হায়দরাবাদ: বয়সের রঙ সবুজ মানেই ছবির রঙ নীল ৷ চিরাচরিত এই ধারণা ভেঙে দিয়েছে অতিমারি ৷ সাম্প্রতিক এক সমীক্ষার রিপোর্ট বলছে, করোনা সংক্রমণকালে অফিস বন্ধ হয়েছে, শুরু হয়েছে ওয়ার্ক ফ্রম হোম কালচার ৷ বাড়ি থেকে কাজ করতে গিয়েই ক্রমশ বেড়েছে নীলছবি দেখার প্রতি আসক্তি ৷ ডেইলি মেইল জানিয়েছে, অতিমারি চলাকালীন ওয়ার্ক ফ্রম হোম জনপ্রিয় হওয়ার পর থেকেই পর্ন ছবি দেখা দ্বিগুন হয়ে গিয়েছে (Porn Addiction) ।
বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রথম প্রথম খুব হালকা চালেই বিষয়টিতে আসক্ত হয়ে পড়েন অনেকে (Porn addiction saw a rise amid WFH culture) ৷ ঘর থেকে কাজ করলে এমনিতেই মানসিক চাপ বেড়ে যায় ৷ করোনায় তার সঙ্গেই যোগ দিয়েছিল একাকীত্ব, অবসাদের মতো সমস্যা ৷ তা থেকে বাঁচতেই নীল ছবির হাত ধরেছিলেন অনেকে ৷ পরে সেটাই আসক্তিতে বদলে যায় ৷
পর্ন আসক্তি যৌন আসক্তির এমন একটি রূপ, যেখানে ব্যবহারকারী আনন্দদায়ক অনুভূতি বা যৌন কার্যকলাপের প্রতি আকৃষ্ট হন । লরেল সেন্টার, ইংল্যান্ডের বৃহত্তম যৌন ও পর্ন আসক্তি সংক্রান্ত ক্লিনিক ৷ তারা জানিয়েছে, এখনও বেশ কয়েকজন চাকুরিজীবী তাদের কাছে পর্ন আসক্তি কাটাতে চিকিৎসা করছেন ৷ তাঁদের মধ্যে বেশিরভাগই ঘরে বসে কাজ করেন এবং দিনে প্রায় 14 ঘন্টা পর্যন্ত পর্ন দেখেন ।
লরেল সেন্টারের ক্লিনিকাল ডিরেক্টর পলা হল বলেন, "ওয়ার্ক ফ্রম হোমে মানুষ এখন কম্পিউটারের সামনে আগের চেয়ে অনেক বেশি সময় কাটায় । ফলে আপনার কাছে পর্ন দেখার সুযোগ বেড়ে যাচ্ছে ৷ অফিসে সবার মাঝে থাকলে আপনাকে অন্তত রাত পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয় ৷ এখন আপনি দিনের বেলাও যৌন আবেগে মেতে উঠতে পারেন ।" রিপোর্টে বলা হয়েছে, শুধুমাত্র 2022 সালের প্রথম ছটমাসেই, লরেল সেন্টার প্রায় 750 জন পর্ন আসক্তের চিকিৎসা করেছে ৷ 2019 সালে সারাবছর যেই সংখ্যাটা ছিল 950 ৷
আরও পড়ুন: সাতটি ওষুধ যা আপনার যৌনজীবনে মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে
পলা হল বলেন, "এ বছর ক্লিনিকে আসা রোগীদের আরও চিকিৎসা প্রয়োজন । রিপোর্ট অনুযায়ী, লন্ডনের ক্লিনিকের থেরাপিস্টরা এখন মাসে প্রায় 600 ঘন্টা পর্ন আসক্তদের চিকিৎসা করে, যেখানে আগে আমরা মাসে মাত্র 360 ঘন্টা ব্যয় করতাম ।"