হায়দরাবাদ: গর্ভাবস্থার সময়টি কর্মজীবী মহিলাদের জন্য খুবই চ্যালেঞ্জিং ৷ কারণ তাঁদের কাজের পাশাপাশি নিজেদের যত্ন নিতে হয়। অনেক সময় তাঁরা দুটি জিনিসের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখতে সক্ষম হন না । গর্ভাবস্থায় স্বাস্থ্যের প্রতি কোনওরকম অসাবধানতা শিশুকেও প্রভাবিত করতে পারে । তাই এই সময়ে স্বাস্থ্যকে প্রাধান্য দিন। গর্ভাবস্থায় আপনার খুব খিদে পায় ৷ তাই আপনাকে এটির জন্য বাড়িতে প্রস্তুত করতে হবে । তা না হলে দীর্ঘসময় না খেয়ে থাকা স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করে (Prolonged starvation has bad effects on health)।
দিনের শুরু: গর্ভাবস্থায় আপনার স্বাভাবিক রুটিনের চেয়ে একটু আগে ঘুম থেকে ওঠার চেষ্টা করুন। কারণ আগের মতো তাড়াহুড়ো করে কাজ করা সহজ নয় । ঘুম থেকে ওঠার পর কিছুক্ষণ হাঁটুন । যদি বাইরে যাওয়া সম্ভব না-হয় তবে বাড়িতেই হাঁটুন । চিকিৎসক ব্যায়াম করার পরামর্শ দিলে তা মেনে চলুন। সেটি শরীরের নানাভাবে উপকার করে ।
স্বাস্থ্যকর এবং সুষম খাদ্য: গর্ভাবস্থায় শরীরের স্বাস্থ্যকর এবং সুষম খাদ্য প্রয়োজন ৷ তাই ব্রেকফাস্টে এবং দুপুরের খাবারের জন্য টিফিন প্যাক করার সময় এটি মাথায় রাখুন । আপনার খাদ্যতালিকায় ফল, গোটা শস্য, শুকনো ফল ইত্যাদির পরিমাণ বাড়ান ।
তরল খাদ্যও গুরুত্বপূর্ণ: ডায়েটে কঠিন পদার্থের সঙ্গে তরল অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। দুধ, জুস, স্যুপ, বাটারমিল্ক, লস্যি পান করুন ৷ জলের চাহিদাও পূরণ করুন । দিনে 7-8 গ্লাস জল পান করা গুরুত্বপূর্ণ। অফিসে যদি গ্রিন টি পাওয়া যায়, তাহলে অবশ্যই পান করুন । হ্যাঁ, তবে খুব বেশি চা-কফি পান করবেন না ।
বিরতি নেওয়া: অফিসে কাজের চাপ অবশ্যই থাকবে ৷ তবে তার জন্য স্বাস্থ্যকে অবহেলা করা যাবে না। এক জায়গায় বেশিক্ষণ বসে থাকবেন না ৷ বরং মাঝে মাঝে বিরতি নিতে থাকুন । এটি পিঠ, কোমর, হাতের পাশাপাশি চোখ এবং মনকে স্বস্তি দেয় । এই অবস্থায় কোনও ধরনের মানসিক চাপ নেবেন না ।
আরও পড়ুন:
(পরামর্শগুলি শুধুমাত্র সাধারণ তথ্যের ভিত্তিতে ৷ আপনার কোনও প্রশ্ন থাকলে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন)