হায়দরাবাদ: শীতে নানা ধরনের ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের ঝুঁকি থাকে বেশি । শীত আমাদের জীবাণু থেকে বাঁচতে আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর সুযোগও দেয় । কারণ এই মৌসুমে অনেক ধরনের শাকসবজি ও ফল পাওয়া যায়, যা আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে । এ সময় পাওয়া অনেক সবজি মধুমেদ রোগীদের স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী (Diabetes)।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, শীতকালীন শাকসবজি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুবই উপকারী প্রমাণিত হতে পারে, যা তাদের রক্তে শর্করাকে কার্যকরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে । তারা নীচে বিস্তারিত বর্ণনা করা হয় ৷
শালগম: এটি একটি ভূগর্ভস্থ সবজি । এতে কার্বোহাইড্রেট খুব কম, ফাইবার এবং জল বেশি । এটি রক্তে শর্করার মাত্রা কমায় এবং একই সঙ্গে এর ব্যবহার কোলেস্টেরল কমাতেও খুব সহায়ক ।
বিটরুট: বিটরুট ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য একটি ওষুধের চেয়ে কম কিছু নয় । এটি ব্যবহারে ব্লাড সুগার (রক্তে সুগার) নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং চিনির কারণে চোখের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কাও অনেক কমে যায় । বিটে পাওয়া আলফা ওলিক অ্যাসিড উচ্চ রক্তে শর্করার মাত্রার স্নায়ুতন্ত্রকেও শক্তিশালী করে । এতে পাওয়া বেটালাইন এবং নিও বেটানিন ইনসুলিন সংবেদনশীলতা বাড়ায় ।
গাজর: গাজর পুষ্টিতে ভরপুর । ডায়াবেটিস রোগীরা এটি স্যালাড, জুস বা কাঁচা অবস্থায় খেতে পারেন । গাজরে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-এ, ভিটামিন-সি, ভিটামিন-কে, পটাশিয়াম, ফাইবার এবং আয়রনের মতো পুষ্টি উপাদান রয়েছে ।
আরও পড়ুন: ভিটামিন বি-12 এর অভাবের লক্ষণ কী? জানুন চিকিৎসার উপায়ও
মূলো: ডায়াবেটিস রোগীদের শীতকালে মুলা খাওয়া উচিত । রাসায়নিক যৌগ যেমন গ্লুকোসিনোলেটস এবং আইসোথিওসায়ানেটস মূলোতে পাওয়া যায় । এই দুটিই রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে । এছাড়াও মূলো খেলে শরীরের অ্যাডিপোনেক্টিনের প্রাকৃতিক উৎপাদন বাড়ায় । অ্যাডিপোনেক্টিন একটি হরমোন যা ইনসুলিন প্রতিরোধের প্রতিরোধ করে ।
(উপরের টিপস এবং পরামর্শগুলি শুধুমাত্র সাধারণ তথ্য । এটি পেশাদার চিকিৎসা পরামর্শ হিসাবে বিবেচনা করা উচিত নয় । যেকোনও ফিটনেস প্রোগ্রাম শুরু করার আগে বা কোনও খাদ্যতালিকাগত পরিবর্তন করার আগে সর্বদা একজন ডাক্তার বা খাদ্য বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করুন ।)