পরিসংখ্য়ান অনুযায়ী, বিশ্বব্য়াপী প্রায় 466 মিলিয়ন মানুষ রয়েছেন যাঁরা কানে শুনতে পান না ৷ বিশ্বব্যাপী জনসংখ্যার ভিত্তিতে দেখতে হলে দেখা যাবে 6.1 শতাংশ মানুষ বধিরতার শিকার ৷ হু-এর মতে 2050 সালের মধ্য়ে প্রায় 900 মিলিয়ন মানুষ শ্রবণ ক্ষমতা হারাতে চলেছেন ৷ তাই বধিরতার কারণগুলি সচেতনতা প্রচার করা একান্ত দরকার (How One can Prevent Hearing Loss) ৷
এই বছর আমাদের লক্ষ্য় দেওয়া দরকার নিরাপদ শ্রবণের ওপর অর্থাৎ যাতে শ্রবণশক্তি হ্রাস না পায় সে বিষয়ে যত্ন নেওয়া ৷ এক্ষেত্রে কয়েকটি বিষয় খেয়াল রাখা উচিত ৷
- কান এবং শ্রবণের ক্ষেত্রে কিছু যত্ন নেওয়া হলে কিন্তু দীর্ঘ সময় বধিরতার সমস্য়াকে এড়ানো সম্ভব ৷
- অনেক উপায় আছে যার মাধ্য়মে নিজেকে 'বধিরতার অনেক সাধারণ কারণ' যেমন প্রচণ্ড আওয়াজ প্রভৃতি থেকে বাঁচানো সম্ভব ৷
- আর সেফ লিসেনিং বা নিরাপদ শ্রবণের মাধ্য়মেও বধিরতা থেকে বাঁচা সম্ভব ৷
শ্রবণশক্তি হারানোর মাত্রা ব্যক্তি বিশেষে আলাদা হতে পারে ৷ একে হালকা, মাঝারি, গুরুতর এবং ভয়ঙ্কর এই চারভাগে ভাগ করা যেতে পারে। কখনও কখনও, এটি জন্মগতভাবেও হতে পারে আবার পরবর্তী জীবনেও এই সমস্য়া তৈরি হতে পারে। আসুন এই চারটি ভাগ সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক:
- কন্ডাক্টিভ শ্রবণ ক্ষমতা হ্রাস: শ্রবণ ক্ষমতা যদি এমন কিছুর কারণে ঘটে যা বাইরের বা মধ্য কানের ভিতর শব্দ আসা বন্ধ হয়ে যায় । এই ধরণের সমস্য়ার ক্ষেত্রে প্রায়শই ওষুধ বা অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে চিকিৎসা করা যেতে পারে।
- সংবেদনশীল শ্রবণশক্তি হ্রাস : অন্তঃকর্ণ বা শ্রবণ স্নায়ুগুলি সাধারণত যেভাবে কাজ করে তাতে সমস্যা হলে শ্রবণশক্তি হ্রাস পায় ৷
- মিক্সড শ্রবণ ক্ষমতা হ্রাস : যখন দু-ধরনের সমস্য়াই কোনও ব্যক্তির মধ্য়ে দেখা যায় তখন তাকে এই সমস্য়ার অন্তর্ভুক্ত বলে ধরা হয় ৷
- অডিটরি নিউরোপ্যাথি স্পেকট্রাম ডিসঅর্ডার: এছাড়াও এক ধরণের সমস্য়া রয়েছে, একে বলে অডিটরি নিউরোপ্যাথি স্পেকট্রাম ডিসঅর্ডার ৷ এক্ষত্রে শব্দ সাধারণত কানে প্রবেশ করে, তবে ভিতরের কান বা শ্রবণ স্নায়ুর ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার কারণে, শব্দটি এমনভাবে সংগঠিত হতে পারে না যা মস্তিষ্ক বুঝতে পারে ৷
প্রতিরোধের উপায়:
- মোটরসাইকেল, কর্মক্ষেত্রের মেশিন, ড্রিলস, পটকা এধরণের আওয়াজ কানের পক্ষে ক্ষতিকর তাই হয় ইয়ারপ্লাগ ব্য়বহার করুন নয়ত শব্দ এড়িয়ে চলুন ৷
- কম ভলিউমে গান শুনুন, ইয়ার ফোন আপনার কানের জন্য় মারাত্মক ক্ষতিকর হতে পারে ৷
- ঘণ্টার পর ঘণ্টা টানা ইয়ার ফোন ব্য়বহার করবেন না ৷ অন্তত একঘণ্টা পরপর বিরতি নিন ৷
- লাউডস্পিকার এড়িয়ে চলুন ৷
- টিভি, রেডিও, সাউন্ডসিস্টেমের ভলিউম কমিয়ে ব্য়বহার করুন ৷
- কিছু ওষুধ যেমন অ্য়ান্টিবায়োটিক, ক্যান্সারের ওষুধের নানা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকে, সেগুলি ভাল করে দেখে নিন ৷
- বাচ্চাদের হাম, রুবেলা, মাম্পস ইত্যাদি সংক্রমণের জন্য টিকা দিন। কারণ এধরণের সংক্রমণ থেকেও অনেকসময়ে শ্রবণক্ষমতা নষ্ট হয়ে যায় ৷