হায়দরাবাদ: হিমোগ্লোবিন হল একটি প্রোটিন যা লোহিত রক্তকণিকায় পাওয়া যায় ৷ যা রক্তে অক্সিজেন বহন করতে সাহায্য করে । গর্ভাবস্থায় এটি সঠিক মাত্রায় রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ । গর্ভাবস্থায় এর মাত্রা 11.5-13.0g/dl হওয়া প্রয়োজন । এই সময়ের মধ্যে যদি হিমোগ্লোবিনের মাত্রা 10.0g/dl-এর নীচে নেমে যায় ৷ তাহলে তা শিশু এবং মায়ের জন্য ভালো নয় ।
গর্ভাবস্থায় আপনার শরীরে রক্তের পরিমাণ 30%-50% বৃদ্ধি পায় ৷ তাই অতিরিক্ত রক্তের প্রয়োজনীয়তা মেটাতে এবং গর্ভাবস্থায় আপনার হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বজায় রাখতে আপনার অবশ্যই একটি সুষম খাদ্য থাকতে হবে । সুষম না-খাওয়ার কারণে গর্ভবতী মহিলাদেরও রক্তস্বল্পতা হতে পারে ।
গর্ভাবস্থায় হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কীভাবে বাড়ানো যায় ?
ভিটামিন-সি গ্রহণ করতে হবে: গর্ভাবস্থায় ভালো পরিমাণে ভিটামিন-সি খেতে ভুলবেন না । এ জন্য ডালিম ও কমলালেবুর মতো ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ তাজা ফল খেতে পারেন । ডালিমের মধ্যে রয়েছে আয়রন এবং কমলালেবুতে রয়েছে ভিটামিন-সি, যা রক্তের পরিমাণ কমতে দেবে না । এর ফলে গর্ভাবস্থায় হিমোগ্লোবিনের মাত্রা ঠিক থাকবে ।
শুকনো ফল খেতে হবে: খেজুর ও ডুমুরে সবচেয়ে বেশি আয়রন পাওয়া যায় । এর ব্যবহার হিমোগ্লোবিনের মাত্রা ভালো রাখতেও সাহায্য করতে পারে । একই সময়ে, খাদ্যতালিকায় আখরোট, কিশমিশ এবং বাদাম মত কিছু শুকনো ফলও অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন ।
ডায়েটে ডাল অন্তর্ভুক্ত করুন: ডাল আয়রন এবং প্রোটিন সমৃদ্ধ। গর্ভাবস্থায়, প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় এক বাটি ডাল অবশ্যই অন্তর্ভুক্ত করতে হবে ।
ফলিক অ্যাসিড সমৃদ্ধ সবজি: ফলিক অ্যাসিড সমৃদ্ধ সবজি গর্ভাবস্থায় খাওয়া উচিত । এর মধ্যে শালগম, স্প্রাউটস, অ্যাভোকাডোস, ওকরা ইত্যাদি রয়েছে ।
স্মুদিও সাহায্য করে: গর্ভাবস্থায় আপেল, বিটরুট এবং গাজরের তৈরি স্মুদি পান করা ভালো । এটি সহজেই হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়াতে পারে ।
বীজকে ডায়েটের অংশ করুন: গর্ভাবস্থায়, কিছু আয়রন সমৃদ্ধ বীজ যেমন কুমড়োর বীজ, সূর্যমুখী বীজ ইত্যাদি খান ৷ এটি শুধুমাত্র হিমোগ্লোবিনের উপকারই করবে না অন্যান্য স্বাস্থ্য উপকারিতাও দেবে ।
আরও পড়ুন: ত্বকের সৌন্দর্য কেড়ে নিয়েছে দাগ ? বাড়িতে তৈরি এই ফেসপ্যাক ব্যবহার করুন
(পরামর্শগুলি শুধুমাত্র সাধারণ তথ্যের ভিত্তিতে ৷ আপনার কোনও প্রশ্ন থাকলে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন)