হায়দরাবাদ: আমরা সকলেই জানি যে মাংস এবং ডিমে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকে তবে এর অর্থ এই নয় যে নিরামিষ খাবার প্রোটিন সমৃদ্ধ নয় । এটি একটি মিথ ছাড়া কিছুই নয় । নিরামিষ খাবারও প্রোটিন সমৃদ্ধ হতে পারে । তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক এমন নিরামিষ খাবারের কথা যেগুলিতে ব্যাপক পরিমাণে প্রোটিন থাকে (Vegetarian foods have also rich protein)।
এই 7টি নিরামিষ খাবার প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার:
1) ছোলা: ছোলায় উপস্থিত পুষ্টিগুণ সম্পূর্ণ আলাদা । 200 গ্রাম সিদ্ধ ছোলায় রয়েছে 729 ক্যালরি। এতে 67% কার্বোহাইড্রেট এবং বাকি প্রোটিন এবং চর্বি রয়েছে । এক কাপ ছোলা খেলে 40 শতাংশ ফাইবার, 70 শতাংশ ফোলেট বা ফলিক অ্যাসিড এবং 22 শতাংশ আয়রন পাওয়া যায় । এর সঙ্গে এর গ্লাইসেমিক ইনডেক্সও কম, অর্থাৎ এটি হজম হতে শরীরে সময় লাগে, যার কারণে অনেকক্ষণ খিদে লাগে না এবং রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা একেবারেই বাড়ে না ।
2) রাজমা: রাজমা প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট এবং ফাইবার সমৃদ্ধ । রাজমা আর ভাতের কম্বিনেশন সারা দেশেই বিখ্যাত । এটি কেবল দুর্দান্ত স্বাদই নয়, এটি একটি সম্পূর্ণ খাবারও । পাপড়, আচার ইত্যাদি দিয়ে খেতে পারেন ।
3) দুধ: আপনি যদি প্রতিদিন দুধ পান করেন তবে আপনি প্রোটিনের একটি ভালো ডোজ পাচ্ছেন । প্রোটিন সমৃদ্ধ হওয়ার পাশাপাশি দুধে রয়েছে ক্যালসিয়াম, যা হাড়, দাঁত, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা মজবুত করে এবং ত্বকে উজ্জ্বলতা আনে ।
4) পনির: পনির সারা বিশ্বের মত ভারতেও যথেষ্ট জনপ্রিয়। পনিরে ভালো পরিমাণে কেসিন থাকে, যা একধরনের মন্থর-হজমকারী প্রোটিন । এতে উচ্চ মাত্রার ক্যালসিয়ামও রয়েছে, যা আপনাকে দীর্ঘক্ষণ পূর্ণ রাখে এবং চর্বি দ্রুত পোড়ায় ।
5) ডাল: ভারতীয় খাবার ডাল ছাড়া অসম্পূর্ণ ৷ তা সে অড়হর, মুসুর বা মুগই হোক না কেন । মসুর ডাল প্রতিটি খাবারের অংশ, এগুলি প্রস্তুত করা সহজ এবং ডায়েটে প্রোটিন, ফাইবার এবং প্রয়োজনীয় খনিজ যোগ করা যায় ।
6) মটর: মটরের মতো প্রোটিন সমৃদ্ধ কোনও সবজি নেই । মটরশুটি যে কোনও ধরনের খাবারের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করা সহজ ।
7) বীজ: তিল বীজ, সূর্যমুখী বীজ, কুমড়ার বীজ বা পপি বীজ সবই প্রোটিন এবং স্বাস্থ্যকর চর্বি দিয়ে পরিপূর্ণ । স্যালাড ছাড়াও, এগুলি রাইতা বা সিরিয়ালে যোগ করা যেতে পারে ।
আরও পড়ুন: উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় ভুগছেন ? এই ফলগুলি খান
(পরামর্শগুলি শুধুমাত্র সাধারণ তথ্যের উদ্দেশ্যে এবং পেশাদার চিকিৎসা পরামর্শ হিসাবে নেওয়া উচিত নয় । আপনার কোনও প্রশ্ন থাকলে সর্বদা আপনার ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন) ।