ETV Bharat / sukhibhava

বর্ষার সময় আপনি কী খাচ্ছেন?

পাকস্থলীতে যদি কোনও সমস্যা হয়, তাহলে বুঝতে হবে যে আপনি ঠিক মতো খাওয়াদাওয়া করছেন না ৷ কোনও একটি বিশেষ ঋতুতে আপনি শুনে থাকতে পারেন যে কেউ কেউ বলছে, দই খাওয়া উচিত নয় বা দুধ পান করা উচিত নয় এবং অন্য কোনও খাবার খাওয়া ভালো নয় ৷ কিন্তু আপনি কি জানেন এর পিছনে কারণ কী থাকে?

food for rain
বর্ষায় কী খাবেন
author img

By

Published : Jul 28, 2020, 12:35 PM IST

আমাদের বিশেষজ্ঞ পুনের কল্পায়ু হেলথ কেয়ার ক্লিনিকের চিকিৎসক কল্পেশ রমেশলাল বাফনা ৷ তিনি একজন MD, আয়ুর্বেদিক ফার্মাসিউটিকস ৷ তিনি ব্যাখ্যা করলেন, ‘‘আয়ুর্বেদে তিনটি দশা (বায়ো এলিমেন্ট) আছে ৷ যা হল ভাটা, পিট্টা এবং কাফা ৷ বর্ষাকালে বায়ুমণ্ডলীয় অবস্থা এবং পৃথিবী থেকে যে গ্যাস নির্গত হয়, তার জন্য ভাটা কুপিত হয় ৷ তা থেকেই হজম করার সমস্যা দেখা দেয় ৷ তাপ বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে পিট্টা পরিমাণে বৃদ্ধি পায় ৷ আর তার থেকেই হজমের সমস্যা দেখা দেয় ৷’’

কী এড়িয়ে চলতে হবে?

বর্ষাকালে খাদ্য তালিকায় কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করতে হবে ৷ তাই এখানে কিছু জিনিস দেওয়া হল, যা চিকিৎসক কল্পেশের পরামর্শ অনুযায়ী এড়িয়ে চলা উচিত-

  • রিজ়ার্ভারে যে জল থাকে, তা এই সময় হজম করার পক্ষে বেশ কঠিন হয়ে ওঠে ৷ এটা ফুটিয়ে নেওয়া উচিত ৷ এর ফলে তা হজম হওয়া আরও সহজ হয়ে যায় ৷
  • বাসি খাবার পুরোপুরি এড়িয়ে চলা উচিত ৷
  • সবুজ পাতাযুক্ত সবজি সাধারণত কম খাওয়া উচিত ৷ কারণ, এগুলি বৃষ্টির জলে খারাপ হয়ে যায় ৷
  • দই খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিত ৷ কারণ, এটা হজম করা খুবই কঠিন ৷ আর এটা শরীরের মধ্যে আঠালো ভাব বৃদ্ধি করে ৷
  • আমিষ খাবার, বিশেষ করে পাঁঠার মাংস হজমের জন্য খুবই কঠিন হয়ে যায় ৷ তাই এগুলি এড়িয়ে চলাই ভালো ৷
  • পেঁয়াজ ও রসুন কম পরিমাণে ব্যবহার করা উচিত ৷ এটা খাদ্যের তামাস তালিকার মধ্যে পড়ে ৷ এটা যে শুধু আপনার পাচন প্রক্রিয়ার গতিকে কমিয়ে দেয়, তাই নয় ৷ এর ফলে মনেও খারাপ প্রভাব পড়ে ৷
  • বেকারিতে তৈরি হয় এমন খাবার, যেমন কেক ও পাঁউরুটি এড়িয়ে চলতে হবে ৷ যেহেতু এগুলি উপাদানগত ভাবে শুষ্ক ৷ তাই মেটাবলিজ়মের জন্য এগুলির অনেক বেশি পরিমাণে জলের প্রয়োজন হয় ৷ যা এই ঋতুতে এমনিতে খুবই মন্থর গতিতে কাজ করে ৷
  • হজমে সমস্যা হতে পারে বলে উদুপি জাতীয় খাবার, যেমন ইডলি, ধোসা, উত্তাপা এড়িয়ে চলতে হবে ৷ যদি দক্ষিণ ভারতের বাসিন্দাদের রোজকার খাদ্য তালিকায় এগুলি থাকে এবং এগুলি তাঁদের উপর খুব বেশি খারাপ প্রভাব না ফেলে ৷

কী করা উচিত?

  • আদা, কালো মরিচ, দারচিনি, তুলসি পাতা তরকারি ও চাটনিতে ব্যবহার করা যেতে পারে ৷ ধোসা ও ইডলির সঙ্গে দেওয়া আঠালো পদার্থটিতেও দেওয়া যেতে পারে ৷ এর ফলে খাবার হজম হতে সুবিধা হয় ৷
  • শরীরের মেটাবলিজ়মের গতি কমে যায় ৷ এর ফলে হজমের শক্তি কমে যায় ৷ এই কারণে আমাদের খিদে কমে যায় ৷ ফলে আমাদের হালকা এবং তাজা খাবার খেতে হবে ৷ সাধারণত, যা বার্লি, চাল ও গম থেকে তৈরি হয় ৷
  • আমরা আমাদের রোজকার খাদ্য তালিকায় গরুর দুধ থেকে তৈরি ঘি, মুসুর ডাল, সবুজ ছোলা, ধান, এবং গমকে যুক্ত করতে পারি ৷
  • প্রত্যেকবার খাবার আগে আদা ও সৈন্ধব লবণ এক সঙ্গে খেতে হবে ৷
  • সবজি থেকে তৈরি স্যুপ ৷ যা একটু নোনতা ও টক হয়, এমন খাবার খাওয়া যেতে পারে ৷

ফলে, ভারী খাবার যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলা আবশ্যিক ৷ মূলত এই ঋতুতে আমাদের পৌষ্টিকতন্ত্রের উপরই সবচেয়ে বেশি খারাপ প্রভাব পড়ে ৷ তাই আপনি সামান্য পরিমাণ আদা ও অন্যান্য মশলা আপনার খাবারে দিয়ে এটাকে একটু সুস্বাদু করে তুলতে পারেন ৷ এর সঙ্গে ভালো জীবনযাপনও খুব সাহায্য করে ৷

আমাদের বিশেষজ্ঞ পুনের কল্পায়ু হেলথ কেয়ার ক্লিনিকের চিকিৎসক কল্পেশ রমেশলাল বাফনা ৷ তিনি একজন MD, আয়ুর্বেদিক ফার্মাসিউটিকস ৷ তিনি ব্যাখ্যা করলেন, ‘‘আয়ুর্বেদে তিনটি দশা (বায়ো এলিমেন্ট) আছে ৷ যা হল ভাটা, পিট্টা এবং কাফা ৷ বর্ষাকালে বায়ুমণ্ডলীয় অবস্থা এবং পৃথিবী থেকে যে গ্যাস নির্গত হয়, তার জন্য ভাটা কুপিত হয় ৷ তা থেকেই হজম করার সমস্যা দেখা দেয় ৷ তাপ বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে পিট্টা পরিমাণে বৃদ্ধি পায় ৷ আর তার থেকেই হজমের সমস্যা দেখা দেয় ৷’’

কী এড়িয়ে চলতে হবে?

বর্ষাকালে খাদ্য তালিকায় কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করতে হবে ৷ তাই এখানে কিছু জিনিস দেওয়া হল, যা চিকিৎসক কল্পেশের পরামর্শ অনুযায়ী এড়িয়ে চলা উচিত-

  • রিজ়ার্ভারে যে জল থাকে, তা এই সময় হজম করার পক্ষে বেশ কঠিন হয়ে ওঠে ৷ এটা ফুটিয়ে নেওয়া উচিত ৷ এর ফলে তা হজম হওয়া আরও সহজ হয়ে যায় ৷
  • বাসি খাবার পুরোপুরি এড়িয়ে চলা উচিত ৷
  • সবুজ পাতাযুক্ত সবজি সাধারণত কম খাওয়া উচিত ৷ কারণ, এগুলি বৃষ্টির জলে খারাপ হয়ে যায় ৷
  • দই খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিত ৷ কারণ, এটা হজম করা খুবই কঠিন ৷ আর এটা শরীরের মধ্যে আঠালো ভাব বৃদ্ধি করে ৷
  • আমিষ খাবার, বিশেষ করে পাঁঠার মাংস হজমের জন্য খুবই কঠিন হয়ে যায় ৷ তাই এগুলি এড়িয়ে চলাই ভালো ৷
  • পেঁয়াজ ও রসুন কম পরিমাণে ব্যবহার করা উচিত ৷ এটা খাদ্যের তামাস তালিকার মধ্যে পড়ে ৷ এটা যে শুধু আপনার পাচন প্রক্রিয়ার গতিকে কমিয়ে দেয়, তাই নয় ৷ এর ফলে মনেও খারাপ প্রভাব পড়ে ৷
  • বেকারিতে তৈরি হয় এমন খাবার, যেমন কেক ও পাঁউরুটি এড়িয়ে চলতে হবে ৷ যেহেতু এগুলি উপাদানগত ভাবে শুষ্ক ৷ তাই মেটাবলিজ়মের জন্য এগুলির অনেক বেশি পরিমাণে জলের প্রয়োজন হয় ৷ যা এই ঋতুতে এমনিতে খুবই মন্থর গতিতে কাজ করে ৷
  • হজমে সমস্যা হতে পারে বলে উদুপি জাতীয় খাবার, যেমন ইডলি, ধোসা, উত্তাপা এড়িয়ে চলতে হবে ৷ যদি দক্ষিণ ভারতের বাসিন্দাদের রোজকার খাদ্য তালিকায় এগুলি থাকে এবং এগুলি তাঁদের উপর খুব বেশি খারাপ প্রভাব না ফেলে ৷

কী করা উচিত?

  • আদা, কালো মরিচ, দারচিনি, তুলসি পাতা তরকারি ও চাটনিতে ব্যবহার করা যেতে পারে ৷ ধোসা ও ইডলির সঙ্গে দেওয়া আঠালো পদার্থটিতেও দেওয়া যেতে পারে ৷ এর ফলে খাবার হজম হতে সুবিধা হয় ৷
  • শরীরের মেটাবলিজ়মের গতি কমে যায় ৷ এর ফলে হজমের শক্তি কমে যায় ৷ এই কারণে আমাদের খিদে কমে যায় ৷ ফলে আমাদের হালকা এবং তাজা খাবার খেতে হবে ৷ সাধারণত, যা বার্লি, চাল ও গম থেকে তৈরি হয় ৷
  • আমরা আমাদের রোজকার খাদ্য তালিকায় গরুর দুধ থেকে তৈরি ঘি, মুসুর ডাল, সবুজ ছোলা, ধান, এবং গমকে যুক্ত করতে পারি ৷
  • প্রত্যেকবার খাবার আগে আদা ও সৈন্ধব লবণ এক সঙ্গে খেতে হবে ৷
  • সবজি থেকে তৈরি স্যুপ ৷ যা একটু নোনতা ও টক হয়, এমন খাবার খাওয়া যেতে পারে ৷

ফলে, ভারী খাবার যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলা আবশ্যিক ৷ মূলত এই ঋতুতে আমাদের পৌষ্টিকতন্ত্রের উপরই সবচেয়ে বেশি খারাপ প্রভাব পড়ে ৷ তাই আপনি সামান্য পরিমাণ আদা ও অন্যান্য মশলা আপনার খাবারে দিয়ে এটাকে একটু সুস্বাদু করে তুলতে পারেন ৷ এর সঙ্গে ভালো জীবনযাপনও খুব সাহায্য করে ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.