হায়দরাবাদ: লবণ আমাদের খাদ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ । খাবারকে সুস্বাদু করতে এক চিমটি লবণই যথেষ্ট । এটি এমন একটি জিনিস, যেটি ছাড়া কোন খাবারেই স্বাদ পাওয়া যায় না। রুচি অনুযায়ী আমরা খাদ্যতালিকায় বিভিন্ন পরিমাণে এটি অন্তর্ভুক্ত করে থাকি । কারও কারও লবণ কম খাওয়ার অভ্যাস আছে ৷ আবার কেউ কেউ খাবারে বেশি লবণ পছন্দ করেন । কিন্তু খাবারে লবণের আধিক্য স্বাস্থ্যের অনেক ক্ষতিকর করে থাকে। তাই আমরা এর কিছু বিকল্প ব্যবহার করতে পারি ৷ যাতে খাবেরর স্বাদ অটুট থাকবে এবং স্বাস্থ্যসম্মত ৷
আইসিএমআর-এর সাম্প্রতিক একটি সমীক্ষা অনুসারে, ভারতীয় খাবারে লবণের ব্যবহারের পরিমাণ স্বাভাবিকের থেকে 3 শতাংশ বেশি । বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) তরফে একজন ব্যক্তির প্রতিদিন 5 গ্রাম পর্যন্ত লবণ খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে । এমন পরিস্থিতিতে আপনার খাবারে লবণের পরিমাণ সীমিত রাখা জরুরি । যদি লবণ খাওয়া কমানোর চেষ্টা করেন, তবে জেনে নিন লবণের বিকল্প সম্পর্কে ।
আমের গুঁড়ো: বেশিরভাগ মানুষ খাবারের স্বাদ বাড়াতে শুকনো আমের গুঁড়ো ব্যবহার করেন । প্রতিদিন সকালে খালি পেটে অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে ভরা আমের গুড়োর জল পান করুন ৷ আপনি শুধু একটি নয়, স্বাস্থ্যের জন্য বহু উপকার পাবেন । আমের গুঁড়ো লবণের একটি দুর্দান্ত বিকল্প । টক স্বাদের কারণে শুকনো আমের গুঁড়ো নানাভাবে ব্যবহার করা যায় । আপনি এটি স্যুপ, চাটনি, তরকারি, ডাল ইত্যাদিতে যোগ করতে পারেন।
গোলমরিচ: এর তীব্র স্বাদের কারণে গোলমরিচ বিভিন্ন ধরণের খাবারে ব্যবহৃত হয় । এটি যেকোনও খাবারের স্বাদ বাড়াতে পারে । শুধু তাই নয়, এতে উপস্থিত পুষ্টি হৃদরোগ এবং ক্যানসারের মতো রোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
লেবুর রস: লেবুর রসে সাইট্রিক অ্যাসিড থাকে ৷ এটি লবণের একটি দুর্দান্ত বিকল্প । লেবুর রস যেকোনও খাবারের স্বাদ বাড়াতে লবণের মতো কাজ করে । খাবারে লবণ কমাতে চাইলে আপনিও লেবুর রস যোগ করতে পারেন।
রসুন: রসুন একটি মশলা যা সোডিয়ামের পরিমাণ না-বাড়িয়ে খাবারের স্বাদ ঠিক রাখে । টমেটো সস এবং ম্যারিনেড রেসিপিতে লবণের পরিমাণ কমিয়ে আপনি রসুনের পরিমাণ দ্বিগুণ করতে পারেন। এটি স্যুপ এবং ভাজাতেও সুস্বাদু । গবেষণায় দেখা গিয়েছে, রসুনে উপস্থিত যৌগগুলি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে।
আরও পড়ুন: জলাতঙ্ক মারাত্মক হতে পারে, প্রয়োজন সচেতনতা; জেনে নিন বিশ্ব জলাতঙ্ক দিবসের খুঁটিনাটি
(পরামর্শগুলি শুধুমাত্র সাধারণ তথ্যের ভিত্তিতে ৷ আপনার কোনও প্রশ্ন থাকলে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন)