কলকাতা, 10 এপ্রিল: হালকা সর্দি-কাশি হোক কিংবা জ্বর-জ্বর ভাব, প্রত্যেক বাড়িতে হাতের কাছে থাকে হোমিওপ্যাথি ওষুধ ৷ দিদা-ঠাকুমার আমল থেকে হোমিওপ্যাথি ওষুধ হয়ে গিয়েছে 'বঙ্গ জীবনের অঙ্গ' ৷ অনেক ব্যক্তিই চিকিৎসার ক্ষেত্রে এখনও ভরসা রাখেন হোমিওপ্যাথি ওষুধের উপরেই ৷ আবার অনেকে বিতর্কও জুড়ে দেন ৷ তবে হোমিওপ্যাথি দিবস উপলক্ষ্যে কী বলছেন হোমিওপ্যাথ চিকিৎসকরা খোঁজ নিয়েছে ইটিভি ভারত ৷
অন্যান্য ওষুধের গুণাগুণ যেমনই হোক না কেন, কম বেশি সকলের বাড়িতেই হাতের কাছে থাকে যে কোনও রকমের হোমিওপ্যাথি ওষুধ ৷ ব্রায়োনিয়া, রাস টক্স, লাইকোপোডিয়াম, বেলেডোনা, আরনিকা, এই ধরনের ওষুধ ঘরে ঘরে পরিচিত ৷ আবার শহর কলকাতার বুকেও অনেক হোমিওপ্যাথি হাসপাতাল রয়েছে যেখানে উপচে পড়া রোগীর ভিড় লক্ষ্য করা যায় ৷ ফলে প্রশ্ন আসতেই পারে, চিকিৎসা বিজ্ঞানের অগ্রগতিতে কী হোমিওপ্যাথি ওষুধের চাহিদা কমেছে না বেড়েছে ?
এই বিষয়ে বিশিষ্ট হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক বিশ্বরূপ মণ্ডল বলেন, "হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা বিজ্ঞানে আগের তুলনায় রোগীর সংখ্যা দশগুণ বেড়েছে । এখন মানুষের মধ্যে বিকল্প চিকিৎসার প্রতি একটা ঝোঁক বেড়েছে । আউটডোরে প্রায় 15 থেকে 20 হাজার রোগীর ভিড় জেলা হাসপাতালগুলিতেই দেখা যায় । শুধু কলকাতা নয়, জেলা থেকেও বহু মানুষ আসেন সরকারি হাসপাতালগুলিতে চিকিৎসার জন্য ।"
অনেক সময় দেখা গিয়েছে, সোশাল মাধ্যমে দেখে হোমিওপ্যথি ওষুধের ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই অনেকে তা ব্যবহার করেন ৷ এই বিষয়ে চিকিৎসক জানিয়েছেন, কিছু টোটকা ছাড়া এইসব ক্ষেত্রে সমস্যা বেড়ে যায় । কার শরীরে কী ধরনের ওষুধের প্রয়োজন তা একমাত্র চিকিৎসকরাই জানাতে পারেন । এমনকি ওই ওষুধ ঠিক কতটা প্রয়োজন তাও একমাত্র চিকিৎসকের পক্ষেই বলা সম্ভব । ফলে নিজে থেকে ট্রিটমেন্ট করা মানে বিপদ ডেকে আনা ৷
আরও পড়ুন: আজ বিশ্ব হোমিওপ্যাথি দিবস, জানেন কেন পালন কর হয় এই দিনটি ?
পাশাপাশি বিশিষ্ট হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক জানিয়েছেন, বিকল্প চিকিৎসার ক্ষেত্রে হোমিওপ্যাথি ওষুধ উল্লেখযোগ্য । যদি দ্রুত সার্জারির প্রয়োজন না হয়, তাহলে সব রোগের ক্ষেত্রেই হোমিওপ্যাথি দিয়ে রোগীকে সুস্থ করা সম্ভব । তবে শুধু ওষুধের বড়ি খেলেই হবে না, বেশ কিছু নিয়ম মেনে চলাও দরকার । বর্তমানে সাধারণ মানুষ যে ধরেনে জীবনযাত্রা মেনে চলেছে তাতে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাচ্ছে ৷ ফলে বিকল্প চিকিৎসার পাশাপাশি দরকার পরিমাণ মতো ঘুম, জল খাওয়া, নিয়ম করে ব্যায়াম করা । তাহলে ধীরে ধীরে রোগ আর রোগীর সংখ্যা দুটোই কমতে থাকবে ৷