হায়দরাবাদ: সবাই সবসময় সুন্দর দেখতে চায় কিন্তু 30 বছর বয়সের পর মুখের উজ্জ্বলতা ম্লান হতে শুরু করে । তাই আমাদের স্বাস্থ্যের প্রতি বিশেষ যত্ন নিতে হবে । 30 বছর বয়সের পরে, আমাদের ত্বক এবং শরীরে অনেক পরিবর্তন ঘটতে শুরু করে । এর জন্য আমরা ত্বকের জন্য অনেক ফেসপ্যাক, ক্রিম, সিরাম ইত্যাদি ব্যবহার করি ৷ তবে আপনার খাদ্যতালিকায় কিছু পরিবর্তন করে বার্ধক্য কমাতে পারেন । কারণ যেকোনও ক্রিম, মাস্ক এবং সিরাম তখনই ত্বকে প্রভাব ফেলতে পারে যখন আমরা খাবারে সুষম খাবার গ্রহণ করি । তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক, 30 বছর বয়সের পর তরুণ থাকতে খাদ্যতালিকায় কী অন্তর্ভুক্ত করা উচিত ।
সবুজ শাকসবজি: সবুজ শাক সবজিতে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ফসফরাস, ভিটামিন-এ, ভিটামিন-সি, ভিটামিন-কে, ভিটামিন-বি1 এবং ভিটামিন-বি2 ইত্যাদি পাওয়া যায় । এগুলি মুখের বলিরেখা ও সূক্ষ্ম রেখা দূর করতে সাহায্য করে । এছাড়া এগুলি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় ।
পেঁপে: পেঁপেতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন ও মিনারেল পাওয়া যায় । যা ত্বকের বলিরেখা কমাতে সাহায্য করে । এছাড়াও এতে প্যাপেইন নামে একটি এনজাইম পাওয়া যায় যা বার্ধক্য কমায় । পেঁপে অন্যতম সেরা অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এজেন্ট । এটি শরীরের মরা চামড়া দূর করতেও সহায়ক । নিয়মিত পেঁপে খেলে ত্বক উজ্জ্বল হয় ।
ব্লুবেরি: ব্লুবেরিতে ভিটামিন-এ, সি এবং অ্যান্থোসায়ানিন নামের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট পাওয়া যায় । এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলি দূষণ এবং মানসিক চাপের কারণে ত্বককে ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে । এর পাশাপাশি এটি ত্বকের চুলকানি, জ্বালাপোড়া ইত্যাদি সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করে ।
বাদাম: বাদামের মতো বাদামে ভিটামিন-ই প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায় । ভিটামিন-ই ক্ষতিগ্রস্ত ত্বকের টিস্যু মেরামত করতে সাহায্য করে । এর ব্যবহারে ত্বকে আর্দ্রতা বজায় থাকে । তারা সূর্য থেকে নির্গত ক্ষতিকারক UV রশ্মি থেকেও রক্ষা করে ।
আরও পড়ুন: এই খাবারগুলি জন্ডিস প্রতিরোধে সাহায্য করে ! আজই খাদ্যতালিকায় যোগ করুন
(পরামর্শগুলি শুধুমাত্র সাধারণ তথ্যের ভিত্তিতে ৷ আপনার কোনও প্রশ্ন থাকলে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন)