হায়দরাবাদ: পরিবর্তনশীল ঋতুতে সর্দি লাগাটা বড় কথা নয় । প্রায় অনেকেই এইসময় এই সমস্যায় পড়েন ৷ তবে যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী তারা এই সমস্যাটিও কাটিয়ে ওঠেন । যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল, তারা সহজেই সর্দি-কাশির শিকার হন ।
আবহাওয়ার পরিবর্তনের সঙ্গে আমাদের সতর্ক থাকা এবং এটি মোকাবিলায় ব্যবস্থা নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ । দীর্ঘস্থায়ী ঠান্ডার কারণে বুকে কফ জমে । অনেক সময় ভুল চিকিৎসার কারণে কফ শুকিয়ে যায় এবং বুকে জমে থাকে ৷ তাই পরিবর্তনশীল ঋতুতে নিজেকে সুস্থ রাখতে ঘরোয়া উপায় অবলম্বন করতে পারেন ।
বুকে জমে থাকা কফ দূর করবে এই ঘরোয়া উপায়গুলি
সামান্য ব্যথা অনুভব করলেই আমরা ওষুধ খাই ৷ এটি তাৎক্ষণিক আরাম দেয় । একইভাবে সর্দি হলে আমরা কিছু ওষুধ খাই ৷ যাতে কিছু অ্যান্টিবায়োটিকও থাকে ৷ যা তাৎক্ষণিক আরাম দেয় না এবং বুকে কফ জমে যায় । এমন পরিস্থিতিতে কিছু ঘরোয়া উপায় অবলম্বন করে আমরা এর থেকে মুক্তি পেতে পারি ।
গরম জল: বুকে কফ থেকে মুক্তি পেতে চাইলে প্রথমে গরম জলে কয়েক ফোঁটা পুদিনা মিশিয়ে তার ভাপ নিন । এটি দিনে দুই থেকে তিনবার নিন । আপনি খুব তাড়াতাড়ি স্বস্তি বোধ করবেন ।
গরম জলে চা পাতা দিয়ে গার্গেল করুন: ভাপ নেওয়ার পরে, একটি বড় পাত্রে জলের মধ্যে এক টেবিল চামচ চা পাতা যোগ করুন ৷ এটি ভালোভাবে সিদ্ধ করুন এবং তারপরে এতে সামান্য লবণ যোগ করুন এবং গার্গেল করুন । এটি আপনার বর্ধিত টনসিলগুলিকে আরাম দেবে এবং গলা ব্যথা থেকেও মুক্তি পাওয়া যাবে ।
তুলসির ক্কাথ: বুকের ব্যথার জন্য তুলসি, গুড়, গোলমরিচ, আদার রস এবং লবঙ্গ মিশিয়ে একটি ক্কাথ তৈরি করে সকালে খালি পেটে পান করুন । আপনি খুব দ্রুত কাশি থেকে মুক্তি পাবেন ।
বুকে ঘি ও লবণ মাখুন: এর জন্য গরুর দেশি ঘি সামান্য রক সল্ট মিশিয়ে রাতে বুকে লাগান এবং ঘুমাতে যান । এতে বুকে জমে থাকা সব কফ খুব সহজেই বেরিয়ে আসবে । এ ছাড়া কয়েক ফোঁটা ইউক্যালিপটাস তেল নাকে দিন, এতে অনেক আরাম পাবেন ।
কাঁচা হলুদ থেকে আরাম পাবেন: অল্প পরিমাণে কাঁচা হলুদের রস ঘাড়ে লাগান । এর রস হালকা গরম জলে মিশিয়ে গার্গেল করুন । এটি আপনাকে স্বস্তি দেবে । এতে উপস্থিত অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ভাইরাল বৈশিষ্ট্য এটিকে বুকে জমে থাকা কফের জন্য একটি নিখুঁত ওষুধ করে তোলে ।
আরও পড়ুন: ওজন নিয়ে চিন্তিত ? শীতের খাদ্য়তালিকায় যোগ করুন এই শাক
(পরামর্শগুলি শুধুমাত্র সাধারণ তথ্যের ভিত্তিতে ৷ আপনার কোনও প্রশ্ন থাকলে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন)