হায়দরাবাদ: ভালো ব্যাকটেরিয়া তৈরির জন্য ব্ল্যাক টিতে কিছু মশলা এবং ফলের রস দিয়ে গাঁজন করা হয় । একে কম্বুচা চা বলা হয় । যা এখন বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ৷ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলিতে কয়েকশো বছর ধরে এই চা পান করে আসছে । জর্জ টাউন মেডিক্যাল সেন্টারের গবেষকরা দেখেছেন যে যারা এই ধরনের চা পান করেন তাদের ডায়াবেটিস কম হয় ৷
ডায়াবেটিসে আক্রান্ত কিছু মানুষকে দুটি গ্রুপে ভাগ করা হয়েছিল ৷ তাদের অর্ধেককে চার সপ্তাহ ধরে এই চা দেওয়া হয়েছিল । এরপর প্রতিদিনের স্বাভাবিক খাবারও খান ৷ অন্য দলকে এই চা না দিয়ে প্রতিদিনের খাবার খেতে বলেন । এর পরে যখন উভয় গ্রুপ পরীক্ষা করা হয়েছিল, তখন দেখা গিয়েছে যারা এই কম্বুচা চা গ্রহণ করেছিলেন তাদের রক্তে গ্লুকোজের শতাংশ উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে ।
আরও পড়ুন: পাতে রাখুন এইসব খাবার, রক্তে প্লেটলেটের পরিমাণ বাড়বে সহজে
বলা হয় যে প্রতিদিন এটি পান করলে দীর্ঘস্থায়ী রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় ৷ বিশেষ করে ডায়াবেটিস এর মহা ওষুধ । কারণ যারা অল্প বয়সে ডায়াবেটিসে ভোগেন তারা মানসিক চাপ ও দুশ্চিন্তার কারণে অনেক রোগে আক্রান্ত হন । তাই প্রি-ডায়াবেটিস ও ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিরা এই চা পান করলে উপকার পাবেন বলে দাবি গবেষকদের ৷
কম্বুচা চা বিভিন্ন উপায়ে তৈরি করা হয় ৷ তবে কম্বুচা তৈরিতে ব্যবহৃত কিছু মৌলিক উপাদান হল ইস্ট, চিনি এবং কালো চা । মিশ্রণটি কয়েক সপ্তাহের জন্য ফারমেন্ট করে রেখে দেওয়া হয় । কম্বুচা ব্যাকটেরিয়া ল্যাকটিক-অ্যাসিড ব্যাকটেরিয়া অন্তর্ভুক্ত ৷ যা একটি প্রাকৃতিক প্রোবায়োটিক হিসাবে কাজ করে । এছাড়াও কম্বুচা চাকে চুল পড়া, বাত , উচ্চ রক্তচাপ , প্রদাহ , ক্যানসার , হ্যাংওভার এবং অন্যান্য অনেক অসুস্থতা-সহ বিভিন্ন ধরণের অবস্থার জন্য উপকারী বলে বলা হয় ৷
আরও পড়ুন: এই ফলের খোসা পুষ্টিগুণে ভরপুর ! জেনে নিন কোন কোন ফল খাবেন ?