হায়দরাবাদ: প্রতিদিন উচ্চ রক্তচাপের রোগীর সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে । এই রোগটি মূলত অতিরিক্ত টেনশন বা দুশ্চিন্তার কারণে হয়ে থাকে । এছাড়া শরীরে ভারসাম্যহীন সোডিয়াম ও পটাশিয়ামের ঘাটতির কারণেও উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা দেখা দেয় । উচ্চ রক্তচাপকে নীরব ঘাতকও বলা হয় । স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, উচ্চ রক্তচাপের সময় ধমনীতে রক্তচাপ অনেক বেড়ে যায় । দীর্ঘ সময় ধরে চাপ অব্যাহত থাকলে স্বাস্থ্যের ওপর এর বিরূপ প্রভাব পড়ে । এতে হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক-সহ নানা রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায় । অতএব, 30 বছর বয়সের পরে প্রত্যেক ব্যক্তির নিয়মিত উচ্চ রক্তচাপ পরীক্ষা করা উচিত । এছাড়াও খাদ্যাভ্যাস এবং জীবনযাত্রায় বড় পরিবর্তন আনা জরুরি । এছাড়াও উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে এই ঘরোয়া টিপস অনুসরণ করতে পারেন ।
মানসিক চাপ: স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, মানসিক চাপের কারণে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা হয় । স্ট্রেস শুধুমাত্র মানসিক নয়, শারীরিক স্বাস্থ্যকেও প্রভাবিত করে । এর জন্য চাপমুক্ত থাকুন । নিজেকে ব্যস্ত রেখে মানসিক চাপ থেকে মুক্তি পেতে পারেন । এছাড়াও আপনি মানসিক চাপ থেকে মুক্তি পেতে যোগব্যায়াম এবং ধ্যানের সাহায্য নিতে পারেন ।
ওজন নিয়ন্ত্রণ করা: আপনি যদি উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে চান তাহলে জাঙ্ক ফুড খাওয়া বন্ধ করুন । অতিরিক্ত জাঙ্ক ফুড খেলে ওজন বাড়ে । একবার ওজন বেড়ে গেলে তা নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হয় না । এতে উচ্চ রক্তচাপ-সহ আরও অনেক রোগ হয় । এজন্য ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন ।
লবণ কম খান: লবণ ও চিনির অতিরিক্ত ব্যবহার স্বাস্থ্যের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলে । ভারসাম্যহীন সোডিয়াম উচ্চ রক্তচাপের কারণ । এ জন্য সঠিক পরিমাণে লবণ খান । জাঙ্ক ফুডে সোডিয়াম বেশি থাকে । তাই জাঙ্ক ফুড এড়িয়ে চলুন ।
ব্যায়াম করুন: আধুনিক যুগে মানুষের জীবনযাত্রায় ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে । অনেক রোগের প্রকোপ বেড়েছে ৷ উচ্চ রক্তচাপ তার মধ্যে একটি । এর জন্য প্রতিদিন ব্যায়াম করুন । সকালে হাঁটাচলা করুন এটি স্থূলতায় দ্রুত উপশমও দেয় ।
সুষম খাদ্য গ্রহণ করুন: সুস্থ থাকার জন্য প্রয়োজন সঠিক খাবার । আপনি খাদ্যতালিকায় গোটা শস্য, ফল, সবুজ শাকসবজি, দুগ্ধজাত পণ্য, বাদাম এবং বীজ অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন । সঠিক দৈনিক রুটিন অনুসরণ করা এবং সঠিক খাবার খাওয়া উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে ।
আরও পড়ুন: কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে রান্নায় যোগ করতে পারেন এই মশলাগুলি
(পরামর্শগুলি শুধুমাত্র সাধারণ তথ্যের ভিত্তিতে ৷ আপনার কোনও প্রশ্ন থাকলে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন)