ETV Bharat / sukhibhava

Health Tips For Women: টমেটো-তরমুজ আর গাজরেই দীর্ঘায়ু পাবেন মহিলারা, দাবি গবেষণায় - উজ্জ্বল রঙের ফল খেলেই নীরোগ দীর্ঘ আয়ু পাবেন মহিলারা গবেষণা

পালং শাক, তরমুজ, গোলমরিচ, টমেটো, কমলা এবং গাজর বেশি খেলে বেশিদিন নীরোগ জীবন যাপন করতে পারবেন মহিলারা (Benefits of Eating Bright Coloured Fruits)৷ এমনটাই বলছে সাম্প্রতিক গবেষণা ৷

Health Tips For Women
উজ্জ্বল রঙের ফল খেলেই নীরোগ দীর্ঘ আয়ু পাবেন মহিলারা : গবেষণা
author img

By

Published : Jul 29, 2022, 5:36 PM IST

পুরুষদের তুলনায় মহিলারা সাধারণত বেশিদিন বাঁচেন তবে তাঁদের শরীরে নানা রকম রোগের প্রাদুর্ভাবও দেখা দেখা দেয় ৷ জর্জিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্প্রতিক একটি গবেষণায় এই সমস্য়ার একটি মুশকিল আসান সামনে নিয়ে এসেছে ৷ এর থেকে মুক্তির উপায় হিসাবে চিকিৎসকদের পরামর্শ হল ইয়াম, কালে, পালং শাক, তরমুজ, গোলমরিচ, টমেটো, কমলা এবং গাজর জাতীয় ফলমূল বেশি খাওয়া ৷ কারণ এই ধরণের ফলগুলি হল পিগমেন্টেড ক্যারোটিনয়েড সমৃদ্ধ যা রোগের সমস্য়া কমায় ৷ আর রঙিন ফলের আরও একটি ভূমিকা আছে এটি আপনার কগনেটিভ এবং ভিসুয়াল ডিক্লাইন-এর সমস্য়াকে কম করে(Benefits of Eating Bright Coloured Fruits) ৷

ইউজিএ-এর ফ্র্যাঙ্কলিন কলেজ অফ আর্টস অ্যান্ড সায়েন্সেস বিভাগের মনোবিজ্ঞান আচরণগত এবং মস্তিষ্ক বিজ্ঞান প্রোগ্রামের অধ্যাপক এবং গবেষণার সহ-লেখক বিলি আর হ্যামন্ড বলেন,"এই ধারণাটি হল এই যে পুরুষরা প্রায়ই অনেক রোগে আক্রান্ত হয় এবং তাঁদের মৃত্যুও হয় তাড়াতাড়ি ৷ কিন্তু মহিলাদের ক্ষেত্রে এই রোগগুলি আসে অনেক পরে ৷ তাই প্রথম পর্যায়ে তাঁরা রোগের থেকে অব্যহতি পান ঠিকই পরে রোগের জেরে শরীর মারাত্মক দুর্বল হয়ে পড়ে ৷"

তিনি আরও বলেন, "উদাহরণস্বরূপ বলা যায় বর্তমানে বিশ্বের সমস্ত ম্যাকুলার ডিজেনারেশন এবং ডিমেনশিয়া রোগের যত কেস রয়েছে তার দুই-তৃতীয়াংশই মহিলাদের মধ্যে দেখা যায় । এই অসুস্থতাগুলিতে মহিলারা বছরের পর বছর ধরে ভোগেন ৷ জীবনধারায় কিছু পরিবর্তনের মাধ্যমে কিন্তু এর প্রতিরোধ করা যেতে পারে।" তাঁর কথায়, "আপনি যদি সমস্ত অটোইমিউন অসুস্থতাকে এক জায়গায় সম্মিলিত করেন তবে দেখা যাবে রোগীদের 80 শতাংশ হল নারী । নারীদের ক্ষেত্রে সংবেদনশীলতার কারণে আরও প্রতিরোধমূলক যত্নের প্রয়োজন হয় ৷ যা সরাসরি জীববিজ্ঞানের সাথে সম্পর্কিত ৷"

