হায়দরাবাদ: বাঙালির রান্নাঘরে বেসনের বাড়তি গুরুত্ব রয়েছে। মানুষ এটি বিভিন্ন উপায়ে ব্যবহার করে থাকে । বেসন কখনও সবজি দিয়ে স্ন্যাক্স তৈরিতে আবার কখনও মিষ্টি তৈরিতে ব্যবহার করা হয়। পাশাপাশি এটি ত্বক উজ্জ্বল করতেও ব্যবহার করা হয় । প্রোটিন, ফাইবার, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়াম এবং জিঙ্কের মতো অনেক প্রয়োজনীয় উপাদান বেসন থেকে পাওয়া যায় । এতে ভিটামিন-বি পাওয়া যায়, যা খাবার হজম করতে শক্তি দেয় ।
বেসনের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার পাওয়া যায় ৷ যা কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে উপকারী বলে মনে করা হয় ৷ পাশাপাশি অসম্পৃক্ত চর্বিও পাওয়া যায়, যা কোলেস্টেরল রোগীদের জন্য উপকারী । ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যও বেসন খুব উপকারী বলে মনে করা হয় । প্রকৃতপক্ষে বেসনে কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ কম এবং এটি কম চিনিযুক্ত খাবারের মধ্যে গণনা করা হয় । এর ব্যবহারে রক্তে শর্করার মাত্রা স্বাভাবিক করা যায় ।
বেসন শক্তি যোগায়: ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম, ফসফরাস ইত্যাদি উপাদান বেসন থেকে পাওয়া যায় । যা শরীরে শক্তি যোগায় । এছাড়াও এটি হাড় শক্তিশালী করে । বেসন খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বৃদ্ধি পায় ।
লোহিত রক্ত কণিকা বাড়ায়: থায়ামিন (B1), রাইবোফ্লাভিন (B2), নিয়াসিন (B3), ভিটামিন B6 এবং ফোলেট-সহ বেসনের মধ্যে বেশ কিছু ভিটামিন পাওয়া যায় । এই ভিটামিনগুলি পাচনতন্ত্র, স্নায়ুতন্ত্র এবং লোহিত রক্তকণিকা উৎপাদনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয় ।
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী: কম কার্বোহাইড্রেটযুক্ত খাবারের মধ্যে বেসনকে গণনা করা হয়। এর গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম। এর মানে হল যে বেসন ব্যবহার রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়াবে না । তাই ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বেসন খুবই উপকারী ।
ত্বক নরম করে: জিঙ্ক এবং ভিটামিন-ই বেসনের মধ্যে পাওয়া যায় ৷ যা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে । এটি ত্বকের ক্ষতি প্রতিরোধ করে । মানুষ ফেসপ্যাকগুলিতেও বেসন ব্যবহার করে ৷ যার কারণে ত্বক উজ্জ্বল হতে শুরু করে ।
আরও পড়ুন: এই পানীয়গুলি রোগীদের জন্য একটি ওষুধ ! জেনে নিন কী কী
(পরামর্শগুলি শুধুমাত্র সাধারণ তথ্যের ভিত্তিতে ৷ আপনার কোনও প্রশ্ন থাকলে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন)