হায়দরাবাদ: স্নানের পর অনেক মায়েরাই শিশুর গায়ে পাউডার লাগিয়ে দেন । এতে তাঁরা মনে করে দুধের গন্ধ বা ফুসকুড়ি ইত্যাদি কমে যাবে ৷ কিন্তু অনেক সময় এই ভুলটা বড় আকার ধারণ করে । সম্প্রতি এক গবেষণায় উঠে এসেছে শিশুর জন্য ট্যালকম পাউডার কতটা ক্ষতিকর হতে পারে । গবেষণায় দেখে গিয়েছে, বেবি পাউডারে অ্যাসবেস্টস নামক যে রাসায়নিক থাকে, তা শিশুর ত্বকের ক্ষতি করে থাকে ।
অনেকেরই ধারণা, ডায়াপার খোলার পর ছোট্ট শিশুকে বেবি লোশন এবং পাউডার লাগানো ভালো । আসলে এগুলি ব্যবহারে র্যাশ প্রতিরোধ করা যায় ৷ কিন্তু এতে ক্ষতি বেশি হয় । যেহেতু লোশন ও পাউডারের মধ্যে সুগন্ধি বস্তু ও অন্যান্য পদার্থযুক্ত থাকে ৷ তাই এগুলির কারণেও ত্বকে র্যাশ হওয়ার সম্ভবনা থাকে।
ফুসফুস ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে: গবেষণায় দেখা গিয়েছে, বেবি পাউডারে যা থাকে, তা শিশুর জন্য ক্ষতিকর । পাউডারটি শিশুর গায়ে লাগালে পাউডারে উপস্থিত এর ছোট ছোট কণা বাতাসে ছড়িয়ে শিশুর ফুসফুসে পৌঁছয় । যা শ্বাস-প্রশ্বাসের সময় ভিতরে প্রবেশ করতে পারে ৷ যার ফলে শিশুর ফুসফুসের তীব্র ও দীর্ঘস্থায়ী রোগ হয় ।
তবে বেবি পাউডার লাগালেও অবশ্যই এই বিষয়গুলি মাথায় রাখবেন
মনে রাখবেন শিশুকে বেবি পাউডার লাগানোর সময় কখনওই তার মুখে, সেনসিটিভ জায়গায় বা আশেপাশে পাউডার লাগাবেন না ।
শিশুকে বেবি পাউডার লাগানোর সময় এটাও মনে রাখবেন পাউডারের বাক্স যেন শিশুদের নাগালের বাইরে থাকে ।
বাচ্চাকে বেবি পাউডার লাগানোর সময় খেয়াল রাখবেন বাচ্চাকে ফ্যান, কুলারের ঠিক সামনে শুইয়ে পাউডার লাগাবেন না । শিশুর চোখে ও মুখে পাউডার প্রবেশের সম্ভাবনা থাকে ।
আরও পড়ুন: ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণ থেকে শুরু করে ওজন কমানো, জেনে নিন নীল চা পানের উপকারিতা
(পরামর্শগুলি শুধুমাত্র সাধারণ তথ্যের ভিত্তিতে ৷ আপনার কোনও প্রশ্ন থাকলে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন)