজ করতে সক্ষম হয় ৷ যার ফলে অন্ত্রে পর্যাপ্ত পরিমাণে গ্যাস্ট্রিক রস বের হয় এবং লিভারের কার্যকারিতা ঠিক থাকে ।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়: গবেষণা অনুসারে, নিয়মিত ম্যাসাজ শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় ৷ যার কারণে শরীর ওষুধ ছাড়াই অনেক রোগের মুখোমুখি হতে পারে ।
মানসিক চাপ উপশম করে: শরীরে প্রায় 30 টি প্রেশার পয়েন্ট আছে যেগুলি পুরো শরীরের সঙ্গে পা ও হাতের সঙ্গে যুক্ত । এছাড়া ঘাড়, মাথা, অগ্ন্যাশয়, কিডনি, লিভার এবং প্রজনন অঙ্গের সঙ্গে সম্পর্কিত 7টি রিফ্লেক্স সেন্টার রয়েছে । ম্যাসাজের পর শরীরে ভালো হরমোন নিঃসৃত হয় ৷ যা মনকে শান্ত করতে এবং বিষণ্নতা থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করে ।
মরা চামড়া ও ময়লা দূর করে: শরীরে তেল মালিশ করলে মরা চামড়া সহজে উঠে যায় । নিয়মিত ম্যাসাজ করলে কুনুই, হাঁটু ও পিঠের কালো দাগ দূর হয় । ত্বককে উজ্জ্বল করে ।
স্নায়ু সুস্থ থাকে: হালকা চাপ দিয়ে ম্যাসাজ করলে পেশীর উপর চাপ পড়ে ৷ যা স্নায়ুকে শিথিল করে যাতে তারা তাদের কাজ সঠিকভাবে করতে পারে । মনও শিথিল হয়ে যায় যার কারণে এটি কাজে বেশি মনোযোগ দিতে পারে ।
সাইনাস এবং ঠান্ডা উপশম: মুখে ম্যাসাজ, কপাল, চোখের চারপাশে ম্যাসাজ করলে মাথাব্যথার সমস্যায় আরাম পাওয়া যায় । ম্যাসাজ করার পর বাষ্প নিন । এটি ঠান্ডায় আরাম দেয় । মাথার ত্বকে নিয়মিত তেল মালিশ চুলের গোড়ায় পুষ্টি যোগায়, চুলকে মজবুত, চকচকে ও ঘন দেখায় ।
আরও পড়ুন: ওজন কমে, বাড়ায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ! জানুন গোলমরিচের অগণিত উপকারিতা
(পরামর্শগুলি শুধুমাত্র সাধারণ তথ্যের ভিত্তিতে ৷ আপনার কোনও প্রশ্ন থাকলে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন)