Food to avoid after 30 years: 30 পেরোলেই ডায়েটে দিন বিশেষ নজর, খাদ্যতালিকা থেকে বাদ দিন এইগুলি

বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের শারীরিক গঠনের যেমন পরিবর্তন ঘটে, তেমনি পরিবর্তন হয় হরমোনেরও ৷ শরীর ভালো রাখতে আরও বেশি যত্নশীল হতে হয় ৷ তাই যত্ন শুরু করা উচিত 30 বছরের পর থেকেই ৷ খাওয়া-দাওয়ায় আনা উচিত বিশেষ পরিবর্তন ৷ কী কী অবশ্যই রাখা উচিত ডায়েটে দেখে নিন ৷

হায়দরাবাদ: 30 পার হলেই আমাদের শরীরে বেশ কিছু পরিবর্তন দেখা যায় ৷ শারীরিক গঠনের পাশাপাশি পরিবর্তন হতে থাকে হরমোনেরও ৷ বিশেষ করে মেয়েদের ক্ষেত্রে 30 বছর বয়স পার করলেই অতিরিক্ত যত্ন নিতে হয় শরীরের ৷ ফলে বিশেষ যত্ন দরকার খাবারের প্রতিও ৷ অফিসের কাজ, পরিবারের যত্ন, সন্তান প্রতিপালন এই সবকিছু মিলিয়ে চাপ থাকে অনেক ৷ তাই যদি আপনার বয়স 30 বছর হয়ে থাকে তাহলে এই প্রতিবেদন আপনার জন্য ৷ অথবা যাঁদের এখনও 30 হয়নি, তাঁরাও আগে থেকে হয়ে যেতে পারেন সাবধান ৷ তাই 30-এর পর কী খাবেন, আর কী খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন রইল ছোট্ট তালিকা৷

বেছে নিন হেলদি খাবার

কী কী খাওয়া উচিত

হাড় শক্ত রাখতে- 30 পার হলেই সবচেয়ে বড় সমস্যা দেখা দেয় হাড়ের ৷ যদি আপনি এখন থেকেই সঠিক খাবার গ্রহণ করতে শুরু করেন তাহলে ভবিষ্যতে অস্টিওপরোসিস বা আর্থ্রাইটিসের মতো সমস্যা থেকে দূরে থাকতে পারেন । তাই ডায়েটে রাখুন ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি জাতীয় খাবার ৷ যেমন দুধ, দই, শাক-সবজি, মাছ (সার্ডিন এবং সালমন), আমন্ড বাদাম ইত্যাদি ৷

অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট জাতীয় খাবার- ব়্যাডিক্যাল টিস্যু বার্ধক্যকে উদ্দীপিত করে ৷ তাই এই সময় থেকে ডায়েটে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট জাতীয় খাবার রাখলে বয়সের ছাপ পড়া রোধ করা যায় ৷ তাই লিকার চা, গ্রিন টি, ব্ল্যাক কফি চিনি ছাড়া খান ৷ এছাড়াও ব্লুবেরি ও ব্ল্যাক রাইস-ও এই সময় থেকে খাওয়া শুরু করুন ৷

ঘুমোতে সাহায্য করে এমন খাবার- ঘুমের দিক থেকে কোনও রকম নিয়মের পরিবর্তন করা উচিত নয় 30 বছর বয়সের পর ৷ তাই সঠিক পরিমাণে ঘুম হওয়াটা দরকার ৷ ভালো ঘুমের জন্য খেতে পারেন ক্যামামাইল টি, দুধ, আখরোট ও ফ্যাটি ফিস ৷

রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে এমন খাবার- অতিরিক্ত চিন্তা জীবনের অন্যতম অঙ্গ হয়ে দাঁড়িয়েছে প্রত্যেকের জীবনে ৷ তাই এখন থেকে রক্তচাপ রাখা উচিত নিয়ন্ত্রণে ৷ পটাশিয়াম আছে এমন খাবার রাখুন ডায়েটে ৷ ব্লুবেরি, দই, ডার্ক চকোলেট, টমেটো , বিনস ইত্যাদি খাবার খেতে পারেন ৷

কোন খাবার থেকে নিজেকে দূরে রাখবেন

• চিনি জাতীয় বর্জন করুন ৷ একদিন হবে না এই অভ্যাস ৷ তাই ধীরে ধীরে চিনি বা মিষ্টিজাতীয় খাবার খাওয়া বন্ধ করুন ৷ যেমন, পেস্ট্রি, কোল্ড ড্রিংক্স, মিষ্টি ইত্যাদি
• চিপস বা ফার্স্টফুড জাতীয় খাবার কমাতে হবে প্রতিদিনের খাবার থেকে ৷ দূরে রাখুন সয়া সস-ও ৷ এছাড়াও ধূমপান বা মাদক জাতীয় দ্রব্য থেকেও দূরে থাকা উচিত ৷
• দুধ দেওয়া, চা বা কফি খুব বেশি খাবেন না ৷
• ঘনঘন হোটেল বা রেস্টুরেন্টের খাবার থেকে দূরে থাকাই স্বাস্থ্যের জন্য ভালো ৷

(প্রতিবেদনটি সাধারণ তথ্যের উপর নির্ভর করে লেখা ৷ বিশদে জানতে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন ৷)