মহিলারা যেভাবে তাঁদের দেহে ভিটামিন এবং খনিজ ধরে রাখেন তা এই সংবেদনশীলতার অন্যতম কারণ । হ্যামন্ডের মতে, পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের শরীরে প্রায়শই চর্বি বেশি থাকে । অনেক ভিটামিন এবং খনিজ শরীরের চর্বি দ্বারা শোষিত হয়, যা গর্ভবতী মহিলাদের একটি সহায়ক রিজার্ভ প্রদান করে । কিন্তু রেটিনা এবং মস্তিষ্কের জন্য খনিজ এবং ভিটামিনের কম থাকার ফলে ডিমেনশিয়া জাতীয় রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায় ৷

আরও পড়ুন: যৌনসঙ্গীর সংখ্যা কমান, মাঙ্কিপক্স রুখতে সমপ্রেমী পুরুষদের পরামর্শ হু-এর

আমাদের খাদ্যে পিগমেন্টেড ক্যারোটিনয়েড অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে । লুটেইন এবং জেক্সানথিন হল চোখ এবং মস্তিষ্কের নির্দিষ্ট টিস্যুতে উপস্থিত দুটি স্বতন্ত্র ক্যারোটিনয়েড ৷ এর কাজ হল কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের অবক্ষয়কে সরাসরি প্রশমিত করা ৷ সাধারণত পুরুষ এবং মহিলারা প্রায় একই পরিমাণে এই ক্যারোটিনয়েডগুলি গ্রহণ করে ৷ তবে হ্যামন্ডের মতে মহিলাদের ক্ষেত্রে চাহিদা বেশি এবং যোগান কম হয়ে যায় ৷ ফলে নানা ধরণের সমস্য়া তৈরি হয় ৷ চিকিৎসকরা বলছেন খাবারের মাধ্যমে লুটেইন এবং জেক্সানথিন গ্রহণ করা বড়ি ব্যবহার করার থেকে অনেক ভাল উপায় ৷ ইয়াম, কালে, পালং শাক, তরমুজ, গোলমরিচ, টমেটো, কমলা এবং গাজর জাতীয় রঙিন ফলমূল খেলেই কমতে পারে ডিমেনশিয়া এবং অন্যান্য রোগের ঝুঁকি ৷

পুরুষদের তুলনায় মহিলারা সাধারণত বেশিদিন বাঁচেন তবে তাঁদের শরীরে নানা রকম রোগের প্রাদুর্ভাবও দেখা দেখা দেয় ৷ জর্জিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্প্রতিক একটি গবেষণায় এই সমস্য়ার একটি মুশকিল আসান সামনে নিয়ে এসেছে ৷ এর থেকে মুক্তির উপায় হিসাবে চিকিৎসকদের পরামর্শ হল ইয়াম, কালে, পালং শাক, তরমুজ, গোলমরিচ, টমেটো, কমলা এবং গাজর জাতীয় ফলমূল বেশি খাওয়া ৷ কারণ এই ধরণের ফলগুলি হল পিগমেন্টেড ক্যারোটিনয়েড সমৃদ্ধ যা রোগের সমস্য়া কমায় ৷ আর রঙিন ফলের আরও একটি ভূমিকা আছে এটি আপনার কগনেটিভ এবং ভিসুয়াল ডিক্লাইন-এর সমস্য়াকে কম করে(Benefits of Eating Bright Coloured Fruits) ৷

