হায়দরাবাদ: চিনি আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর । বিশেষ করে যদি এটি প্রচুর পরিমাণে ডায়েটে অন্তর্ভুক্ত করা হয় তবে এটি অনেক গুরুতর পরিণতি হতে পারে । তবে অতিরিক্ত চিনির কারণে ডায়াবেটিস সবচেয়ে বড় সমস্যা । এটি একটি দুরারোগ্য রোগ, যা ওষুধ এবং সঠিক খাদ্যাভ্যাসের সাহায্যে নিয়ন্ত্রণ করা যায় । এমতাবস্থায় এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের খাদ্যাভ্যাসের খুব যত্ন নিতে হয় । বিশেষ করে যখন চিনি খাওয়ার কথা আসে, তখন এই বিষয়ে আরও যত্নবান হওয়া দরকার ।
ডায়াবেটিসে ঘন ঘন চিনি খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যেতে পারে । এই পরিস্থিতিতে, এটি নিয়ন্ত্রণে রাখতে আপনার খাদ্য থেকে চিনি সম্পূর্ণরূপে বাদ দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ ৷ তবে চিনি ছাড়া চা, কফি বা অন্যান্য মিষ্টি খাবারের স্বাদ নেই । এমন পরিস্থিতিতে জেনে নিন, এমন কিছু বিকল্প সম্পর্কে যা আপনি ডায়াবেটিসে চিনির পরিবর্তে আপনার ডায়েটে অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন ।
নারকেল চিনি: প্রাকৃতিক মিষ্টির কারণে, নারকেল চিনির একটি দুর্দান্ত বিকল্প হিসাবে প্রমাণিত হবে । সাম্প্রতিক বছরগুলিতে নারকেল চিনি প্রাকৃতিক মিষ্টি হিসাবে ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে । এটি নারকেল পাম গাছের রস থেকে তৈরি করা হয় ।
ম্যাপেল সিরাপ: ম্যাপেল সিরাপ হল আরেকটি প্রাকৃতিক মিষ্টি যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য পরিশোধিত চিনির একটি দুর্দান্ত বিকল্প হতে পারে ।
স্টেভিয়া: স্টেভিয়া একটি প্রাকৃতিক মিষ্টি । শূণ্য ক্যালোরি এবং শূণ্য গ্লাইসেমিক সূচক থাকার কারণে, এটি ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য পরিশোধিত চিনির একটি দুর্দান্ত বিকল্প হয়ে ওঠে ।
খেজুর চিনি: খেজুরের চিনি তৈরি করা হয় শুকনো খেজুর থেকে ৷ যা পিষে গুঁড়ো করা হয় । এটিতে সাধারণ চিনির তুলনায় কম গ্লাইসেমিক সূচক রয়েছে এবং এতে কিছু ভিটামিন এবং খনিজ রয়েছে ।
গুড়: প্রায় প্রতিটি ভারতীয় রান্নাঘরে গুড় ব্যবহার করা হয় । এটি ভারতের একটি জনপ্রিয় প্রাকৃতিক মিষ্টি ৷ যা পরিশোধিত চিনির একটি স্বাস্থ্যকর বিকল্প । এটি আখের রস বা তালের রস থেকে তৈরি করা হয় এবং এতে অনেক প্রয়োজনীয় পুষ্টি পাওয়া যায় ৷
মধু: মধু দীর্ঘদিন ধরে প্রাকৃতিক মিষ্টি হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে এবং এর অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতাও রয়েছে । এতে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য ৷ যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করতে পারে ।
আরও পড়ুন:
(পরামর্শগুলি শুধুমাত্র সাধারণ তথ্যের ভিত্তিতে ৷ আপনার কোনও প্রশ্ন থাকলে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন)