হায়দরাবাদ: বুধবার থেকে গণেশ চতুর্থীর উৎসব শুরু হয়েছে ৷ পুজো চলে 10 দিন ধরে (Ganesh Chaturthi Special)। উৎসবে মেতে ওঠে গোটা দেশ ৷ 9 সেপ্টেম্বর গণেশ মূর্তিগুলির বিসর্জনের মাধ্যমে শেষ হবে ৷ অন্যান্য রাজ্যের মধ্যে মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু, কর্ণাটক এবং গুজরাতে উৎসবটি অনেক জাঁকজমকের সঙ্গে পালিত হয় । উৎসবটি সকলের উদযাপনের ধারা রয়েছে ৷ চলুন দেখে নেওয়া যাক কিছু খাবারের আইটেম যা আপনি আনন্দে উপভোগ করবেন এবং আপনি ঘরে বসেই তৈরি করতে পারেন এই খাবারগুলি (Five Food Item)৷
1. মোদক: মোদক বা মিষ্টি ডাম্পলিং গণপতির প্রিয় মিষ্টি খাবার হিসাবে বিবেচিত হয় ৷ গনেশ চতুর্থী উপলক্ষে মোদক পাওয়া যায় সব জায়গায় ৷ সাধারণত, উৎসবের প্রথম দিনে ভক্তরা ভোগে মোদক দেন । এগুলি চালের আটা, ময়দা বা গমের আটা দিয়ে তৈরি করা হয় । ভাজা বা সেদ্ধ মোদকও ভালোবাসেন অনেকেই । এতে নারকেল থেকে শুরু করে ড্রাই ফ্রুট দেওয়া হয় ৷
2. শিরা(Sheera): শিরা হল সুজি । শুকনো ফল এবং ঘি দিয়ে তৈরি শিরা একটি ঐতিহ্যবাহী হালুয়া । গণেশ চতুর্থী উপলক্ষে অনেকে ঐতিহ্যবাহী শিরায় কলা যোগ করেন এবং নৈবেদ্য হিসাবে পরিবেশন করেন ।
আরও পড়ুন : দেশের সর্বাধিক প্রসিদ্ধ গণেশ পুজো কোনগুলি ? জেনে নিন বিশদে
3. পুরান পোলি (Puran Poli): পুরান পোলি হল আরেকটি জনপ্রিয় খাবার ।মহারাষ্ট্রের বাসিন্দারা প্রায় প্রতিটি শুভ অনুষ্ঠানে এটু তৈরি করেন । এই দশদিনের মধ্যে একদিন বেশ কয়েকটি মহারাষ্ট্রীয় পরিবার ভগবান গণেশকে পুরান পোলির ভোগ দেন । মোদকের সঙ্গে পুরান পোলি, গণেশ চতুর্থীর সময় ভগবান গণেশকে পরিবেশন করা অন্যতম জনপ্রিয় ভোগ । পুরান পোলি হল একটি ময়দা-ভিত্তিক রুটি যা মিষ্টি মুসুর ডাল এবং গুড় বানানো হয় ।
4. নারকেল লাড্ডু(Coconut Ladoo): গণেশ চতুর্থী উপলক্ষে ভোগ হিসাবে দেওয়া আরেকটি ঐতিহ্যবাহী মিষ্টি খাবার হল নারকেল লাডু । এটি শুকনো রোস্ট করা নারকেল দুধ এবং কনডেন্সড মিল্ক ব্যবহার করে প্রস্তুত করা হয় এবং ঠাণ্ডা করে সবচেয়ে ভালো উপভোগ করা হয় ৷
5. পয়সাম (Payasam): পয়সাম হল দক্ষিণ ভারতের ঐতিহ্যবাহী মিষ্টি থালা ক্ষীর । এটি মূলত গুড়, নারকেল এবং এলাচ, দুধ দিয়ে রান্না করা ভাত ।