ইউজিএ-এর ফ্র্যাঙ্কলিন কলেজ অফ আর্টস অ্যান্ড সায়েন্সেস বিভাগের মনোবিজ্ঞান আচরণগত এবং মস্তিষ্ক বিজ্ঞান প্রোগ্রামের অধ্যাপক এবং গবেষণার সহ-লেখক বিলি আর হ্যামন্ড বলেন,"এই ধারণাটি হল এই যে পুরুষরা প্রায়ই অনেক রোগে আক্রান্ত হয় এবং তাঁদের মৃত্যুও হয় তাড়াতাড়ি ৷ কিন্তু মহিলাদের ক্ষেত্রে এই রোগগুলি আসে অনেক পরে ৷ তাই প্রথম পর্যায়ে তাঁরা রোগের থেকে অব্যহতি পান ঠিকই পরে রোগের জেরে শরীর মারাত্মক দুর্বল হয়ে পড়ে ৷"

তিনি আরও বলেন, "উদাহরণস্বরূপ বলা যায় বর্তমানে বিশ্বের সমস্ত ম্যাকুলার ডিজেনারেশন এবং ডিমেনশিয়া রোগের যত কেস রয়েছে তার দুই-তৃতীয়াংশই মহিলাদের মধ্যে দেখা যায় । এই অসুস্থতাগুলিতে মহিলারা বছরের পর বছর ধরে ভোগেন ৷ জীবনধারায় কিছু পরিবর্তনের মাধ্যমে কিন্তু এর প্রতিরোধ করা যেতে পারে।" তাঁর কথায়, "আপনি যদি সমস্ত অটোইমিউন অসুস্থতাকে এক জায়গায় সম্মিলিত করেন তবে দেখা যাবে রোগীদের 80 শতাংশ হল নারী । নারীদের ক্ষেত্রে সংবেদনশীলতার কারণে আরও প্রতিরোধমূলক যত্নের প্রয়োজন হয় ৷ যা সরাসরি জীববিজ্ঞানের সাথে সম্পর্কিত ৷"

মহিলারা যেভাবে তাঁদের দেহে ভিটামিন এবং খনিজ ধরে রাখেন তা এই সংবেদনশীলতার অন্যতম কারণ । হ্যামন্ডের মতে, পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের শরীরে প্রায়শই চর্বি বেশি থাকে । অনেক ভিটামিন এবং খনিজ শরীরের চর্বি দ্বারা শোষিত হয়, যা গর্ভবতী মহিলাদের একটি সহায়ক রিজার্ভ প্রদান করে । কিন্তু রেটিনা এবং মস্তিষ্কের জন্য খনিজ এবং ভিটামিনের কম থাকার ফলে ডিমেনশিয়া জাতীয় রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায় ৷

আরও পড়ুন: যৌনসঙ্গীর সংখ্যা কমান, মাঙ্কিপক্স রুখতে সমপ্রেমী পুরুষদের পরামর্শ হু-এর

আমাদের খাদ্যে পিগমেন্টেড ক্যারোটিনয়েড অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে । লুটেইন এবং জেক্সানথিন হল চোখ এবং মস্তিষ্কের নির্দিষ্ট টিস্যুতে উপস্থিত দুটি স্বতন্ত্র ক্যারোটিনয়েড ৷ এর কাজ হল কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের অবক্ষয়কে সরাসরি প্রশমিত করা ৷ সাধারণত পুরুষ এবং মহিলারা প্রায় একই পরিমাণে এই ক্যারোটিনয়েডগুলি গ্রহণ করে ৷ তবে হ্যামন্ডের মতে মহিলাদের ক্ষেত্রে চাহিদা বেশি এবং যোগান কম হয়ে যায় ৷ ফলে নানা ধরণের সমস্য়া তৈরি হয় ৷ চিকিৎসকরা বলছেন খাবারের মাধ্যমে লুটেইন এবং জেক্সানথিন গ্রহণ করা বড়ি ব্যবহার করার থেকে অনেক ভাল উপায় ৷ ইয়াম, কালে, পালং শাক, তরমুজ, গোলমরিচ, টমেটো, কমলা এবং গাজর জাতীয় রঙিন ফলমূল খেলেই কমতে পারে ডিমেনশিয়া এবং অন্যান্য রোগের ঝুঁকি ৷

For All Latest Updates

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.