হায়দরাবাদ: ভারতে লক্ষ লক্ষ মানুষ ডায়াবেটিসের সঙ্গে লড়াই করছে । টাইপ-1 ডায়াবেটিস অটোইমিউন প্রতিক্রিয়ার কারণে ঘটে ৷ যেখানে টাইপ -2 ডায়াবেটিস হয় দুর্বল জীবনধারা এবং অভ্যাসের কারণে । রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে গেলে এই রোগ হয় । অগ্ন্যাশয় পর্যাপ্ত ইনসুলিন তৈরি করতে পারছে না বা ইনসুলিন পুরোপুরি ব্যবহার হচ্ছে না যার কারণে রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়তে শুরু করে ।
ডায়াবেটিসে ফল না-খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়
বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ডায়াবেটিস রোগীদের চিনির পরিমাণ কমিয়ে আনতে হয় এবং কম গ্লাইসেমিক সূচকযুক্ত খাবার খেতে হয় ৷ অর্থাৎ যে খাবারগুলি শরীরে রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ায় না । আপনার ডায়াবেটিস থাকলে বেশিরভাগ ফল না-খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয় । যাইহোক, এমন অনেক মরশুমি ফল রয়েছে যেগুলি প্রত্যেকেই পছন্দ করে ! এই তালিকার শীর্ষে রয়েছে ফলের রাজা আম ।
ডায়াবেটিস রোগী কি আম খেতে পারে ?
আমে মিষ্টির মাত্রা অনেক বেশি ৷ তাই এটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খাওয়া নিষিদ্ধ । তবে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, আম যদি নিয়ন্ত্রিত পরিমাণে খাওয়া হয় তাহলে তা আপনার উপকার করতে পারে । অল্প পরিমাণে আম খেলেও রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ে না । চিকিৎসকদের মতে, ডায়াবেটিস রোগী যাদের রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে তারা আম খেতে পারেন ।
পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ আম: আমে রয়েছে প্রয়োজনীয় সব ভিটামিন ও মিনারেল । এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-ই, কে এবং বি কমপ্লেক্স এবং উচ্চমাত্রার ফাইবার রয়েছে ৷ পাশাপাশি ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম এবং কপারও রয়েছে ।
কতটা আম খাওয়া নিরাপদ ?
রক্তে শর্করার বৃদ্ধি রোধ করতে একসঙ্গে অনেকগুলি আম খাওয়া এড়িয়ে চলুন । যদি ডায়াবেটিস থাকে তাহলে 1/2 কাপ (82.5 গ্রাম) আম খেয়ে দেখুন রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়েছে কি না এবং তা হলে কত । আপনি সেই অনুযায়ী আপনার আমের পরিমাণ নির্ধারণ করতে পারেন ।
আমের উপকারিতা:
আম বিপাকীয় ব্যাধিগুলির চিকিৎসায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে । প্রতিদিন যদি নিয়মিত পরিমাণে আম খাওয়া হয়, তাহলে উচ্চ কোলেস্টেরলের পাশাপাশি ডায়াবেটিস এড়ানো যায় । তবে যদি প্রচুর পরিমাণে আম খান তবে এটি রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দেয় । ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রেও আম পরিমিতভাবে খাওয়া যেতে পারে । এর পাশাপাশি প্রতিদিন রক্তে শর্করার মাত্রা পরীক্ষা করতে থাকুন । মনে রাখবেন আমের রস বের করার পর পান করবেন না।
আরও পড়ুন: নিয়মিত খান বাঁধাকপি, কমবে ক্যানসারের ঝুঁকি
(পরামর্শগুলি শুধুমাত্র সাধারণ তথ্যের ভিত্তিতে ৷ আপনার কোনও প্রশ্ন থাকলে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন)