ওয়াশিংটন: সম্প্রতি একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, গর্ভবতী মহিলারা যাঁদের মধ্যে মানসিক উত্থান-পতন বেশি তাঁদের শিশুরা বেশি ভয় এবং দুঃখের শিকার হয় (Pregnant woman) ৷ আগে গবেষণায় দেখা গিয়েছে, গর্ভাবস্থায় মায়েদের মানসিক চাপ বা মানসিক যন্ত্রণা শিশুর মেজাজ এবং আচরণের ওপরেও প্রভাব ফেলতে পারে (Negative emotions) ৷ গর্ভাবস্থায় মায়েদের মানসিক চাপ শিশুর বিকাশের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ইতিবাচক বা নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে ।
এই গবেষণার প্রধান লেখক ম্যাকনিল বলেন, "যখন একজন মা চরম পর্যায়ে পৌঁছে যান তখন তা সন্তানের স্বভাবের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে ৷" ম্যাকনিল ব্যখ্য়া করেছেন একজন মা যিনি গর্ভাবস্থায় নিয়মিত চাপে থাকেন তাঁর মানসিক চাপ যদি আরও বাড়তে থাকে তা তাঁর সন্তানের ওপরেও প্রভাব ফেলবে ৷
গর্ভাবস্থায় স্ট্রেসের প্রকৃতি সম্পর্কে আরও ভালভাবে বোঝার পরেই প্রতিরোধের ব্যবস্থা করা যেতে পারে ৷ যেমন মায়ের গর্ভাবস্থার আগে বা সূচনার সময়, বিশেষত অনিয়ন্ত্রিত জীবনের ঘটনাগুলির কথা মাথায় রেখে একটি সামঞ্জস্যপূর্ণ স্তরে পৌঁছতে সাহায্য করা ।
যেহেতু বেশিরভাগ মায়েরা কিছু ধরণের প্রসবপূর্ব যত্ন পান ৷ তাই তিনি বলেছিলেন যে মানসিক চাপের বিষয়টি লক্ষ দেওয়া ভীষণ জরুরি । এই গবেষণাটি দেখায় যে পিতামাতা এবং সন্তানের মধ্যে সংযোগগুলি জন্মের আগেও জিনের পাশাপাশি অভিজ্ঞতার উপর ভিত্তি করেও তৈরি হয় ৷
আরও পড়ুন: টেস্টোস্টেরনের মাত্রা বাড়ছে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার ঝুঁকি ! বলছে গবেষণা
প্রসবপূর্ব মানসিক চাপ এবং শিশুর মেজাজ পরিমাপ করতে লেখকরা অংশগ্রহণকারীদের ফোনে পাঠানো প্রশ্নগুলি পাঠিয়েছিলেন ৷ 14 সপ্তাহের জন্য প্রতিদিন চারবার পর্যন্ত গর্ভবতী মায়েদের মানসিক চাপ পরিমাপ করেছিলেন তাঁরা (তাঁরা তিন ধরনের স্ট্রেসকে শনাক্ত করেছিলেন: প্রথম মূল্যায়নে স্ট্রেস (বেসলাইন), 14-সপ্তাহের সময়কাল জুড়ে স্ট্রেসের গড় বা সাধারণ স্তর এবং 14-সপ্তাহের সময়কাল জুড়ে একজন মায়ের স্ট্রেসের পরিমাণ কতটা পরিবর্তন হয়েছে)। গবেষকরা দেখেছেন শিশুর বয়স যখন তিন মাস তখন তার ওপর আরও বেশি মায়ের স্ট্রেসের প্রভাব পরেছে ৷