হায়দরাবাদ, 26 সেপ্টেম্বর : জেনিটাল হার্পিস (Genital Herpes) এক ধরনের যৌনরোগ (Sexually Transmitted Disease, STD) ৷ অথচ এই রোগ সারাবার কোনও চিকিৎসা নেই ৷ ইটিভি ভারতের সুখীভব-র তরফে কায়া ক্লিনিকের প্রধান চিকিৎসক ডাঃ সুশান্ত শেট্টির সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়৷ জেনে নিন কী বললেন তিনি ৷
জেনিটাল হার্পিস
এটা একধরনের সংক্রামিত রোগ, যা শরীরের যে কোনও অংশে হতে পারে ৷ কিন্তু যখন এটা কোনও পুরুষ বা মহিলার যৌনাঙ্গে দেখা যায়, তখন একে সেক্সুয়ালি ট্রান্সমিটেড ডিজিজ (Sexually Transmitted Disease, STD) ৷ আর একে জেনিটাল হার্পিস বলা হয়৷ কোনও নির্দিষ্ট চিকিৎসা না থাকলেও ওষুধের দ্বারা একে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় ৷
জেনিটাল হার্পিস কী ?
চামড়ায় দাদের (ringworm) মতো এক ধরনের ঘা হয়৷ হার্পিস সিমপ্লেক্স ভাইরাসের (herpes simplex virus) সংক্রমণে হয় বলে একে ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণ বলে ধরা হয় ৷ কিন্তু অনেক সময় অন্য মানুষে এটা জিনগত ভাবেও ছড়িয়ে পড়ে ৷
ডাঃ শেট্টি জানান, এই ভাইরাল সংক্রমণ পুরুষ ও মহিলার যৌনাঙ্গের ত্বকে হতে পারে ৷ একজনের সংক্রামিত স্থান স্পর্শ করলে সেখান থেকে অন্যের শরীরে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে পারে ৷ এমনকি তাদের ব্যবহৃত কাপড়, কোনও জিনিস থেকেও ৷ আর শারীরিক সম্পর্কের (sexual intercourse) মাধ্যমেও তা অন্যের শরীরে চলে যেতে পারে ৷
ডাঃ শেট্টি জানান, যে কোনও বয়সে এই সংক্রমণ হতে পারে ৷ একবার শরীরে ঢুকলে তা স্থায়ীভাবে থেকে যায় ৷ যদি কারওর চিকেন পক্স হয়ে থাকে, তাহলে এই সংক্রমণের সম্ভাবনা আরও বেড়ে যায় ৷
আরও পড়ুন : Sukhivaba : মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ আলজাইমারের কারণ হতে পারে, জানাচ্ছেন অস্ট্রেলিয়ার গবেষকেরা
জেনিটাল হার্পিসের লক্ষণ
এই চিকিৎসক জানান, জেনিটাল হার্পিসে ব়্যাশ বের হয়৷ তাতে খুবই যন্ত্রণা অনুভব হয়৷ এর সঙ্গে জ্বর, প্রস্রাবের সময় ব্যথা অনুভব, ক্ষতস্থান ফুলে লাল হয়ে যায়, মাথাব্যথা, ক্লান্তি আসে৷
চিকিৎসায় এর প্রকোপ কমলেও সাবধান থাকা উচিত ৷