হায়দরাবাদ : ট্যানিং যে শুধু ক্ষতিকারক বলেই বিবেচিত তাই নয় যেহেতু সান বার্নের ফলেই এটি তৈরি হয় তাই সরাসরি ত্বকের ক্যানসারের ক্ষেত্রেও এর ভূমিকা রয়েছে ৷ ট্যানিংয়ে অতিবেগুনি রশ্মি সরাসরি ত্বক ভেদ করে আপনার ডিএনএ-র উপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে ৷ UV-A এবং UV-B উভয় রশ্মিই এক্ষেত্রে সরাসরি খোলা ত্বকের ওপর এসে পড়ে (How Tanning Affects Your Skin) ৷
UV-A রশ্মি ত্বকে উপস্থিত প্রাকৃতিক কোলাজেনকে ভেঙে দেয় । কোলাজেন ত্বকের এমন একটি উপাদান যা ত্বককে শক্তিশালী করতে, টানটান ভাব বজায় রাখতে এবং প্রয়োজনীয় হাইড্রেশনে সাহায্য করে ৷ কোলাজেন ক্ষতিগ্রস্থ হলে ত্বক তার উজ্জ্বলতা এবং সজীবতা হারাতে শুরু করে ৷ ফলস্বরূপ বলিরেখা এবং দাগ দেখা দেয় ৷
অনেকেই মনে করেন ট্যানিং বিষয়টি তাঁদের সাহায্য করবে কারণ এতে ত্বকে মেলানিন যোগ হয় যা একটি প্রাকৃতিক প্রতিরক্ষামূলক উপাদান ৷ তবে এটি একটি ভ্রান্ত ধারণা ছাড়া আর কিছু নয় ৷ হ্যাঁ, মেলানিন স্বাভাবিক ক্ষেত্রে ত্বকের জন্য প্রাকৃতিক সানস্ক্রিন হিসেবে কাজ করে ঠিকই ৷ কিন্তু ট্যানিংয়ের ফলে আরও অনেকগুলি উপাদান তৈরি হয় ৷ সূর্যের তাপের কারণে ত্বকের কোষগুলির বহু ক্ষতি হয়ে যাওয়ার পর মেলানিন উৎপন্ন হয় ৷
সানট্যানিং কিন্তু দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব ফেলতে সক্ষম ৷ এক্ষেত্রে অনেক তাড়াতাড়ি আপনার ত্বকে বার্ধক্যের লক্ষণ দেখা দিতে শুরু করে ৷ কোনও অ্যান্টি-এজিং থেরাপি এক্ষেত্রে তেমন কাজ করে না ৷ ত্বক রুক্ষ এবং শুষ্ক হয়ে যাওয়ারও সম্ভবনা থাকে ৷ এমনকী পিগমেন্টেশনেও এর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে ৷ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সানবাথে কোনও অসুবিধা নেই ৷ তবে প্রখর গ্রীষ্মে রোদে না বের হওয়াই ভাল কিংবা যদি বের হতেই হয় অন্তত এসপিএফ 40-এর সানব্লক বা সানস্ক্রিন ব্যবহার করা অবশ্যই দরকার ৷ এমনকী গাড়ির উইন্ড শিল্ডও UV রশ্মিকে রুখতে পারে না ৷ গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে নিয়মিত সানস্ক্রিন লাগালে ত্বকের ক্যানসারের সম্ভবনা কমতে পারে ৷
আরও পড়ুন : আসছে কোভিডের চতুর্থ ঢেউ! কী মত চিকিৎসকদের?
ট্যান মোকাবিলার জন্য় বেশ কিছু ঘরোয়া টিপসও বেশ কার্যকরী ৷ যেমন এক্ষেত্রে আপনি ত্বকে কাঁচা আলুর খোসা ঘষতে পারেন অথবা বাইরে থেকে ঘুরে আসার ঠিক পরে অ্যালোভেরা জেল লাগাতে পারেন । এক্ষেত্রে বেশ কিছুটা উপকার পাবেন আপনি ৷