হায়দরাবাদ: সুস্থ থাকার জন্য শরীরে সব ধরনের পুষ্টির প্রয়োজন । একটি সুস্থ শরীরের জন্য সমস্ত প্রয়োজনীয় খনিজ এবং ভিটামিনের সরবরাহ থাকা প্রয়োজন । এই পুষ্টি উপাদানগুলি শুধুমাত্র আমাদের স্বাস্থ্যের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ নয় আমাদের ত্বক ও চুলকেও স্বাস্থ্যকর করে তোলে । কোলাজেন এই পুষ্টির মধ্যে একটি । এটি ত্বক এবং চুলের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান ৷ যা বার্ধক্যজনিত বলিরেখা কমায় ।
25 বছর বয়সে পৌঁছনোর পরে শরীরে এর উৎপাদন হ্রাস পায় । এই ধরনের পরিস্থিতিতে কোলাজেন যুক্ত খাদ্য খেলে এর অবক্ষয় রোধে সহায়তা করে । আপনি এই নিরামিষ খাদ্য আইটেমগুলির সাহায্যে কোলাজেন উৎপাদনকে বাড়িয়ে তুলতে পারেন ।
রসুন: এটি একটি খুব উপকারী খাবার যা কোলাজেন উৎপাদনকে উৎসাহিত করে । জিঙ্ক সমৃদ্ধ হওয়ায় এটি পিগমেন্টেশনকেও দূরে রাখে ।
বাদাম এবং বীজ: বাদাম, আখরোট, সয়া এবং হেজেলনাটে স্বাস্থ্যকর চর্বি থাকে যা বার্ধক্য সৃষ্টিকারী ফ্রি ব়্যাডিক্যালের বিরুদ্ধে লড়াই করে । কাজু জিঙ্ক, ওলিক অ্যাসিড এবং কপারের একটি ভালো উৎস ৷ যা কোলাজেন উৎপাদনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ।
অ্যাভোকাডো: অ্যাভোকাডোতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার এবং ভিটামিন ই রয়েছে ৷ যা কোলাজেনের ভাঙন রোধ করতে সাহায্য করে ।
টমেটো: টমেটো ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ৷ একটি পুষ্টি যা কোলাজেন প্রচার করে । টমেটোতে লাইকোপেন নামক একটি ভিটামিন থাকে যা ভিটামিন বি 12-এ রূপান্তরিত হয় ৷ যা ত্বককে ফ্রি র্যাডিক্যাল থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে ।
অঙ্কুরিত বীজ: অঙ্কুরিত বীজ স্প্রাউট নামেও পরিচিত এবং এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে। এটি কোলাজেন ফাইবারগুলির উদ্দীপনা প্রচারে সহায়তা করে।
শাকসবজি: কিছু গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ব্রকলি, পালং শাক ইত্যাদি প্রোকোলাজেন বাড়ায় । ক্লোরোফিল খেলে ত্বকে প্রোকোলাজেন বাড়াতে সাহায্য করে এবং বলিরেখা থেকে মুক্ত রাখে ।
আরও পড়ুন: দ্রুত ওজন কমাতে চান? এই পদ্ধতিগুলি মেনে খান চিয়া বীজ
(পরামর্শগুলি শুধুমাত্র সাধারণ তথ্যের ভিত্তিতে ৷ আপনার কোনও প্রশ্ন থাকলে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন)