সার্জারি নয়, নির্দিষ্ট ব্রেন টিউমারের চিকিৎসার পথ বাতলে দিতে পারে একটা সামান্য রক্তপরীক্ষা । একটা নতুন গবেষণায় এমনটাই দেখা গিয়েছে । একটি বায়োমার্কার আবিষ্কার করেছেন গবেষকরা, যার নাম প্রোটিন ফিবুলিন-2 (এফবিএলএন-টু) । প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে সবথেকে পরিচিত ব্রেন টিউমার হল মেনিনজিওমা । আর এই নতুন বায়োমার্কার বলে দেবে যে, এই টিউমার কোন স্তরে রয়েছে – গ্রেড ওয়ান অথবা গ্রেড টু ।
এই গ্রেডিং গুরুত্বপূর্ণ, কারণ নিচের গ্রেডে থাকা টিউমার দীর্ঘসময় ধরে ঘুমন্ত অবস্থায় থাকতে পারে ৷ যেখানে ঝুঁকিপূর্ণ অস্ত্রোপচার, রেডিওথেরাপি বা কেমোথেরাপির মতো কঠিন চিকিৎসার প্রয়োজন পড়ে না । গ্রেড-2 তালিকাভুক্ত টিউমার ক্যান্সারের আকারের নিতে পারে এবং তার ছড়িয়ে পড়া রুখতে জোরালো চিকিৎসা দরকার ।
ব্রিটেনের প্লাইমাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক সি অলিভার হ্যানিম্যান জানালেন, “এই গবেষণায় আমরা দেখেছি যে বায়োমার্কার হিসেবে এফবিএলএন-টু, গ্রেড ওয়ান ও গ্রেড টু মেনিনজিওমার মধ্যে ফারাক বলে দিতে পারে । গ্রেড ওয়ানের তুলনায় গ্রেড টু মেনিনজিওমার নমুনার মধ্যে বেশি পরিমাণে এই বায়োমার্কারের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে ।”
হ্যানিম্যান আরও বলেন, “গ্রেড টু রোগীদের রক্তের নমুনায় বেশি পরিমাণ এফবিএলএন-2 পাওয়া যাচ্ছে । এই চিহ্নিতকরণের মধ্যে দিয়ে রোগনির্ণয়, চিকিৎসা ও নজরদারিতে গুরুত্বপূর্ণ উন্নতি করা সম্ভব ।”গবেষকরা বলেছেন যে, আগে এই বায়োমার্কারকে মেনিনজিওমার ক্ষেত্রে ভূমিকা পালন করতে দেখা যায়নি । যদিও ফুসফুস, লিভার, ব্রেস্ট ও অগ্ন্যাশয়ের ক্যানসারের সঙ্গে এর যোগাযোগ লক্ষ্য করা গেছে ।
আরও পড়ুন, পেরেন্টাল বার্নআউটে সবথেকে ক্ষতিগ্রস্ত পশ্চিমী দেশগুলো
জার্নাল অফ মলিকিউলার সায়েন্সে প্রকাশিত গবেষণায়, ল্যাবরেটরিতে তৈরি ক্যানসার কোষ, টিউমারের নমুনা এবং রোগীদের শরীর থেকে নেওয়া তরল বায়োপসির উপর পরীক্ষা চালিয়ে গবেষকরা গ্রেড ওয়ান ও গ্রেড টু টিউমারের পার্থক্য করতে পেরেছেন । আরেকটি পরীক্ষায় গবেষকরা দেখিয়েছেন যে, বায়োমার্কারের স্তর দেখে আস্তে আস্তে বেড়ে চলা এবং দ্রুত বাড়তে থাকা টিউমারের মধ্যেও ফারাক করা যাচ্ছে ।