হায়দরাবাদ:সারাদেশে পালিত হচ্ছে জন্মাষ্টমীর উৎসব । আর জন্মাষ্টমী মানেই গোপালের প্রসাদে মাখন জরুরি । কারণ, মাখনের প্রতি গোপালের ভালোবাসার কথা কার না জানা ৷ তাই জন্মাষ্টমী হোক বা ভগবান কৃষ্ণের যেকোনও পূজাই , মাখন ও মিছরি তাকে অবশ্যই দেওয়া হয় । যদিও, খাঁটি মাখনও স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী । এটি পুষ্টির ভাণ্ডার । আপনিও যদি মাখন খান তাহলে অনেক রোগ থেকে রক্ষা পাবেন । জেনে নিন, মাখন খাওয়ার উপকারিতাগুলি ।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়: মাখন ক্যালসিয়াম, ভিটামিন-ডি, ভিটামিন এ এর মতো গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান এতে পাওয়া যায় । যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় । যার কারণে সংক্রমণ ও রোগ এড়ানো যায় ।
ওজন কমাতে সাহায্য করে: মাখনে রয়েছে লেসিথিন, যা বিপাক বাড়ায় । যা ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে ৷ তাই আপনি সহজেই আপনার ওজন কমানোর ডায়েটে অল্প পরিমাণে মাখন অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন ।
জয়েন্টের ব্যথা উপশমে কার্যকর: মাখনে ক্যালসিয়াম পাওয়া যায় । যাদের জয়েন্টে ব্যথার সমস্যা আছে তাদের জন্য মাখন খুবই উপকারী । এটি ব্যথা কমানোর একটি প্রাকৃতিক উপায় বলে প্রমাণিত হতে পারে ।
ত্বকের জন্য উপকারী: মাখনে ভিটামিন ই পাওয়া যায় ৷ যা ত্বকের জন্য উপকারী । অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট গুণে সমৃদ্ধ মাখন ত্বককে উজ্জ্বল রাখতে সাহায্য করে । এটি খেলে ত্বক সংক্রান্ত সমস্যা এড়ানো যায় ।
মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ভালো রাখে: মাখনে ফ্যাটি অ্যাসিড পাওয়া যায়, যা মস্তিষ্কের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে । শিশুদের মস্তিস্ক তীক্ষ্ণ করতে, তাদের খাদ্যতালিকায় মাখন অন্তর্ভুক্ত করুন ।
বাড়িতে কীভাবে মাখন তৈরি করবেন ?
বাড়িতে মাখন তৈরি করতে চাইলে প্রথমে 2-3 লিটার দুধ কম আঁচে অনেকক্ষণ ফুটিয়ে নিন । এবার একটি পাত্রে দুধের ক্রিম বের করে নিন । এর পর চামচের সাহায্যে কিছুক্ষণ ঘোরান । এভাবে একটানা করলে মাখন আলাদা হতে দেখা যাবে । আপনি একটি আলাদা পাত্রে মাখন সরাতে পারেন ।
আরও পড়ুন: ভিটামিন-বি 12 অভাব ডিমেনশিয়া ও অন্য রোগের কারণ হতে পারে
(পরামর্শগুলি শুধুমাত্র সাধারণ তথ্যের ভিত্তিতে ৷ আপনার কোনও প্রশ্ন থাকলে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন)